Hemorrhoids: পাইলস নিয়ে ভয় পাবেন না, সার্জারি এড়াতে নিয়ম মানুন

গুড হেলথ ডেস্ক

পাইলস মানেই আতঙ্ক। বাথরুমে যাওয়ার কথা ভাবলেই যন্ত্রণায় যেন সারা শরীরে শিউরে ওঠে। ডাক্তারি ভাষায় একে বলে হেমোরয়েডস (Hemorrhoids)। শুধুমাত্র কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগীরা পাইলসের কষ্ট ভুগবেন এমনটা নয়, রোজকার জীবনযাপনে খাদ্যাভ্যাস, অনিয়ম ইত্যাদিও এই যন্ত্রণা বয়ে আনতে পারে। হেমোরয়েডসের বিভিন্ন প্রকার হতে পারে। এর উপসর্গ চিনতে হবে। চিকিৎসা পদ্ধতি আলাদা আলাদা।

পাইলস কেন হয়? 

শরীরে থেকে মল বেরিয়ে আসার আগে রেকটাম ও মলদ্বারের মাঝামাঝি জায়গায় অবস্থান করে। মলত্যাগ করার সময় তা অ্যানাল ক্যানালে চলে যায় ও যথাসময়ে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। অ্যানাল ক্যানালের দেওয়ালে মিউকো সেল লাইনিং থাকে। আর থাকে কিছু সাপোর্টিং লিগামেন্ট। কোষ্ঠকাঠিন্যে বা অন্য কোনও কারণে বেশি চাপ দিলে ওই লিগামেন্টগুলো ছিঁড়ে যায়। ফলে মলের সঙ্গে রক্ত পড়ে। পায়ুপথ বা অ্যানাল ক্যানেলের কাছে সিস্টেমিক আর পোর্টাল সিস্টেম জোড়া লাগানো আছে। দু’টি সিস্টেমে শিরা-ধমনীর যোগাযোগও ওই জায়গায় হয়। স্বভাবতই শরীরের কোনও একটা সিস্টেমে চাপ পড়লে ক্ষতিগ্রস্ত হয় শিরাগুলো। এই সমস্যাকে বলে পাইলস বা অর্শ। পাইলস্ তেমন ব্যথা হয় না।

Piles

অর্শ রোগে মলদ্বার থেকে মলত্যাগের সময় রক্ত পড়ে। কখনও তার পরিমাণ কম, কখনও বেশি। কখনও তা অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক, আবার কখনও বিনা যন্ত্রণায় অঝোরে রক্তপাত হয়ে যায়। অনেকের মলদ্বার ফুলে ওঠে আবার কারও-কারও মলদ্বার থেকে মাংসপিণ্ড ঝুলে পড়ে

 

কী কী কারণে হতে পারে?

আনাজ, ফল ও ফাইবারযুক্ত খাবার কম খাওয়া।

দীর্ঘ সময় ধরে কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়ারিয়ার সমস্যা থাকলে।

অতিরিক্ত ওজন

লিভার সিরোসিস

জল কম খাওয়া

পরিবারে কারও পাইলস থাকলে

 

কীভাবে রোগের উপশম হবে?

ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে অবশ্যই। হিলিং জেল দেন ডাক্তাররা যা যা ইনফেকশন ও ফোলা ভাব কমায়। অ্যানাস্থেটিক জেলে যন্ত্রণা অনেকটা কমে। তাছাড়া পেন রিলিভিং জেল আছে যাতে চুলকানি ভাব কমে যায়।

অস্ত্রোপচার না চাইলে জীবনযাপনে বদল দরকার। আনাজ বেশি করে খেতে হবে। জলও প্রচুর পরিমাণে খাওয়া দরকার।

টক দইও রাখতে হবে রোজকার পাতে। টক দই কোষ্ঠ পরিষ্কার রাখে।

খাদ্যতালিকা থেকে মাংসের পরিমাণ কমাতে হবে। মাংস কিন্তু কোষ্ঠকাঠিন্যের অন্যতম কারণ। বেশি মাংস খাওয়া হয়ে গেলে পরিমাণ মতো জল ও ফাইবারও খেতে হবে।

রোজকার কাজের মাঝে একটু হাঁটাহাঁটি, দৌড়ানো ও ব্যায়াম রাখতে হবে।

ওষুধ ও জীবনযাপন বদলেও রোগ না সারলে তখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে অপারেশনের পথ বেছে নিতে হবে।

পায়ুদ্বারে রক্তক্ষরণের সমস্যা সমূল নিরাময় না হলে তা ডেকে আনতে পারে রক্তাল্পতার মতো অসুখও। তাই নিয়ন্ত্রিত জীবনচর্যা আর ব্যালান্সড ডায়েটের মাধ্যমে মলত্যাগের সুঅভ্যেস গড়ে তুললেই প্রতিহত করা যায় পায়ুদ্বার সংক্রান্ত যে কোনও অসুখ।