
Heat Wave Precautions: তাপদাহে ভাইরাল ইনফেকশনও বাড়ে, সুস্থ থাকার উপায় বললেন ডাক্তারবাবু
গুড হেলথ ডেস্ক
গরম বাড়ছে। তাপপ্রবাহে নাভিশ্বাস উঠছে সাধারণ মানুষের (Heat Wave Precautions)। তাপমাত্রা আরও বাড়ার সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। এই প্রচণ্ড তাপদাহে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়েছে। বিশেষ করে বয়স্ক মানুষজন ও যাঁদের আগে থেকেই নানা রকম অসুস্থতা রয়েছে, তাঁরা হাইরিস্ক গ্রুপে রয়েছেন। এই গরমে ডিহাইড্রেশনও বড় সমস্যা। এমন সময় শরীর সুস্থ রাখতে ও হিট স্ট্রোকের (Heat Wave Precautions) বিপদ এড়াতে কী কী করা উচিত তার প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছেন সল্টলেক মণিপাল হাসপাতালের ইন্টারনাল মেডিসিন ও ক্রিটিকাল কেয়ারের কনসালট্যান্ট ড. দীপঙ্কর সরকার।
ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ে
শীত শেষ হয়ে প্রচণ্ড গরম পড়ার আগের সময়টাতে ভাইরাসের সংক্রমণ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। ভাইরাল জ্বর, ডায়ারিয়া, ত্বকের সংক্রমণ ভোগায়। এই সময় অনেক বেশি সতর্ক হতে হবে। রাস্তার কাটা ফল, স্ট্রিট ফুড, জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। বাড়ির হাল্কা খাবার খান। বেশি করে জল খান। মরসুমি ফল ও শাকসব্জি নিয়মিত খাবার চেষ্টা করুন।
পরিমিত জল খান
যাঁদের কোনওরকম শারীরিক অসুস্থতা নেই, তাঁরা বেশি করে জল খান। তবে হার্টের রোগী, কিডনির অসুখ বা অন্য কোনও কোমর্বিডিটি থাকলে জল খেতে হবে পরিমিত। সেক্ষেত্রে কতটা জল সারাদিনে দরকার তা ডাক্তারের থেকে জেনে নিতে হবে। এই সময় ডিহাইড্রেশনের সমস্যা ভোগায়। শরীর চনমনে রাখতে জল, ফলের রস বেশি করে খান।
রোদে বেরলে সাবধান
চড়া রোদে দুপুরের দিকে রাস্তায় না বেরনোই ভাল। যদি বেরতে হয় তাহলে ছাতা, টুপি সঙ্গে রাখতে হবে। পা ঢাকা জুতো হলে ভাল হয়। হাল্কা সুতির ধরনের পোশাক পরুন।
ত্বক ভাল রাখতে
সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। হাল্কা, ঢিলাঢালা পোশাক পরুন। স্কিন টাইট পোশাক না পরাই ভাল।
এসি-তে থাকলে নিয়ম মানুন
যাঁরা বেশি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে থাকেন, কনকনে ঠান্ডা জল খাওয়ার প্রবণতা থাকে, গরম থেকে বেরিয়েই দীর্ঘ সময় এসি ঘরে কাটান তাঁদের অসুখ চট করে ধরে নেবে। প্রচণ্ড গরম থেকে এসে এসি ঘরে ঢোকার আগে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। আবার এসি থেকে বেরিয়েও কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে। শরীরকে স্বাভাবিক তাপমাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সময় দিতে হবে।
ডায়ারিয়া বড় সমস্যা
এই গরমে ঘন ঘন পেট খারাপ হয়। তাই রাস্তার খাবার, বিশেষত কাটা ফল বা লস্যি, ফলের রস না খাওয়াই ভাল। ভাল করে সিদ্ধ করে রান্না করা খাবার খান। সব সময় জল সঙ্গে রাখবেন। দূষিত জল থেকে সংক্রমণ ছড়ায়।
হিট স্ট্রোক এড়াতে
শরীর ঠান্ডা রাখতে হবে। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ছায়ায় বা অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা জায়গায় নিয়ে যান। চোখেমুখে জলের ঝাপটা দিন। পারলে ঠান্ডা জলে গা স্পঞ্জ করিয়ে দিন। বিপদ অনেক কেটে যাবে।