
ডেঙ্গি (dengue) হলে রক্তে অনুচক্রিকার সংখ্যা কমে যায়। সেই সঙ্গেই ডায়েরিয়ার কারণে ডিহাইড্রেশন হয়। এই রোগে শরীরে প্রচুর জলের প্রয়োজন। ডেঙ্গি হলে তাই বাচ্চা, প্রাপ্তবয়স্ক সকলেরই ডায়েটে প্রচুর পরিমাণ জল বা তরল খাবার রাখা প্রয়োজন।
ডেঙ্গি (dengue) বুঝবেন কী করে?
• শরীরের পেশি ও সন্ধিস্থলে প্রচণ্ড ব্যথা
• মাথা ও বিশেষ করে চোখের মণির পিছনে ব্যথা
• প্রস্রাব কম হওয়া
• ফিরে ফিরে ধুম জ্বর আসা
• জ্বরের সঙ্গে বমি বমি ভাব, পেটে ব্যথা, ডায়েরিয়া, সর্দি-কাশি
• আক্রান্ত হওয়ার ২-৫ দিনের মধ্যে ত্বকে লাল লাল র্যাশ
• হেমোরেজিক ডেঙ্গিতে নাক-মুখ দিয়ে রক্ত
• কালো পায়খানা সঙ্গে রক্ত
• ব্লাড প্রেশার কমে যাওয়া
চিকিৎসা কী?
জল, স্যালাইন তো রয়েছেই। সঙ্গে উপসর্গ দেখা দিলে ২-৩ দিনের মধ্যে এন এস ওয়ান অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করাতে হবে (dengue) । এ ছাড়া আই জি এম এবং আই জি জি এলাইজা টেস্টও করাতে হতে পারে। ডেঙ্গি ধরা পড়লে প্রতিদিন প্লেটলেট কাউন্ট করা দরকার। প্লেটলেট অতিরিক্ত কমে গেলে বাইরে থেকে প্লেটলেট দেওয়া হয়। এ সময় ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যাসপিরিন, আইব্রুফেন জাতীয় পেইনকিলার খাওয়া একেবারেই অনুচিত। এতে ক্ষতি আরও বেশি হবে। ডেঙ্গি হলে ডিহাইড্রেশন হতে পারে, তাই বেশি করে জল, ফলের রস, স্যুপ, ডাল ইত্যাদি তরল খাবার খাওয়া জরুরি।