
মোবাইল কেনার সময় আজকাল আমরা কত কিছুই না দেখি! Ram, Rom বেশি কিনা, ব্যাটারি ব্যাকআপ কতক্ষণের, প্রসেসর কেমন, ডিসপ্লে চওড়া কিনা, ক্যামেরা কোয়ালিটি কতটা ভাল, গেমিং পারফরম্যান্স কেমন, স্ক্রিন কতটা ব্রাইট- আরও কত কী (Mobile Bad Effects)! কিন্তু প্রাণের চেয়েও প্রিয় মুঠোফোনটি কতটা স্বাস্থ্য সাশ্রয়ী, সেদিকে আমাদের ক’জনেরই বা নজর থাকে! বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মোবাইলে বুঁদ হয়ে থাকা এই প্রজন্মের মোবাইল ব্যবহারেও সচেতনতা জরুরি। মস্তিষ্কের বিরামের জন্য তো বটেই, কান ও চোখের জন্যও মোবাইল বাছাই ও ব্যবহারে সাবধানী হওয়া প্রয়োজন।
মোবাইল ব্যবহারের ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক সম্পর্কে নতুন করে জেন ওয়াইকে জানানোর বিশেষ তাগিদ নেই (Mobile Bad Effects)। তবে মোবাইল কেনার সময় সেটি চোখ ও কানের জন্য কতটা নিরাপদ, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা আমাদের থাকবেই।
মোবাইল ফোন কেনার সময় ডিসপ্লের সাইজের থেকেও ডিসপ্লের গুণগত মান সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হওয়া প্রয়োজন। সারাক্ষণ সে স্ক্রিনের দিকে চোখ নিবদ্ধ থাকবে, সেই পর্দা চোখের পক্ষে যত বেশি আরামদায়ক ও কম ক্ষতিকারক, ততই ভাল। মোবাইল কেনার সময় এ দিকটাও একটু নজরে থাকুক।
মোবাইল কীভাবে শরীরের ক্ষতি করতে পারে?
সাধারণত কল করা, মেসেজ পাঠানো, ছবি শেয়ার করার মতো কাজ ফোনে রোজ করা হয়ে থাকে। ফোন আমরা যতক্ষণ ব্যবহার করছি ততক্ষণ রেডিও ওয়েভ এবং মাইক্রোওয়েভ ফোন থেকে বেরোয় ও ঢোকে। এই ওয়েভের রেঞ্জ প্রায় ৮০০ থেকে ২৬০০ মেগাহার্টজ। অবশ্য ফোনের নেটওয়র্কের উপরে নির্ভর করে এই মাত্রার ওঠানামা। এই মাইক্রোওয়েভ থেকেই কিন্তু সমস্যার সূত্রপাত (Mobile Bad Effects)। মনে রাখতে হবে, ওয়েভ যত মাইক্রো বা সূক্ষ্ম হবে, তার প্রভাব পড়বে বেশি। ঠিক যেমন আতসকাচে আলো পড়লে উল্টো দিকে তার ফোকাসে থাকা কাগজে আগুন ধরে যায়। ঠিক সে ভাবেই মাইক্রোওয়েভ যেখান দিয়ে ঢুকছে সেই জায়গায় ক্ষতি করতে বাধ্য। চোখ, কান দিয়ে যে রেডিও ও মাইক্রোওয়েভ রশ্মি ঢুকছে তা শুধু পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের ক্ষতি করছে তা নয়, শরীরে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলিরও ক্ষতি করছে।
জিম করতে পারছেন না হাঁটুন, কতটা হাঁটলে ওজন কমবে জেনে নিন হিসেব
মোবাইল ব্যবহারের সময় চোখের জন্য মেনে চলুন কয়েকটি সাধারণ বিষয়
● একটানা বেশিক্ষণ স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকবেন না। মাঝে মাঝে স্ক্রিন লক করে একটু দূরে তাকিয়ে নিন। এতে দৃষ্টির অতটাও ক্ষতি হবে না।
● মোবাইল স্ক্রিনটিকে অপ্টিমাম কোয়ালিটিতে রাখুন, যাতে গ্লেয়ার কম থাকে।
● সারাক্ষণ মোবাইল স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে না থেকে মাঝে মাঝে সচেতনভাবেই চোখের পলক ফেলুন।
● মোবাইলের রিডিং মোডটা সারাক্ষণ অন রাখলেই চোখের ভাল।
● খুব বেশি মোবাইল ব্যবহারের অভ্যাস থাকলে একটা অ্যান্টি-রিফ্লেকটিভ কোটিং-যুক্ত চশমা ব্যবহার করুন।
মোবাইল থেকে কানে শোনার ক্ষতিও হতে পারে। দীর্ঘক্ষণ মোবাইল কানে ঠেকিয়ে কথা বললে ফোনের রেডিয়েশন ও উত্তাপ দুইই ক্ষতির কারণ হতে পারে। ঠিক এই জন্যই মোবাইল কেনার সময় এসএআর ভ্যালুটা একটু দেখে নেওয়া জরুরি। এসএআর ভ্যালু বলতে বোঝায়, স্পেসিফিক অ্যাবজর্বশন রেট বা নির্দিষ্ট শোষণ হার। এসএআর ভ্যালু যে ফোনে ১.৫-এর চেয়ে বেশি, সে ফোনে ক্ষতিও বেশি। তাই মোবাইল কেনার সময়ে এ দিকটাও নজরে থাকা দরকার। উল্লেখ্য, যে কোনও ফোনের এসএআর ভ্যালু চেক করা যায় *#07# ডায়াল করে।