
বাড়ির সিঁড়িকেই বানিয়ে নিন জিম, ফিটনেসের দারুণ নিয়ম শেখাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা
গুড হেলথ ডেস্ক
জিমে যাওয়ার সময় নেই? এদিকে ওজন বেড়েই চলেছে। ফিটনেস বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জিমে না যেতে পারলেও চিন্তা নেই। বাড়ির সিঁড়িকেই বানিয়ে ফেলুন মিনি জিম। তাতেই কাজ হবে অনেকটা।
যাঁরা কখনও কোনও ব্যায়াম করেননি, তাঁরা একটা ভাল জুতো পরে সিঁড়ি দিয়ে ওঠা-নামা করুন ৫০ বার। অভ্যাস হয়ে গেলে দৌড়ে ওঠার চেষ্টা করুন। কিছুদিন পর আরও একটু স্ট্যামিনা বেড়ে গেলে সিঁড়িতেই লাঞ্জেস বা জাম্পস প্র্যাকটিস করে দেখতে পারেন।
সিঁড়িতে ব্যায়াম করার সময় খেয়াল রাখুন, হাঁটুতে যেন কোনও চোট না লেগে যায়। দরকারে নি-গার্ড পরে ব্যায়াম করুন। পর পর দু’দিন পায়ের ব্যায়াম করবেন না, মাঝে অতি অবশ্যই বিরতি দেওয়া দরকার।
আপনি সিঁড়িতে পুশ আপ করতে পারেন, করা যায় ট্রাইসেপ ডিপস আর কাফ মাসলের ব্যায়ামও। ব্যায়ামের আগে যথেষ্ট পরিমাণে জল খেতে হবে, শরীর যেন আর্দ্র থাকে।
যাঁরা ফ্ল্যাটবাড়িতে থাকেন তাঁরা হয় খুব ভোরে, না হলে অনেক রাতে সেখানে ব্যায়াম করুন, তখন সিঁড়ি ফাঁকা থাকার কথা
অনেকের পক্ষেই সাংসারিক চাপ বা কর্মক্ষেত্রের ধরনের জন্য আলাদা করে ডায়েট মেনে চলার অবকাশ থাকে না। তা হলে কি শরীর সুস্থ রাখার মূল বিষয়গুলো থেকে পিছিয়ে পড়বেন? মোটেও না। বরং সারা দিনের কাজের ফাঁকে ফাঁকেই ওয়ার্কআউট চালিয়ে যেতে হবে।
কর্মক্ষেত্রে লিফ্ট থাকলেও শারীরিক অসুস্থতা ছাড়া তা এড়িয়ে চলুন। যতটা পারবেন সিঁড়ি ভেঙে ওঠানামা করুন। প্রতি দু’ঘণ্টা অন্তর কারণে-অকারণে সিঁড়ি ভাঙুন। এই কাজে খুব একটা সময়ও যায় না। এতে পা ও কোমর ভাল রাখার যে সব ব্যায়াম রোজ হাতছাড়া হচ্ছে, তার ক্ষতি পুষিয়ে যাবে। দীর্ঘ ক্ষণ বসে কাজ হলে প্রতি এক ঘণ্টায় এক বার করে উঠুন। লন চত্বরে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে ২০ বার করে ২ সেট করে জগিং করে নিন। মিনিট পাঁচেক সময় হাতে পেলেই যথেষ্ট।
সিঁড়ি ভাঙার সময় মাঝে মাঝেই দুটো-তিনটে করে সিঁড়ি টপকে উঠুন। শরীর সোজা রেখে স্বাভাবিক গতিতে ওঠানামা করুন একবার। পরের বারই পা টানটান রেখে ধীর গতিতে উঠুন। এতে পেশির পরিশ্রম বেশি হয়ে ক্যালোরি ঝরবে।