
যন্ত্রণাহীন, বাঁচানোর সময়টুকু পাওয়া যায় না, সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ চিনে সতর্ক হন
গুড হেলথ ডেস্ক
নিঃশব্দে হানা দিচ্ছে হার্ট অ্যাটাক। যন্ত্রণাহীন। রোগীকে বাঁচানোর সময়টুকু পাওয়া যাচ্ছে না। এক ঝটকায় সব শেষ। পরপর দু’দিনে এমন পাঁচটি ঘটনা ঘটেছে। কার্ডিওলজিস্টরা বলছেন, এগুলো সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাকের (Silent Heart Attack) লক্ষণ।
যাঁদের উচ্চ রক্তচাপ বা রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি কিংবা যাঁদের স্থূলতার সমস্যা রয়েছে, তাঁদের হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। হার্ট অ্যাটাক যে কোনও বয়সে, যে কোনও সময়ে হতে পারে। ডাক্তারবাবুরা বলছেন, হার্ট অ্যাটাক নানাভাবে হতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ‘সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক’(Silent Heart Attack) – এরও শিকার হন অনেকে। ইদানীংকালে হচ্ছেনও। এই প্রকারের অ্যাটাকে সব রকম উপসর্গ দীর্ঘ সময় ধরে আসে। এই উপসর্গগুলি আমরা অনেক ক্ষেত্রেই অন্য রোগের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলি। অনেক সময়ে এই ধরনের হার্ট অ্যাটাকে সে ভাবে কোনও ব্যথাও অনুভব করেন না রোগী। কিন্তু ভিতরে ভিতরে ঘটে যায় হার্ট অ্যাটাক। আচমকাই আসে আর সব তছনছ করে দিয়ে চলে যায়।
সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাকের (Silent Heart Attack) লক্ষণ কী কী?
বুকের বাঁ দিকে ব্যথা তো বটেই, অনেক সময়ে গোটা বুক জুড়েই চাপ ও অস্বস্তি হতে পারে। দীর্ঘসময় ধরে এমন হতে থাকলে সাবধান হতে হবে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমরা হজম বা গ্যাসের সমস্যা ভেবে এড়িয়ে যাই।
বেশিরভাগ হার্ট অ্যাটাকে বুকের মাঝখানে বা বাম দিকে অস্বস্তি হয় যা কয়েক মিনিটের বেশি স্থায়ী হয় কিংবা তারপর চলে যায় এবং আবার সেই ব্যথা কিছুক্ষণ পরে ফিরেও আসে।
পরপর পাঁচ মৃত্যু দু’দিনে, নিঃশব্দে হার্ট অ্যাটাক! আচমকা বুকে চাপ, তারপর সব শেষ
পেটে ব্যথা, বদহজম, বুকজ্বালা এবং বমি বমি ভাব হার্ট অ্যাটাকের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। এক্ষেত্রে পেটের উপরের দিকের মাঝখানে ব্যথা হতে পারে এবং সাধারণত পেট ভারী লাগে।
অনেক সময়ে বুকের পেশিতেও টান পড়ে, সঙ্গে শ্বাসকষ্টের সমস্যাও দেখা যায়।
ঘাড়, কাঁধ, চোয়ালেও ব্যথা হতে থাকে, এমন হলে সাবধান হতে হবে।
অল্পেই ক্লান্ত হয়ে পড়া, সামান্য শারীরিক কাজেই হাঁপাতে দেখা যাবে।
ঠান্ডা না লাগলেও প্রচণ্ড কাশি, কফের সঙ্গে রক্ত বের হলে সাবধান হতে হবে, মহিলাদের ক্ষেত্রে এমন উপসর্গ (Silent Heart Attack) বেশি দেখা যায়।
এক জায়গায় বসে থেকেও ক্লান্তি আসতে পারে।
যখনই প্রচণ্ড মাথা ব্যথা হয়, আমরা ওষুধ খেয়ে থাকি। জেনে রাখুন, হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম লক্ষণ হল প্রতিদিনের প্রচণ্ড মাথা ব্যথা।
যদি মাঝেমধ্যেই পালস রেট ওঠা-নামা করে তাহলেও সতর্ক হতে হবে।
অতিরিক্ত চিন্তা, মদ্যপান, ফাস্ট ফুড বেশি খাওয়া, ডায়াবেটিস , ওজন বেশি থাকা ইত্যাদি ক্ষেত্রে সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি থাকে।