
উচ্চ রক্তচাপ (Blood Pressure) বা হাই ব্লাড প্রেশার যে কত অসুখকে আমন্ত্রণ জানায়, তা একজন স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ মাত্রেই জানেন। হার্টের ব্যামো, মস্তিষ্কের স্ট্রোক, কিডনির অসুখ, ডায়াবেটিস বা অন্যান্য দুরারোগ্য ব্যাধিতে উচ্চরক্তচাপ রীতিমতো ইন্ধন জোগায়। তাই রক্তের চাপকে বশে রাখা খুব জরুরি।
রক্তচাপ (Blood Pressure:) আসলে কী?
রক্তের মাধ্যমেই আমাদের সারা শরীরে অক্সিজেন ও খাদ্য সরবরাহ হয়। শিরার মধ্যে দিয়ে রক্ত সারা শরীর থেকে হৃদপিণ্ডে আসে। আর হৃদপিণ্ড সঙ্কুচিত হলে প্রবল বেগে রক্ত সেখান থেকে ধমনীর মাধ্যমে আবার সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। এর জন্যে ধমনীর দেওয়ালে যে চাপ তৈরি হয় তাকে রক্তচাপ বলে। হৃদপিণ্ড সঙ্কুচিত হওয়ার সময় যে রক্তচাপ থাকে, তাকে ‘সিস্টলিক’ ও হৃদপিণ্ড সম্প্রসারণের সময় যে রক্তচাপ থাকে তাকে ‘ডায়াস্টলিক’ রক্তচাপ বলে।
একজন সুস্থ মানুষের রক্তচাপ (Blood Pressure) কত থাকা বাঞ্চনীয়?
রক্তচাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ১২০ মিমি / পারদ (সিস্টলিক) ও ৮০ মিমি / পারদ (ডায়াস্টলিক) থাকে।
দৌড়াদৌড়ি করলে, উত্তেজিত থাকলে আমাদের রক্তচাপ সাময়িকভাবে বেড়ে যেতে পারে। তবে বিশ্রামে থাকলে রক্তচাপ পুনরায় স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরত আসে।
কখন হয় উচ্চ রক্তচাপ?
অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, বিশ্রামরত অবস্থাতেও কারও কারওর রক্তচাপ (Blood Pressure) স্বাভাবিকের থেকে বেশি থাকে, এই শারীরিক অবস্থা যদি দীর্ঘদিন চলতে থাকে, তবে সেই ব্যক্তির উচ্চ রক্তচাপের প্রবণতা রয়েছে বলে ধরা হয়।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করবেন কী করে?
উচ্চ রক্তচাপের প্রবণতা থাকলে সতর্ক হওয়া ভীষণ দরকার। সুসংবদ্ধ জীবনশৈলী মেনে চললেই কিন্তু রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে রাখা যায়।
● মানসিক উত্তেজনা কমাতে হবে
● পর্যাপ্ত ঘুম (অন্তত ৭ ঘণ্টা) খুব দরকার
● ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে, বি এম আই যেন ২৫ এর কম থাকে, সে খেয়াল রাখতে হবে
● অল্প হলেও কায়িক পরিশ্রম করতে হবে, না হলে শরীরচর্চা বা ব্যায়াম করা মাস্ট
● ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে
● পুষ্টিকর সুষম খাদ্য খেতে হবে। জাঙ্কফুড যত কম খাওয়া যায়, ততই ভাল
● কিডনির সমস্যা থাকলে তার সঠিক চিকিৎসা করতে হবে
● উচ্চ রক্তচাপের প্রবণতা থাকলে একজন চিকিৎসকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে রক্তচাপের কমা-বাড়া লক্ষ্য রাখতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ খেতে হবে।