Tomato Flu: টমেটো জ্বর ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে কেরলে, আক্রান্ত ৮০ জন শিশু

গুড হেলথ ডেস্ক

করোনার মধ্যেই আরও এক ভাইরাল জ্বর মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়ছে দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে। কেরলে ইতিমধ্যেই আক্রান্ত ৮০ জন শিশু। সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। চিকিৎসকেরা বলছেন এই ভাইরাল ইনফেকশনের নাম টমেটো ফ্লু (Tomato Flu)। জ্বর, পেট খারাপ, স্কিন র‍্যাশ সহ আরও উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। কোয়েম্বত্তূর, ওয়ালেয়ার, তামিলনাড়ু-কেরল সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে সাঙ্ঘাতিকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাল জ্বর।

পাঁচ বছরের নীচের শিশুদের মধ্যেই সংক্রমণ ছড়াচ্ছে

কেরল থেকে মেডিক্যাল টিম কোয়েম্বত্তূরে পৌঁছেছে। জানা গেছে, ৮০ জন শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। প্রত্যেকেরই বয়স পাঁচ বছর বা তার নীচে। আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। কেরলের স্কুল, অঙ্গনওয়াড়িগুলিতে ২৪ জন সদস্যের মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয়েছে (Tomato Flu)। সংক্রমিত শিশুদের নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে।

 Tomato flu

 

কী এই টমেটো জ্বর (Tomato Flu)?

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনও এক ভাইরাসের কারণেই এই জ্বর হচ্ছে। তবে কী ধরনের ভাইরাস তা চিহ্নিত করা যায়নি। এই জ্বর হলে শিশুদের ত্বকে দগদগে লাল র‍্যাশ বেরিয়ে যাচ্ছে। সারা শরীর লালচে হয়ে যাচ্ছে। তাই একে টমেটো জ্বর নামে ডাকা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের অনেকের দাবি, হতে পারে কোনও সংক্রামক ভাইরাসের কারণে এই জ্বর হচ্ছে অথবা ডেঙ্গি বা চিকুনগুনিয়ার কারণেও এমন ইনফেকশন হচ্ছে। আক্রান্তদের নমুনা পরীক্ষা করার পরেই সেটা বোঝা যাবে।

Dry Cough: বৃষ্টি পড়তেই খুকখুকে কাশি? বুকে সাঁই সাঁই শব্দ, আরাম মিলবে ঘরোয়া উপায়ে

কী কী লক্ষণ দেখা দিচ্ছে?

ধূম জ্বর আসছে। এরপরেই সারা শরীরে চাকা চাকা লাল র‍্যাশ বের হচ্ছে। ত্বকের রঙ লালচে হয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে ত্বকে চুলকানি হচ্ছে। শরীরে অস্বস্তি বাড়ছে, ডিহাইড্রেশনে ভুগছে শিশু।

র‍্যাশ বের হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই শরীরের তাপমাত্রা আরও বাড়ছে। ফুলে উঠছে অস্থিসন্ধিগুলো, সারা গা, হাত-পায়ে ব্যথা, পেশিতে টান ধরছে। অনেকের খিঁচুনিও হচ্ছে। পেট খারাপ, ঘন ঘন বমি হচ্ছে বাচ্চাদের। সেই সঙ্গেই সর্দি-শুকনো কাশি, নাক দিয়ে অনবরত জল পড়া, প্রচণ্ড ক্লান্তি-ঝিমুনি দেখা দিচ্ছে।

ডাক্তাররা বলছেন, এমন সব উপসর্গ দেখা দিলেই সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি করতে। অভিভাবকদের বলা হচ্ছে, বাচ্চারা যাতে র‍্যাশের জায়গায় না চুলকায় সেটা দেখতে, কারণ এতে ঘা হয়ে গিয়ে সংক্রমণ আরও বাড়ছে।