
কেটে গেলে বা ছড়ে গেলে, যে কারণেই রক্তপাত হোক না কেন তুলো আর ব্যান্ডেজের দরকার পড়বেই। তুলো দিয়ে রক্ত বন্ধ করে ব্যান্ডেজের পট্টি বেঁধে দেওয়া প্রাথমিক চিকিৎসার মধ্যেই পড়ে। আচমকা কোনও জায়গা কেটে গিয়ে রক্ত বেরোলে দোকান থেকে ব্যান্ডেড (Band-Aid) কিনে তাড়াতাড়ি জখম জায়গা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
অনেকটা জায়গা কেটে রক্ত বন্ধ না হলে তখন ব্যান্ডেজ করা যেতে পারে। কিন্তু একটু কাটাতেই যদি ঘন ঘন আঠা দেওয়া ব্যান্ডেড সেঁটে দেন, তাহলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। অনেকেই দেখবেন বলে, ব্যান্ডেড খোলার পরে সেই জায়গা চুলকাচ্ছে বা লাল লাল ফুসকুড়ি বের হচ্ছে। অনেকে আবার দীর্ঘ সময় ব্যান্ডেড লাগিয়ে রাখেন। সেটা জলে ভিজে বা নোংরা লেগে ইনফেকশন হওয়ার ঝুঁকি থাকে। ব্যান্ডেড সহ আধুনিক নানা ব্যান্ডেজে আঠালো পদার্থ থাকে। মূলত সেই আঠালো পদার্থ (Band-Aid) থেকেই অ্যালার্জি বা ত্বকের সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ক্ষতস্থানে একটানা ব্যান্ডেড লাগিয়ে রাখলে কী হতে পারে
আঠালো ব্যান্ডেডের (Band-Aid) আঠালো টেপ গুলি রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে তৈরি। একে জখম তার উপর আবার ত্বকের
সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হওয়ার কারণে সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে।
ব্যান্ডেড (Band-Aid) বেশিক্ষণ লাগিয়ে রাখলে—ত্বকে অ্যালার্জি হতে পারে
কাটা জায়গার চারপাশে লাল ফুসকুড়ি হতে পারে
ত্বক শুকিয়ে গিয়ে ফেটে যেতে পারে
ব্যান্ডেড খুললে সেই জায়গায় ফোস্কা পড়তে পারে
ব্যান্ডেড থেকে অ্য়ালার্জি হলে কী করবেন?
অ্য়ালার্জির জায়গায় অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম লাগাতে পারেন। তবে ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করে নিয়ে।
সেই জায়গাটা শুষ্ক রাখবেন না, অ্য়ালোভেরা জেল লাগিয়ে নিন।
আঠালো ব্যান্ডেডের পরিবর্তে ব্যাবহার করতে পারেন সাধারণ গজ কিংবা পরিষ্কার কাপড়।
কাপড়ের পাতলা টুকরো দিয়ে জায়গাটি বেঁধে নিতে পারেন। কাটা জায়গায় ব্যান্ডেডের পরিবর্তে লাগাতে
পারেন স্কিন ব্যারিয়র ফিল্ম এবং হাইপোলারজেনিক টেপ। পেপার টেপও ব্যবহার করা যেতে পারে।
ব্যান্ডেডের অ্যালার্জির থেকে বাড়াবাড়ি হলে নিজে চিকিৎসা করতে যাবেন না, ডাক্তার দেখিয়ে নিন।