ফিলিপসের ‘বিষাক্ত’ ভেন্টিলেটর দেখে আতঙ্ক, নাকে-মুখে যন্ত্র ছাড়াই ঘুম আসবে সহজে

গুড হেলথ ডেস্ক

অনিদ্রা ভাগাতে বিজ্ঞাপনী চমকে ভুলে স্লিপ রেসপিরেটর (Sleep Respirator) কেনার কথা ভাবছেন? স্লিপ অ্যাপনিয়ার রোগীদের ভয় আরও বেশি। ঘুমের মধ্যে যাতে শ্বাস বন্ধ না হয় সে জন্য কৃত্রিম ভেন্টিলেটর কিনে উল্টে বিপদেই পড়তে পারেন। ফিলিপসের ঘটনায় বিশ্বজুড়েই আতঙ্ক বেড়েছে। তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কৃত্রিম যন্ত্রে নাক-মুখ ঢেকে নয়, বরং রোজের জীবনযাত্রায় কিছু নিয়ম মানলে ঘুম (Sleep tips) আসবে সহজেই।

বাজারে রটেছে ফিলিপস কোম্পানির তৈরি স্লিপ অ্যাপনিয়ার ভেন্টিলেটর মানুষের জন্য বিষাক্ত। ওই যন্ত্রে এমন স্মোক তৈরি হচ্ছে যা ক্ষতি করতে পারে। শরীরে ঢোকার পরে বিষক্রিয়া হতে পারে। এই খবর রটার পরেই ফিলিপসের তৈরি ভেন্টিলেটরের বিক্রি কমে যায়। ওই যন্ত্র বদলে নতুন ভেন্টিলেটর আনার পরেও লাভ কিছু হয়নি। উল্টে বিপুল অঙ্কের টাকা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে ফিলিপস।

 sleep

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কৃত্রিম যন্ত্র অনেকসময়েই ঠিকভাবে কাজ করে না। এইসব যন্ত্রের ট্রায়ালে যদি গলদ থাকে, তাহলে বিপদ বাড়ে। যন্ত্র মাঝপথে বন্ধ হয়ে গেলে বা খারাপ হয়ে গেলে, আরও বেশি দমবন্ধ হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। কাজেই স্বাভাবিক প্রাকৃতির প্রক্রিয়ার (Sleep tips) উপর নির্ভর করাই ভাল।

কীভাবে ঘুম আসবে?

স্লিপ-হাইজিন সবচেয়ে বড় ব্যাপার। কম ঘুম, অনিদ্রা বা ইনসমনিয়া থাকলে স্লিপ ডিপ্রাইভেশন হতে পারে। দিনের বেলাতেও ঘন ঘন ঘুম পাবে। ঘুম ভেঙে ওঠার পরেও ক্লান্ত লাগবে, সারাদিন শরীরে অস্বস্তি থাকবে। মেজাজ খিটখিটে হতে পারে। ঘুম না হলেই বিপদ আসবে নানা ভাবে। আবার বেশি ঘুম হলেও শরীর ভোগাবে, হার্টের রোগ হানা দেবে। অতিরিক্ত চিন্তা, টেনশন থেকে মানসিক রোগে ধরবে, ডায়াবেটিস, থাইরয়েড একে একে সবই আসবে হুড়মুড়িয়ে।

ফিলিপসের তৈরি ঘুমোনোর ভেন্টিলেটর বিষাক্ত? ক্ষতির মুখে ৬ হাজার কর্মী ছাঁটাই

 Sleep

প্রতিদিন শোয়ার আগে কিছুক্ষণ মেডিটেশন করতে। মন শান্ত রেখে প্রাণায়াম বা যোগব্যায়ামে খুব দ্রুত কাজ হয়।

রাতের খাওয়া আর ঘুমের মধ্যে অন্তত এক থেকে দুই ঘণ্টার বিরতি থাকতে হবে। এই সময় হাঁটাহাঁটি করলে খাবার হজম হয় দ্রুত। পাকস্থলী শান্ত থাকে, অম্বলের বাড়বাড়ন্ত হয় না। ঘুমও হয় সুন্দর, শরীরে চাহিদা মাফিক।

অতিরিক্ত চিন্তা-ভাবনা না করাই ভাল, বিশেষত ঘুমনোর সময়। স্ট্রেস ফ্রি হয়ে ঘুমোতে যান।

ঘুমনোর আগে চা, কফি বা ঠাণ্ডা পানীয় না খাওয়াই ভাল। সিগারেট টেনে ঘুমোতে যাওয়াও খুব একটা ভাল অভ্যাস নয়। এতে ঘুমের ক্ষতি তো হয়ই, শরীরেও তার ছাপ পড়ে।

রাত জেগে কাজ করতে হয় যাঁদের তাঁদের জন্য স্লিপিং আই মাস্ক দরকারি জিনিস। নাইট শিফট চলার সময় সামান্য বিরতিতে চোখে মাস্ক পরে হাল্কা ঘুমিয়ে নিতে পারেন। জোরালো আলো সমস্যা করবে না।