
বৃদ্ধ বয়সের সমস্যা অনেক। তাছাড়া অসুখবিসুখ তো আছেই। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সন্তানেরা কাজের সূত্রে অন্য শহরে বা দেশে থাকেন। ফলে বাবা-মায়ের দেখাশোনা করার সুযোগ নেই বললেই চলে (Health-care of Elderly)। বা যাঁরা এক শহরেও আছেন, তাঁরাও সময়ের অভাবে বৃদ্ধ অভিভাবকদের পাশে থাকতে পারেন না বেশিরভাগ সময়েই। অথচ ষাট পেরিয়ে গেছে যাঁদের তাঁদের নিজেদের শরীরের দিকে বিশেষ যত্ন নেওয়া দরকার। ডয়েট, ব্যায়াম সবকিছুই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মতোই করা উচিত।
রোজ সকালে মর্নিং ওয়াক করার অভ্যাস থাকে অনেকের। বিকেল বা সন্ধের দিকেও হাঁটতে বেরোন বয়স্করা। হাঁটা শরীরের জন্য ভাল, তবে কীভাবে হাঁটছেন, কতটা সময় হাঁটছেন, সেই আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো মাথায় আছে কিনা সেটাও খেয়াল রাখতে হবে।
কী কী নিয়ম মানবেন?
১) সকালে হাঁটতে যাওয়ার আগে ভারী খাবার একদম খাবেন না। হাঁটতে যাওয়ার আগে বেশি পরিমাণে জল খাওয়া জরুরি যাতে শরীর হাইড্রেটেড থাকে। হাল্কা কিছু খেতে পারেন, ড্রাই ফ্রুটস থাকলে সেটা খেয়ে হাঁটতে যান।
২) বার্ধক্যজনিত কারণে মনস্তাত্বিক পরিবর্তন দেখা দেয়। তখন হাঁটার ধরণ পাল্টে যায়। হাঁটা শুরুর আগে পিঠ, নিতম্ব, হ্যামস্ট্রিংয়ের স্ট্রেচিং করে নিন। সব বয়সের জন্যই এটা জরুরি।
৩) খুব জোরে হাঁটবেন না। ছোট ছোট স্টেপ ফেলুন। কিছুক্ষণ হাঁটার পরে যদি দেখেন শ্বাসের সমস্যা হচ্ছে তাহলে থেমে যান। বিশ্রাম নিন, তারপর হাঁটুন।
৪) ঢিলেঢালা জুতো পরে হাঁটলে গতি কমে আসে। আবার অতিরিক্ত নরম জুতোও হাঁটার জন্য উপযোগী নয়। কী ধরনের জুতো পরবেন সেটা বাছাই করে নেওয়া জরুরি।
৫) হাঁটার সময় পায়ের গোড়ালি সবার আগে মাটি স্পর্শ করবে, এরপর মাটি ছোঁবে পায়ের সামনের অংশ। আর পা তোলার সময় পায়ের বুড়ো আঙুল মাটিতে ধাক্কা দেবে। এছাড়া হাঁটার সময় হাতের সঠিক ব্যবহার করতে হবে। এ সময় হাত কনুই থেকে ভাঁজ হয়ে থাকবে। ছোট ছোট পদক্ষেপ করতে হবে।
৬) কানে হেডফোন গুঁজে হাঁটবেন না।
৭) হাঁটতে যাওয়ার আগে কিছু জিনিস সঙ্গে রাখুন–একটা ব্যাগে জলের বোতল, ঘাম মোছার রুমাল বা ছোট টাওয়েল, যদি হার্টের রোগী হন তাহলে প্রয়োজনীয় ওষুধ সঙ্গে রাখতে পারেন। তবে ব্যাগ যেন ভারী না হয় খেয়াল রাখবেন।যদি জলের বোতল নিতে সমস্যা হয় তাহলে পর্যাপ্ত জল খেয়ে বেরোন। মোবাইল অবশ্যই সঙ্গে রাখবেন যাতে কোনও সমস্যায় পড়লে দ্রুত বাড়ির লোকজনকে খবর দিতে পারেন।