
টম্যাটো জ্বর বাড়ছে দেশে, বাচ্চারাই ঝুঁকিতে, কীভাবে আগলে রাখবেন সন্তানকে
গুড হেলথ ডেস্ক
দক্ষিণ ভারতজুড়ে থাবা বসিয়েছে টম্যাটো জ্বর (Tomato Fever)। শুরুতে কেরলে সংক্রমণ ছড়িয়েছিল। এখন গোটা দক্ষিণ ভারত থেকেই বাচ্চাদের সংক্রমিত হওয়ার খবর মিলছে। পাঁচ বছর বয়স ও তার নীচের বাচ্চারাই হাই-রিস্ক গ্রুপে, এমনটাই জানাচ্ছে দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রক। জ্বর, পেট খারাপ, স্কিন র্যাশ সহ আরও উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। কোয়েম্বত্তূর, ওয়ালেয়ার, তামিলনাড়ু-কেরল সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে সাঙ্ঘাতিকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাল জ্বর।
মূলত শিশুরাই আক্রান্ত হচ্ছে এই রোগে। চিকুনগুনিয়ার উপসর্গের সঙ্গে কিছুটা মিল রয়েছে এই জ্বরের। তীব্র জ্বর, গা-ব্যথা ও ক্লান্তির মতো উপসর্গ দেখা যাচ্ছে রোগীর শরীরে। কিছু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে বমি ও পেটের গোলযোগও। তবে এই সব লক্ষণ ছাড়াও রোগীর দেহে দেখা যাচ্ছে ছোট ছোট লাল ফোস্কার মতো ক্ষত। ক্ষুদ্রাকৃতি টম্যাটোর মতো এই ফোস্কার কারণেই রোগটির নাম ‘টম্যাটো ফ্লু’।
কী কী উপসর্গ (Tomato Fever) দেখে সতর্ক হবেন?
ধূম জ্বর আসছে। এরপরেই সারা শরীরে চাকা চাকা লাল র্যাশ বের হচ্ছে। ত্বকের রঙ লালচে হয়ে যাচ্ছে।
খসখসে ত্বক, র্যাশের জায়গায় চুলকানি, ফোস্কার মতো ফুসকুড়ি।
নাক দিয়ে অনবরত জল পড়া।
বমিভাব, পেটে ব্যথা।
গলা, মুখ, জিভে ঘা, জ্বালাভাব, প্রদাহ।
খাবার খেতে সমস্যা।
ডায়েরিয়া
৩-৫ দিন থাকছে এইসব উপসর্গ। ডাক্তাররা বলছেন, এমন সব উপসর্গ দেখা দিলেই সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি করতে। অভিভাবকদের বলা হচ্ছে, বাচ্চারা যাতে র্যাশের জায়গায় না চুলকায় সেটা দেখতে, কারণ এতে ঘা হয়ে গিয়ে সংক্রমণ আরও বাড়ছে।
কীভাবে সন্তানকে আগলে রাখবেন বাবা-মায়েরা
চিকিৎসকরা বলছেন, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সতর্ক থাকলেই রোগের প্রকোপ (Tomato Fever) নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
স্কুল খুলে যাওয়ার পরে অনেক বাচ্চাই সংক্রমিত হচ্ছে। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া আটকাতে পরিচ্ছন্নতা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিকল্প নেই বলেই জানাচ্ছেন ডাক্তারবাবুরা।
বেশি করে জল খাওয়ান বাচ্চাদের। এই জ্বর হলে ডিহাইড্রেশন হতে পারে।
বারে বারে হাত ধুইয়ে দিতে হবে, স্যানিটাইজার রাখতে হবে সঙ্গে।
রাস্তার কাটা ফল, লস্যি-শরবত বা কোনওরকম স্ট্রিট ফুড চিপস, কোল্ড ড্রিঙ্কস খাওয়া চলবে না।
শিশুরা যাতে কোনও ভাবেই ফোস্কাগুলি না চুলকে ফেলে তার দিকেও দিতে হবে নজর। চুলকালে বিপদ বাড়তে পারে বলেও সতর্ক করেছেন চিকিৎসকরা।