
আপনার ঘুম কি খুব পাতলা? রাতে বার বার ঘুম ভেঙে যায়? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাতভর যদি বার বার ঘুম ভাঙে (Irregular Sleeping) তাহলে সেটা ভাল লক্ষণ নয়। কম ঘুম বা অনিদ্রার সমস্যা থাকলে তার থেকেই শরীরে বাসা বাঁধতে পারে নানা রোগ। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, অস্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইলই বাড়িয়ে দিচ্ছে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি। তার মধ্য়ে কম ঘুমও একটা কারণ বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
কম ঘুমেই কি বাড়ছে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি?
কম ঘুমোলে বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা দেখা দেয়— যেমন ডায়াবেটিস, হৃদযন্ত্রজনীত সমস্যা, ডিমেনশিয়া। নিয়মিত কম ঘুম হলে, তাতে মানসিক সমস্যাও হতে পারে। অবসাদ, অবসন্নতা ছাড়াও বাইপোলার ডিজর্ডারের প্রবণতাও বেড়ে যেতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বয়সকালে ঘুম কমে যায়। কিন্তু এখন কমবয়সীরা এত বেশি সোশ্যাল মিডিয়া আর নেট মাধ্যমে ব্যস্ত যে ঘুমের সময়েই নেই তাদের। রাতভর ল্যাপটপ, মোবাইলে সিনেমা, সিরিজ দেখা, কানে হেডফোন গুঁজে গান শোনা ঘুমের সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। স্লিপিং ডিসঅর্ডারের সমস্য়া এখন ঘরে ঘরে।
ঘুম সঠিক হলে নিয়ন্ত্রণে থাকে অনেক কিছু। রক্তচাপ থেকে, রক্তে শর্করার মাত্রা হোক কিংবা ওজন। এসবেরই ভারসাম্য বজায় রাখা যায় সঠিক ঘুমের মাধ্যমে। বয়স বাড়তে থাকলে ঘুমের (Sleep) সময় কমতে থাকে। বিশেষ করে ৩০ থেকে ৪০ বছর বা তার বেশি বয়সীদের ৭ ঘণ্টা ঘুমই আদর্শ। তবে নিশ্ছিদ্র টানা ঘুম। তাহলেই শরীর ভাল থাকবে। এর বেশি ঘুম আলস্য বাড়াবে, মেদ বৃদ্ধির কারণ হবে।
ক্লান্তিহীন নিশ্চিন্ত ঘুম পেতে হলে কিছু নিয়ম মানতেই হবে। ওষুধের বদলে বরং মানসিক স্থিতিতে কাজে দেয় বেশি। প্রতিদিন শোয়ার আগে কিছুক্ষণ মেডিটেশন করতে। মন শান্ত রেখে প্রাণায়াম বা যোগব্যায়ামে খুব দ্রুত কাজ হয়। রাতের খাওয়া আর ঘুমের মধ্যে অন্তত এক থেকে দুই ঘণ্টার বিরতি থাকতে হবে। এই সময় হাঁটাহাঁটি করলে খাবার হজম হয় দ্রুত। পাকস্থলী শান্ত থাকে, অম্বলের বাড়বাড়ন্ত হয় না। ঘুমও হয় সুন্দর, শরীরে চাহিদা মাফিক। অতিরিক্ত চিন্তা-ভাবনা না করাই ভাল, বিশেষত ঘুমনোর সময়। স্ট্রেস ফ্রি হয়ে ঘুমোতে যান।