Belly Fat: ভুঁড়ি বেলুনের মতো ফুলে উঠছে? কী কী কারণে বাড়ছে জানেন তো

গুড হেলথ ডেস্ক

পেটটা (Belly Fat) যেন ঠেলে বেরিয়ে আসছে। প্যান্টের বোতামও আঁটছে না। বেল্ট আঁটতে গেলেই হাঁসফাঁস দশা। উঠতে-বসতে শরীরটা যেন গড়িয়ে যাচ্ছে। বেশি হাঁটাচলা করলেই হাঁফ ধরছে। সিঁড়ি ভাঙতে গেলে রীতিমতো কান্না আসছে। বাঙালিরা এখন ভুঁড়ি নিয়ে জেরবার। পুরুষ হোক বা মহিলা, সকলের মুখে একই কথা। ভুঁড়িটা বেড়েই চলেছে। কিছুতেই কমছে না।

অনেককেই দেখবেন শরীরের অন্য কোথাও তেমন মেদ নেই, কিন্তু ভুঁড়িটা বেলুনের মতো ফুলে যাচ্ছে। কারও থলথলে চর্বি ভরা ভুঁড়ি আবার কারও শক্ত মেদে ঠাসা ভুঁড়ি। চল্লিশের পর থেকে শরীরের গড়ন যেমন বদলায় তেমনি মধ্য চল্লিশে ভুঁড়িটাও (Belly Fat) যেন মাথাচাড়া দিতে থাকে। শার্টের বোতাম ভেদ করে উঁকিঝুঁকি দেয়। যেমনই আকার, ওজন হোক ভুঁড়ি কিন্তু মোটেই ভাল ব্যাপার নয়। নানা রোগের কারণ হতে পারে ভুঁড়ি। তাই ভুঁড়ি বাড়তে দেখলেই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কমিয়ে ফেলতে হবে।

 Belly Fat

ভুঁড়ি (Belly Fat)  কীভাবে কমানো যায় সে নিয়ে এখন বিস্তর তথ্য নেটামাধ্য়মেই পাবেন। ডায়েট এবং এক্সারসাইজই ভুঁড়ি কমানোর সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপায়। এখন কথা হল ভুঁড়ি বাড়ছে কেন? কম খেয়েও ভুঁড়িকে বাগে আনা যাচ্ছে না।

ভুঁড়ি (Belly Fat) কী কী কারণে বাড়ে জানেন তো

ফ্যাট কিন্তু সবসময় শরীরকে মোটা করছে তা নয়। ভাল ফ্যাট এনার্জি সাপ্লাই দেয়। খাবারের সঙ্গে যে ফ্যাট ঢুকছে শরীরে তাকে উৎসেচক পুড়িয়ে শক্তি তৈরি করছে। এর জন্য কার্নিটিন ভিটামিন বি২ দরকার হয়। শরীরে যদি এই উপাদানের অভাব হয়, তাহলে ফ্যাট ঠিকমতো বার্ন হতে পারে না। তখন শরীর অতিরিক্ত ফ্যাট জমিয়ে রাখে। এর কারণেই ভুঁড়ি বাড়তে শুরু করে।

 belly fat

ভুঁড়ি (Belly Fat) পুরোপুরি কমিয়ে ফেলতে হলে খাবারে ভাল ফ্যাট রাখতে হবে যা মেদ হিসেবে জমা হবে না। ফল, সব্জি,  অ্যাভোকাডো, অলিভ অয়েল এমনকি ঘি-তে থাকা ফ্যাটও শরীরে মেদ সঞ্চয় করে না।

হরমোনের তারতম্যেও ভুঁড়ি বাড়তে পারে। কখনও অ্যাড্রিনালিন, কখনও সেক্স হরমোন, কখনও বা শরীরে ইনসুলিনের মাত্রার ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। একটি হরমোনের কাজ অন্যটির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। একটির ক্ষরণের তারতম্য হলে অন্যটির কাজও ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ফলে মেটাবলিজম প্রক্রিয়াতে গণ্ডগোল হয়। তখন খাবার ঠিকমতো হজম হয় না, ফ্যাট বাড়তে থাকে।

Belly Fat

প্রসেসড ফুডের মধ্যে খুব বেশি পরিমাণ রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট ও সুগার থাকে যা রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। সুগার যদি রক্তে চলে আসে এবং তা জারিত হয়ে এনার্জি তৈরি না হয়, তাহলেই মেদ হয়ে জমতে শুরু করে।

ভুঁড়ি বাড়লে ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়েরিয়া, অ্যাসিডিটির সমস্যা হয়। এগুলোর বেশির ভাগেরই কারণ ক্ষুদ্রান্ত্রে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ। অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস ও পাকস্থলীর অ্যাসিডের ঘাটতির জন্য এমনটা হয়ে থাকে। অন্ত্রে এইসব ব্যাকটেরিয়া বার থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ শুষে নেয়। ফলে রক্তে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পৌঁছয় না। যদি ঠিকঠাক ডায়েটের পরেও ভুঁড়ি না কমে তাহলে ডাক্তার দেখিয়ে চেকআপ করে নিন।