
অ্যারোমা বা সুগন্ধ প্রাচীন ভারতের ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে আছে। প্রাকৃতিক উপাদানের সুবাস শরীর ও মনে প্রতিক্রিয়া জাগায় এ বিষয় কোনও সন্দেহই নেই। সুন্দর গন্ধে মন সতেজ হয়, হতাশা দূর হয়। কৃত্রিমতা নয়, বরং প্রকৃতির নির্যাসেই রয়েছে ডাক্তারি।
প্রকৃতির এই নির্যাসই হল অ্যারোমা। ফুলের পাপড়ি, গাছের পাতা, কাণ্ড, শিকড় ইত্যাদির রস নিংড়ে তৈরি হয় অ্যারোমা অয়েল। এই নির্যাসে থাকে সুগন্ধ, রোগ সারানোর দাওয়াই। অ্যারোমাথেরাপিস্টরা এই নির্যাসকেই বলেন এসেনশিয়াল অয়েল (Essential Oils)।
‘এসেন্স’ (Essence) অর্থাৎ সুবাস বা সুগন্ধ। বিজ্ঞান ও প্রকৃতিকে একসূত্রে বাঁধে অ্যারোথেরাপি। প্রকৃতি থেকে রসদ নিয়েই তাকে বিজ্ঞানসম্মত উপায় বহু রোগের সঞ্জীবনী করে তৈরি করা হয়। কারণ সুগন্ধীর প্রভাব বহুদূর বিস্তৃত। ত্বক শুধু নয়, মাথা ও মনেরও ওষুধ। এক ফোঁটা সুগন্ধী তেল হতাশা দূর করতে পারে। বলিরেখা পড়া ত্বকের সজীবতা ফিরিয়ে আনতে পারে। স্নানের সময় কয়েক ফোঁটা অ্যারোমা তেল মুডই বদলে দেবে।
ত্বকের জেল্লা ফেরাতে কী কী এসেনসিয়াল অয়েল (Essential Oils) ব্যবহার করবেন
আরগন অয়েল ত্বককে ভিতর থেকে আর্দ্র করে। ত্বকে কোন দাগ, ছোপ, বলিরেখা থাকলেও দূর করে।
শিশির ভেজা গোলাপের নির্যাস থেকে তেল বের করে তৈরি হয় রোজ সেন্টিফোলিয়া। সৌন্দর্যচর্চায় এই অ্যারোমা তেলের কদর দেশে, বিদেশে ছড়িয়ে।
জোজোবা অয়েল ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারি। সব ধরনের ত্বকের জন্য কার্যকরী এই তেল (Essential Oils)। ত্বকের প্রদাহ কমিয়ে ত্বককে দেয় শীতল অনুভূতি।
শুষ্ক ত্বকের স্কিন টনিক হিসেবে দারুণ কাজ করে ক্যালেন্ডুলা অয়েল। ত্বকের অতিরিক্ত শুষ্ক ভাব দূর করে, সংবেদনশীল ত্বকের জন্যও এই তেল খুব উপকারি।
ঘুম কম হলে উষ্ণ গরম জলে মার্জোরাম বা গোলাপ অয়েল মিশিয়ে স্নান করলে, ঘুম ঠিকমতো হয়। জুনিপার, সাইপ্রাস, ইউক্যালিপটাস তেলেও স্ট্রেস ও উদ্বেগ দূর হয়।
সুইট আমন্ড অয়েলের রয়েছে হাইপোঅ্যালার্জিক গুণ। ভিটামিন ই, অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট থাকার কারণে ত্বকের জন্য খুবই ভাল।