
আবহাওয়ার ভোলবদলে ঘরে ঘরে সর্দি-কাশি, জ্বর, এই সময়ে সুস্থ থাকতে কী কী খাবেন
গুড হেলথ ডেস্ক
অদ্ভুত খারাপ একটা সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি আমরা। ঘরে ঘরে জ্বর। করোনার মধ্যেই ছোঁয়াচে সর্দি-কাশির ভাইরাস ভোগাচ্ছে। ডাক্তারবাবুরা বলছেন, অ্য়াডেনোভাইরাস, রাইনোভাইরাসরা (Viral Fever) করোনার থেকে তিন গুণ বেশি ছোঁয়াচে। ভাইরাল জ্বরে তাই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। খিদে কম হচ্ছে, মুখে অরুচি। তাই এই সময়টাতে সুস্থ থাকতে ও ভাইরাস সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সঠিক ডায়েটই মেনে চলতে হবে।
কী খাবেন জ্বর হলে?
১) জ্বর হলে অনেকেরই মুখে স্বাদ থাকে না। খাবার রুচি থাকে না। তবুও খেতে হয়। রোজের ভাত-রুটি খেতে একান্ত ইচ্ছে না হলে সবজি দিয়ে বানানো স্মুদি খেতে পারেন। এতে স্বাদের একটু বদল হবে। পুষ্টির জোগানও মিলবে।
২) জ্বর হলে খাবার হজম হতে চায় না সহজে। তাই গুরুপাক খাবার এ সময় খাওয়া চলবে না। প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে মাংস খেতে পারেন। তবে একেবারেই তেল- মশলা দিয়ে রান্না করা মাংস নয়। সিদ্ধ করা মাংসের স্ট্যু বা স্যুপ চলতে পারে।
৩) চালে ডালে খিচুড়ি যে কোনও সময়েই দারুন হিট। তবে জ্বরের সময় সহজপাচ্য পাতলা খিচুড়ি খুব উপাদেয়। এতে পেটও ভরে, আবার পুষ্টির চাহিদাও মেটে।
৪) জ্বর হলে রোগী দ্রুত চাঙ্গা হওয়ার জন্য দুধ খেতে পারেন। তবে যাদের দুধ সহ্য হয় না, তারা অল্প করে দুধ দিয়ে পাতলা সুজি বানিয়ে খেতে পারেন।
৫) জ্বর হলে সকালে ও রাতে দু’ চামচ করে মধু-তুলসী খেতে পারেন। এতে জ্বরের পাশাপাশি সর্দি-কাশি থাকলে তাতেও উপশম মেলে।
৬) জ্বর হলে বেশি করে জল খাওয়া জরুরি। বারবার গরম চা করেও খেতে পারেন। তবে দুধ চা নয়। আদা মেশানো লিকার চা বা গ্রিন টি খান।
৭) জোর দিন ভিটামিন সি যুক্ত ফলমূলে। যেমন কমলালেবু, আমলকি, আনারস ইত্যাদি। কলাও রাখতে পারেন জ্বরের পথ্যে। কারণ কলায় কার্বোহাইড্রেটও বেশ ভাল পরিমানে থাকে।
৮) জ্বরের মুখে অল্প একটু ড্রাই ফ্রুট খেতে পারলে ভাল হয়। কারণ ড্রাই ফ্রুটে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি থাকে, ফলে অল্পতেই শরীরে শক্তি জোগায় ড্রাই ফ্রুট।
৯) ডাবের জল খেতে পারেন।
১০) প্রাথমিকভাবে জ্বর কমাতে প্যারাসিটামল খান। তবে তাতেও যদি জ্বর না কমে, তাহলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ভাল থাকুন।