
Summer Health Tips: ঘামে ভেজা পোশাক বেশিক্ষণ নয়, এসি ঘরে থাকলে নিয়ম মানুন
গুড হেলথ ডেস্ক
Summer Health Tips
প্রচণ্ড গরম পড়ে গেছে। হাঁসফাঁস অবস্থা। রাস্তায় বের হলেই চড়া রোদে নাভিশ্বাস উঠছে। দরদর করে ঘামে ভিজে যাচ্ছে পোশাক। সেই সঙ্গে বাসে-ট্রেনের ভিড় তো রয়েছেই। বেলা বাড়লে রোদ যেন ঝলসে দিচ্ছে। কাজের জন্য রোজ বাইরে বেরোতে হলে এখন সতর্ক (Summer Health Tips) থাকতেই হবে। লকডাউন উঠে গেছে। কাজেই বাড়ি বসে কাজের উপায় নেই। গরমে নাকাল হয়ে, বাসে-ট্রেনে বাদুড়ঝোলা হয়েই অফিসে যেতে হবে। এই সময় শরীরে দিকে খেয়াল না রাখলেই মুশকিল।
গরম পড়া মানেই হাজারো সমস্যা। ঘামে সারাক্ষণ ভিজে পোশাকে ঠান্ডা-গরম লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা। আবার গরম থেকে এসি ঘরে ঢুকলেই নাক বন্ধ, সমানে হাঁচি। জল কম খেলে ডিহাইড্রেশন হয়ে যেতে পারে এই সময়। তাছাড়া শরীরে আরও রোগ থাকলে বিপত্তি বাড়বে। চড়া রোদ লাগলেই মাথা ঝিমঝিম, মাথা ঘোরা, অস্বস্তি রয়েছেই। এই সময় বমি, পেট খারাপও ঘন ঘন হতে পারে। তাই সবদিক থেকেই সাবধান থাকতে হবে।
আমাদের মতো গ্রীষ্মপ্রধান দেশে গরম কিংবা ঘামকে উপেক্ষা করা সম্ভব নয়। তবে ঘাম জমে যাতে গুরুতর শারীরিক সমস্যা দেখা না দেয়, তার জন্য বিশেষ কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত প্রত্যেকেরই। গরমেও স্কিনেরও সমস্যা হয়। হাওয়া অফিস আবার সতর্কবার্তা দিয়েছে, আগামী কিছুদিনের মধ্যে গরম আরও বাড়বে। লু বইতে পারে। তাই এই সময় কিছু নিয়ম মেনে চলতেই হবে।
গরমেও চাঙ্গা থাকুন, কী কী নিয়ম মানবেন–
• সারাক্ষণই দরদর করে ঘাম হচ্ছে। ভিজে যাচ্ছে পোশাক। বাড়ি থেকে বেরিয়ে অফিসের ঠান্ডা ঘরে ঢোকার আগে অবধি কালঘাম ছুটে যাচ্ছে। জবজবে ভিজে পোশাকে এসি-তে ঢুকে আরও ৮-৯ ঘণ্টা দিব্যি কাটিয়ে দিচ্ছেন। বাড়ি ফিরেই শরীরে অস্বস্তি, হাঁচি, মাথা ব্যথা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেশিক্ষণ ঘাম জমতে দেবেন না। দরকার হলে আরও একটা হাল্কা সুতির পোশাক সঙ্গে রাখুন। বেশি ঘাম হলে বা পোশাক ভিজে গেলে বদলে নিন। ভেজা পোশাকে ঠান্ডা ঘরে থাকবেন না।
• হাল্কা সুতির পোশাক পরুন। সিন্থেটিক পোশাক যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। শরীরে যেন বেশিক্ষণ ঘাম না জমে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বেশি ঘাম জমলেই সর্দিকাশি হবে। অ্যাকিউট টনসিলাইটিস বা সাইনোসাইটিসে আক্রান্ত হতে পারেন। অ্যাকিউট ফ্যানেনজাইটিসও হতে পারে। বাচ্চারাও এই রোগে ভুগতে পারে।
• দিনে দুই থেকে তিন বার স্নান করুন। পরিচ্ছন্ন পোশাক পরুন। বাইরে বেরোলে সঙ্গে জল বা গ্লুকোজ যেন অবশ্যই থাকে। খুব কষ্ট হলে রুমাল ভিজিয়ে মুখ, গলা ও ঘাড় মুছে নেবেন, অনেকটা আরাম লাগবে।
• প্রচণ্ড গরমে মাথা ঘুরে পড়ে যান অনেকে। একে ‘ভেসোভেইগেল অ্যাটাক’ বলে। শরীরের তাপমাত্রা হঠাৎ বদলে গেলে আমাদের সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম যে কাজ করে সেটা বিগড়ে যায়। মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন কমে যায়। এর ফলে মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়। চড়া রোদে বের হলে সঙ্গে ছাতা রাখবেন অবশ্যই। কষ্ট হচ্ছে বুঝলে বারে বারে মুখে জল দেওয়ার চেষ্টা করুন।
• গরম থেকে শরীরে বড় বড় ফোঁড়া, লালচে র্যাশ হতে পারে। এরও উৎস সেই ঘাম। রোদে বের হলে সানস্ক্রিন ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। একগাদা পাউডার মেখে বেরোবেন না। পাউডার শরীরের রোমকূপ বন্ধ করে দেয়, ফলে সমস্যা বাড়ে।
• এসি থেকে বাইরে যাওয়া কিংবা বাইরে থেকে এসির মধ্যে সরাসরি ঢোকা চলবে না। এসি-তে ঢোকার আগে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। শরীরের ঘাম মুছে নিন ভাল করে।
• প্রচুর জল খান এই সময়। হাল্কা খাবার খান। বেশি করে ফল রাখুন সঙ্গে। ফ্রুট জুস খান।
• এসি থেকে বেরিয়েই কোনও রকম ঠান্ডা পানীয় খাওয়া চলবে না। আমরা অনেকেই বাড়িতে ঢুকেই একটা ঠান্ডা জলের বোতল বের করে খেয়ে নিই। সেটা খুবই ক্ষতিকর। সব সময় উচিত ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় থাকা জল খাওয়া। সব সময় ঠান্ডা এবং গরমের পার্থক্যটাকে শরীরের সঙ্গে মানানসই করে নিতে হবে।
• ঘাম জমে চুলকানি হলে সেখানে অ্যান্টিফাঙ্গাল পাউডার ব্যবহার করুন। এই পাউডার অন্য পাউডারের সঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে লাগানো যেতে পারে।
• গরেমর এই সময়টা জাঙ্ক ফুড বা ভাজাভুজি, বেশি তেলমশলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন। বাড়ির হাল্কা খাবার খান।