
Stroke: অ্যাসপিরিন স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে পারে? যেমন তেমন ডোজে খেলে হবে না
গুড হেলথ ডেস্ক
দিনে একবার নির্দিষ্ট ডোজে অ্যাসপিরিন ট্যাবলেট খেলে স্ট্রোকের (Stroke) ঝুঁকি কমতে পারে, এমনটাই দাবি করা হয়েছে গবেষণায়। হঠাৎ করে বুকে ব্যথা শুরু হলে বা হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গ দেখা দিলে তখনও অ্যাসপিরিন খাওয়ালে উপকার মেলে। ডাক্তাররা বলেন, রোগীর প্রচণ্ড ঘাম হতে শুরু করলে, ঘাড় শক্ত হয়ে নাড়ির গতি বেড়ে গেলে যদি দেখেন শরীর ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে বা রোগী অজ্ঞান হয়ে গেছেন তখন অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ খাইয়ে এক মুহূর্তও সময় নষ্ট না করে কাছাকাছি হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারলে বিপদ কাটে।
অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। বেশি ডোজে এই ওষুধ খেলে আবার হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। গবেষণা বলছে, ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করে প্রতিদিন খুব কম ডোজে অ্যাসপিরিন নিতে পারলে স্ট্রোক (Stroke) হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
স্পেনের ভিগো ইউনিভার্সিটির গবেষকরা বলছেন, ১০ হাজার মানুষের ওপর এই পরীক্ষা করার পরেই এমন সিদ্ধান্তে আসা গেছে। হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি আছে এমন মানুষজনকে দিনে একটি করে নির্দিষ্ট ডোজে অ্যাসপিরিন খাইয়ে যাওয়া হয়েছিল। ৬ বছর পরে দেখা গেছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বা স্ট্রোকে মৃত্যুর ঝুঁকি ৫০ শতাংশ কমে গেছে।
কেন স্ট্রোক (Stroke) হয়?
হাই প্রেশার, সুগার-সহ নানা রিস্ক ফ্যাক্টর মস্তিষ্কের রক্তবাহী ধমনীর পথ আটকে দেয়। ফলে রক্তের মধ্যে ভেসে বেড়ানো চর্বির ডেলা আচমকা ধমনীতে আটকে গিয়ে রক্ত চলাচল বন্ধ করে দেয়। রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে গেলে মস্তিষ্কের কোষে অক্সিজেনের প্রবাহ কমে যায়। অক্সিজেনের অভাবে নিস্তেজ হতে হতে অকেজো হয়ে যায় ব্রেন সেল। এই ব্যাপারটাই স্ট্রোক।
সাধারণত, দু’ধরনের স্ট্রোক হয়। ইসকিমিক আর হেমারেজিক। ইসকিমিক স্ট্রোকে রক্ত চলাচল থেমে যায়। আর হেমারেজিক স্ট্রোকে দুর্বল রক্তনালী ছিঁড়ে গিয়ে রক্তপাত হয়। এ ছাড়া আছে ট্র্যান্সিয়েন্ট ইসকিমিক অ্যাটাক বা টিআইএ। কোনও ছোট রক্তের ডেলা মস্তিষ্কের রক্তবাহি ধমনীতে সাময়িক ভাবে আটকে গেলে কিছুক্ষণের জন্য রোগীর ব্ল্যাক আউট হবার ঝুঁকি থাকে। আপাত দৃষ্টিতে মারাত্মক না হলেও টিআইএ-র পরে বড় অ্যাটাকের ঝুঁকি থাকে।
গবেষকরা বলছেন, অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ হার্ট বা মস্তিষ্কের ধমনীগুলোতে রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। অ্যাসপিরিন খেলে রক্ত পাতলা হয়ে যায়। তাই কার্ডিওভাস্কুলার রোগের ক্ষেত্রেও এই ওষুধ উপকারি। তবে নিজে থেকে ডাক্তারি করে ওষুধ খাবেন না। ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করে সঠিক ডোজেই ওষুধ খেতে হবে। একই ওষুধ সবার শরীরে সমান কার্যকরী নাও হতে পারে।
Prostate Cancer: চুম্বক দিয়ে প্রস্টেট ক্যানসারের থেরাপি? নতুন গবেষণা চমকে দিচ্ছে