Female Infertility: সবসময় দুশ্চিন্তা? মানসিক অবসাদও মহিলাদের বন্ধ্যত্বের কারণ হতে পারে

গুড হেলথ ডেস্ক

পলিসিস্টিক ওভারি বা অন্য কোনও শারীরিক সমস্যা নয়, মহিলাদের বন্ধ্যত্বের (Female Infertility) অন্যতম কারণ হতে পারে অতিরিক্ত চিন্তা, স্ট্রেস ও মানসিক অবসাদ। অনেক চেষ্টার পরেও সন্তান আসছে না, পরিবার-পরিজনের নানা কথা, কী ধরনের চিকিৎসা হবে, আইভিএফ কাজ করবে কিনা, আইভিএফ ফেল করলে কী হবে—ইত্য়াদি একরাশ উৎকণ্ঠা ও দুশ্চিন্তা নিয়েই কাটান বেশিরভাগ দম্পতি। এখনকার সেডেন্টারি লাইফস্টাইলে সকলেই ছুটছেন। তারপর এখন অনেকেই বেশি বয়সে বিয়ে করছেন। তাই সন্তানধারণে অনেক রকম জটিলতা হচ্ছে। সে নিয়ে ভয় ও দুশ্চিন্তাও বাড়ছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, অতিরিক্ত চিন্তা, মনের ওপর চাপ মহিলাদের বন্ধ্যত্বের (Female Infertility) কারণ হতে পারে।

Female Infertility

মানসিক অবসাদও (Female Infertility) যে বন্ধ্যত্বের অন্যতম কারণ সে নিয়ে এখন গবেষণা চলছে। বলা হচ্ছে, স্ট্রেসকে প্রশ্রয় দিলে মুশকিল। স্ট্রেস শুরু হলে ক্রমে তা বাড়তেই থাকে। এমনকী অনেকের নিজের প্রতি বিতৃষ্ণা তৈরি হতে থাকে, যা প্রেগন্যান্সিতে সমস্যা তৈরি করে। বাচ্চা জন্মানোর আগেই অনেকে ভেবে নেন সন্তানধারণে সমস্যা হবে, এই ভাবনা থেকেই মানসিক জটিলতা বাড়ে, ফলে রক্তচাপও বাড়তে থাকে। নার্ভের সমস্যাও দেখা দেয় অনেকের। অ্যাকিউট ডিপ্রেশনে চলে যান অনেক মহিলা।

Pollution Heart Failure: বিষবাষ্প ছাড়খাড় করে হৃদপিণ্ড, ছন্দ হারাতে পারে হার্ট

 women and infertility

ডাক্তারবাবুরা বলছেন, আমি কেন পারব না! এই অতিরিক্ত চাপ পিট্যুইটারি গ্ল্যান্ডে ও হাইপোথ্যালামাস গ্ল্যান্ডগুলোতে চাপ ফেলে হরমোনের গন্ডগোল তৈরি করে। হরমোনের ভারসাম্য বিগড়ে গেলে ক্ষতিই হয়। বন্ধ্যত্ব নিয়ে মেয়েদের দোষারোপ করার ব্যাপারটা আজও রয়েছে। অনেক পরিবার এখনও বন্ধ্যত্বের জন্য মেয়েদেরকে দায়ী করে, পুরুষকে নয়। সন্তান আসছে না বলে ভেতরে ভেতরে টানাপড়েন, মুষড়ে পড়া (Female Infertility) । যা থেকে অবসাদ গ্রাস করে  সঠিক কাউন্সেলিংয়ে সমস্যার সমাধান হতে পারে। ডাক্তাররা বলছেন, বন্ধ্যত্ব নিয়ে অনেক মনগড়া ধারণা তৈরি হয় মহিলাদের। হয়ত কোনও শারীরিক সমস্যাই নেই, তাও চেষ্টার পরে সন্তান আসছে না কেন এই চিন্তায় অনেকেই ভেবে বসেন তাঁরা ইনফার্টিলিটিতে ভুগছেন। এই ভাবনাই বড় হয়ে ডিপ্রেশন তৈরি করে। তখন সত্যিই সত্যিই জটিলতা দেখা দেয়। তাই দুশ্চিন্তা না করে সঠিকসময় ডাক্তারের পরামর্শ নিতেই বলা হচ্ছে।