দাঁতের মর্ম বুঝুন ছোট থেকেই, বাচ্চাদের দুধের দাঁতকেও অবহেলা করবেন না

গুড হেলথ ডেস্ক

দাঁত থাকতেই দাঁতের মর্ম বোঝা উচিত।

বাচ্চাদের দাঁতের যত্ন নিতে হবে ছোট থেকেই (Child Dental Care)। দুধের দাঁতকেও অবহেলা করলে চলবে না। বাবা-মায়েরা অনেক সময় মনে করেন, ধের দাঁত থাকতে থাকতে বাচ্চারা যত খুশি চকোলেট, কেক, আইসক্রিম খেয়ে নিক। দুধের দাঁত পড়ে গিয়ে যখন নতুন দাঁত উঠবে, তখন যত্ন নিলেই হবে। এই ধারণা ভুল। কারণ দুধের দাঁতেই বেশি মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে দাঁতে ক্যাভিটি হতে পারে, ক্ষয়ে যেতে পারে দাঁত। মুখে দুর্গন্ধ, যন্ত্রণা হতে পারে। যদি সময়ের আগেই শিশুর দুধের দাঁত তুলে ফেলতে হয়, তাহলে পরবর্তী সময়ে নতুন দাঁত গজাতেও সমস্যা হয় (Child Dental Care)। তাই শিশুর দাঁতের যত্ন নিতে হবে ছোট থেকেই।

Premature Tooth

দুধের দাঁতেরও যত্ন নিন

স্পষ্ট উচ্চারণ, চোয়ালের গঠন ও মুখের আকৃতি ঠিক রাখা এই বিষয়গুলো দাঁতের সঙ্গে জড়িত। অনেক সময়ই বাচ্চাদের দাঁত উঁচু হয় বা দাঁতের গঠন এবড়োখেবড়ো হয়, তখন স্পষ্ট উচ্চারণ করতে সমস্যা হয়। বাচ্চা যদি সবসময়মুখে আঙুল দিয়ে থাকে, ঘুমনোর সময় আঙুল চোষে তাহলে দাঁত (Child Dental Care) উঁচু হতে পারে। এগুলো খেয়াল রাখতে হবে বাবা-মাকে।

সুস্থ সুন্দর দাঁতের জন্য ফাইবার ও সিট্রাস জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত। বাচ্চাদের আপেল, কলা, পেয়ারা, ও সবরকম মরসুমি ফল খাওয়ান। গোটা ফল কামড়ে খাওয়ানোর অভ্যাস করান।

প্রেগন্যান্সির ৪-৬ সপ্তাহের মধ্যে দাঁত তৈরির কাজ শুরু হয়ে যায়। এই সময় হবু মায়েদের বেশি করে ক্যালসিয়াম ও ফাইবার জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত।

বাচ্চাকে নিয়ম করে দু’বার ব্রাশ করানোর অভ্যাস করান। প্রতিবার খাওয়ার পরে ভাল করে মুখ ধুইয়ে দেবেন। মুখে জল নিয়ে ভাল করে কুলকুচি করানো শেখান।

জল খেতে হবে প্রচুর পরিমাণে। এতে দাঁতের এনামেল ভাল থাকে।

 Child's Teeth

 

দুধের দাঁত পড়ার পরে আরও যত্ন জরুরি

ছোটবেলায় দাঁতের সমস্যা না থাকলে যে পরিণত বয়সে তা হবে না, তা নয়। দাঁত ভাঙলে কিন্তু সে জায়গাটা জোড়া লাগে না, একবার ক্যাভিটি হলে বা মাড়িতে সমস্যা হলে তা ফিরে ফিরে আসতে পারে। তাই দুধের দাঁত (Child Dental Care) পড়ে নতুন দাঁত গজানোর সময় বাড়তি সতর্কতা দরকার।
Dental care

ভাল দাঁতের জন্য কিন্তু শিশুর খাওয়া-দাওয়ার উপরেও নজর রাখতে হবে৷ অতিরিক্ত মিষ্টি, চকোলেট জাতীয় চটচটে খাবার না খাওয়াই ভাল৷ কারণ মুখের লালারস দাঁত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে৷ অনবরত মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে থাকলে সেই সম্ভাবনাটা কমে যায়৷

জাঙ্ক ফুড, অতিরিক্ত তেলমশলাদার খাবার বাচ্চাকে দেবেন না। কোল্ড ড্রিঙ্কস, চিপস ইত্যাদি খাবার ছোট থেকে খাওয়ার অভ্যাস করলে ভবিষ্যতে দাঁত-মাড়ির সমস্যা হতে বাধ্য।

ডিপ্রেশন কাটাচ্ছে আলট্রাসাউন্ড থেরাপি? নতুন গবেষণায় সাফল্যের পথে বিজ্ঞানীরা

Dental Care for Kids

মাংসের হাড়, মাছের কাঁটা, সুপুরি ইত্যাদি শক্ত কিছু চিবোনোর সময় খেয়াল রাখুন, যাতে খাদ্যাংশ দাঁতের ফাঁকে ঢুকে না যায়। যদি সে সমস্যা হয়, তা হলে তাড়াতাড়ি ব্রাশ বা ফ্লস দিয়ে বের করে দিন।

বাচ্চা যেন কখনও টুথপিক বা সেফটিপিনের মতো কিছু দিয়ে দাঁত না খোঁচায় সেদিকে খেয়াল রাখবেন।

শিশুদের ফিডারে দুধ খাওয়ালে তাদের মাড়ি উঁচু হয়ে যেতে পারে (Child Dental Care)। মুখে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারে। বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর পরে ভাল করে মুখের ভেতর পরিষ্কার করে দিন।

বাচ্চাকে চুইংগাম চিবোতে দেবেন না, এতে দাঁতের এনামেলের ক্ষথি হয়। অনেক বাচ্চারই পেন্সিল বা পেনের মাথা কামড়ানোর অভ্যাস থাকে, সেটা যাতে না হয় খেয়াল রাখুন।

বাচ্চাকে খাবার ভাল করে চিবিয়ে খেতে শেখান। টিভি দেখতে দেখতে খাওয়াবেন না। সকলে একসঙ্গে বসে খান, এতে বড়দের দেখে বাচ্চাদের সঠিকভাবে খাবার চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস তৈরি হবে।