
অনেকেই জন্মগতভাবে হাঁপানির (Asthma) সমস্যায় ভোগেন। কোনও কারণে যদি শ্বাসনালী সরু হয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাসে বাঁধার সৃস্টি হয়, তাহলেই হাঁপানি দেখা দিতে পারে। দূষিত হাওয়া, ধুলো, ফুলের পরাগরেণু বা বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে আসলে হাঁপানি রোগীদের শ্বাসনালী আরও সংকুচিত হয়ে যায়, যার ফলে শ্বাসকষ্ট ও কাশির সমস্যা দেখা দেয়।
হাঁপানির (Asthma) চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি। এই রোগকে পুরোপুরি নির্মূল করে দেওয়া যায় না, তবে উপযুক্ত সাবধানতা অবলম্বন করে রোগের উপসর্গ কম করা যায়।
স্থানে-অস্থানে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হলে বাড়ির কিছু সাধারণ উপাদান দিয়ে সেই সমস্যাকে প্রতিরোধ করা সম্ভব। চলুন সেগুলো সম্পর্কেই আজ জেনে নেওয়া যাক…
পেঁয়াজ: হঠাৎ শ্বাসকষ্ট (Asthma) শুরু হলে পেঁয়াজের সাহায্যে তা কম করতে পারেন। কাটা পেঁয়াজের ঝাঁঝ আমাদের নাসিকা পথকে পরিষ্কার ও সাময়িক প্রশস্ত করতে সাহায্য করে। এর ফলে তাৎক্ষণিক শ্বাসকষ্টের সমস্যা কমে।
লেবু: ঠান্ডা লেগে নাক বন্ধ হয়ে গেলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা আরও বাড়ে। তাই হাঁপানির প্রবণতা থাকলে রোজ লেবুর জল খেতে পারেন। এমনিতেও লেবু জল খুবই উপকারী। লেবুর অ্যান্টি-ভাইরাল ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
কফি: হাঁপানিতে শ্বাসকষ্টের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে গরম কফি খেতে পারেন। কফি আমাদের শ্বাসনালীকে প্রসারিত করতে সাহায্য করে, যার ফলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা কমে।
ল্যাভেন্ডার তেল: জলের মধ্যে কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার তেল ফেলে সেই জল ফুটিয়ে ভেপার নিলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া যায়।
এগিলো সাময়িকভাবে হাঁপানির কষ্টে আরাম দেয়। তবে দীর্ঘকালে হাঁপানি সমস্যাকে প্রতিরোধ করতে হলে আমাদের কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। যেমন-
১. ধূমপান ত্যাগ : হাঁপানি (Asthma) রোগীর বড় শত্রু ধোঁয়া। কোনও রোগী যদি জেনেশুনেই ধূমপান করেন, তাহলে তার চেয়ে খারাপ কিছু হয় না। শরীর সুস্থ রাখতে ও হাঁপানি প্রতিরোধ করতে ধূমপান একেবারে বন্ধ করুন।
২. ওজন নিয়ন্ত্রণ: হাঁপানির সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাটাও জরুরি। এতে সার্বিক স্বাস্থ্যই ভাল থাকে। পরিমিত পুষ্টিকর খাওয়া দাওয়ার অভ্যেস করুন।
৩. নিয়মিত শরীরচর্চা: প্রতিদিন কুড়ি থেকে ত্রিশ মিনিট হাঁটলে, দৌড়ালে অথবা যোগাসনের অভ্যাস করলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টের সমস্যাও দূরে থাকে।