
সারাদিনের যত ঝড়-ঝাপটা সইতে হয় আমাদের দুটো হাতকেই। ঘরের-বাইরের কাজকর্ম, বারে বারে জল লাগা, ধুলোবালি তো রয়েছেই। সাবানের ক্ষার বা স্যানিটাইজারের অ্যালকোহল, দুটোই কেড়ে নেয় হাতের কোমলতা (Hand Care)। ফলে অল্প বয়স থেকেই হাতের চামড়ায় টান, বলিরেখার ছাপ পড়ে যায়। আর শীত এলে তো কথাই নেই। যে সমস্ত অঙ্গ সবচেয়ে তাড়াতাড়ি শীতল হয়, তার মধ্যে অন্যতম হাত। ময়শ্চারাইজারের অভাবে হাত হয়ে ওঠে শুষ্ক, খসখসে, প্রাণহীন। আবার হাতের ত্বকের চামড়াও ফেটে লাল হয়ে যায়।
কেমন যত্ন নিলে শীতেও হাত হয়ে উঠবে কোমল, ত্বকও থাকবে টানটান
বাড়িতে বাসন মাজা, কাপড় কাচার জন্য এমন সাবান ব্যবহার করুন যা হাতের রুক্ষতার কারণ হয়ে দাঁড়াবে না। যে হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার করছেন, সেটিও ভালমানের হওয়াই উচিত।
ঘরের কাজ শেষে ভাল করে উষ্ণ গরম জলে হাত ধুয়ে (Hand Care) ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নেবেন। কোনও অ্যান্টি-এজিং বা অতি সুগন্ধি ক্রিম না লাগানোই ভাল।
হাত অল্প ভিজে থাকতে থাকতেই পেট্রোলিয়াম জেলি আর নারকেল তেলের মিশ্রণ লাগাতে পারেন।
স্নান করার আগে হাতে ভাল করে তেল মেখে নিন (Hand Care) । যে বডি অয়েল আপনার ত্বকের জন্য ভাল, সেটিই ব্যবহার করতে পারেন।
দু’টেবিল চামচ বেসনের মধ্যে সামান্য দুধ অথবা টক দই এবং এক ফোঁটা হলুদ গুঁড়ো দিয়ে মিহি মিশ্রণ তৈরি করুন। স্নানের আগে দু’হাতে ভাল করে সেই মিশ্রণ মেখে নিন। শুকিয়ে গেলে ঈষদুষ্ণ জলে হাত ধুয়ে (Hand Care) নিতে পারেন।
রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ভাল করে ময়শ্চারাইজার ম্যাসাজ করে নিন দু’হাতে।
তিলের তেল, আমন্ড অয়েল কিংবা অলিভ অয়েলও লাগাতে পারেন হাতে।
হাত ধোয়ার জন্য ক্রিম বেসড হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার করুন। যত বার হাত ধোবেন, তত বার হ্যান্ড ক্রিম বা বডিবাটার লাগান।
নখের কিউটিকল নরম করতে কিউটিকল ক্রিম বা অয়েল ব্যবহার করুন। হালকা হাতে এক ফোঁটা অলিভ অয়েল নখের চারপাশে মাসাজ করে নিন।
হাত অতিরিক্ত রুক্ষ ও খসখসে হয়ে গেলে এক চামচ সানফ্লাওয়ার অয়েলের সঙ্গে দু’চামচ পাতিলেবুর রস ও তিন চামচ চিনি মিশিয়ে মাসাজ করুন। হাত নরম থাকবে।