Egg: ডিম খেলে হার্ট ভাল থাকে! কুসুম নাকি মোটেও কোলেস্টেরল বাড়ায় না

গুড হেলথ ডেস্ক

কে বলেছে ডিম খেলে হার্টের রোগের ঝুঁকি বাড়ে?

গবেষণা অন্য কথা বলছে।

চিনের একটি গবেষণা বলেছিল, ডিম খেলে মেটাবলিজম রেট বাড়ে। হৃদপেশি ও ধমনীর জন্যও স্বাস্থ্যকর ডিম। কাজেই ডিম খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি প্রায় ২৬ শতাংশ কমে যায়। বেজিংয়ের পেকিং ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক ডিম নিয়ে অনেক ভুল ধারণা ভেঙে দেন।

 eggs

এরপর জল অনেকদূর গড়িয়েছে। ডিম খেলে হার্ট ভাল থাকে না খারাপ সেই নিয়ে অনেক তথ্য সামনে এসেছে। তবে সম্প্রতি কানাডার বিজ্ঞানীরাও বলছেন, ডিম খেলে মোটেও হার্টের ক্ষতি হয় না। ডিমের কুসুম খাওয়ার সঙ্গে হার্টের অসুখের কোনও যোগসাজস নেই বললেই চলে। ডিমের কুসুমে থাকা কোলেস্টেরল থেকে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে এমন ঘটনার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বরং ডিম খেলে শরীর-স্বাস্থ্য ভাল থাকে। ডিমের পুষ্টিকর উপাদান স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভাল।

 eggs healthy

Tonsillitis: টনসিলের ব্যথা খুব ভোগাচ্ছে? মুঠো মুঠো ওষুধ ছাড়াই আরাম পাবেন

ডিমের (Egg) পুষ্টিগুণ অনেক। একটি ডিমে থাকে ৬ গ্রামের মতো প্রোটিন, ৫ গ্রাম ফ্যাট, ৬৭ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম, ১.৬ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট, ভিটামিন, আয়রন, ৭০ গ্রাম সোডিয়াম, ২১০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল এবং ৭৫ ক্যালোরি।

পুষ্টিবিদেরা বলছেন, রোজ ডিম খেলে একেবারই কোলেস্টেরল বাড়বে না। তবে বয়স কত, দিনে ক’টা খাচ্ছেন তার ওপর সব নির্ভর করছে।

Eating Eggs

বয়স কম হলে দিনে দুটো বা তিনটে ডিম খাওয়া অস্বাস্থ্যকর নয়। তবে যদি ওজন বেশি হয় এবং রক্তচাপের সমস্যা থাকে তাহলে ডিমের কুসুম বাদ দিয়ে খাওয়াই ভাল। তবে ডিমের কুসুম যে খারাপ, তা কিন্তু একেবারেই নয়। পুষ্টিবিদদের মতে, ডিমে রয়েছে ফসফরাস, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্ক, ক্যালশিয়াম, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, সেলেনিয়ামের মতো উপকারী কয়েকটি উপাদান। ডিমের সাদা অংশের তুলনায় কুসুমে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি।

আমেরিকান কলেজ অফ কার্ডিওলজির পুষ্টিবিদেরাও দেখেছেন, ডিমের কুসুমে থাকা কোলেস্টেরল হৃদপিণ্ডের ধমনীকে ভাল রাখায় হার্টের অসুখের ঝুঁকি কমে। হার্টের অসুখ বা কোলেস্টেরল থাকলে অনেকেই ডিম খেতে ইতস্তত করেন। কিন্তু গবেষণা বলছে, আমাদের রোজকার খাবারে প্রোটিনের স্বাভাবিক উৎস ডিম। এই প্রোটিন আমাদের মস্তিষ্ক আর পেশি গঠনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয়। ডিমে আছে এমন কিছু অ্যামাইনো অ্যাসিড যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেবার সঙ্গে সঙ্গে মানসিক স্থিরতা বাড়ায়। কম ক্যালোরি এদিকে বেশি প্রোটিন, তাই ওজন ঠিক রাখার পাশাপাশি যথাযথ পুষ্টিও মেলে ডিম থেকে।

অনেকেই কাঁচা বা আধ সেদ্ধ ডিম পছন্দ করেন। এটি একেবারেই নিরাপদ নয়, জীবাণুর সংক্রমণে অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। পুরো সেদ্ধ বা রান্না করা ডিমই ভাল। অ্য়ালার্জির ধাত থাকলে অবশ্য ডিম খাওয়া যাবে না। কিন্তু তাছাড়া ডিম খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়বে এই তথ্যটা নাকি একেবারেই ঠিক নয়। অন্তত বিজ্ঞানীদের দাবি এমনটাই। তাই ডিম-প্রেমীরা ভয় না করে মনের আনন্দে ডিম খান।