Irritable Bowel Syndrome: পেটে চাপা ব্যথা, ঘন ঘন প্রকৃতির ডাক, সমস্যা এড়িয়ে যাবেন না

গুড হেলথ ডেস্ক

ঝালে-ঝোলে-অম্বলে বাঙালির ঘরে ঘরেই এই সমস্যা। কিছু খেলেই পেটে চাপ (Irritable Bowel Syndrome)। ঘন ঘন প্রকৃতির ডাকে বাথরুমে ছুটে যাওয়া। অসময়ে মলত্যাগের অভ্যাস। পেট ভার, খিদে কম, মাঝেমধ্যেই চাপা ব্যথা। এইসব সমস্যা এড়িয়ে গেলে কিন্তু ভুল করবেন। ডাক্তারবাবুরা বলেন, সবই পেটের সঙ্গে সম্পর্কিত। যখন তখন হাবিজাবি খাওয়ার অভ্যাস থেকেই পেটে মোচড়। আর তার থেকেই পরিপাক তন্ত্রের সমস্যা। একে ডাক্তারি ভাষায় বলে ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম বা আইবিএস (Irritable Bowel Syndrome)।

IBS

কি এই আইবিএস (Irritable Bowel Syndrome)?

ইরিটেবল বাওল সিনড্রোম বা আইবিএস পরিপাক তন্ত্রের সমস্যা। আসলে মস্তিষ্ক বিভিন্ন স্নায়ুদ্বারা খাদ্যনালীর সঙ্গে যুক্ত। স্নায়ুর মাধ্যমেই সঙ্কেত আসে। কখন প্রকৃতির ডাক আসবে তার সঙ্কেত পাঠায় মস্তিষ্ক। সেখানে যদি গোলযোগ হয় তাহলেই মুশকিল। আইবিএস আসলে ফাংশনাল ডিসঅর্ডার। কারও ক্ষেত্রে ঘন ঘন মলত্যাগের প্রবণতা হয়, সেই সঙ্গে পেট খারাপ বা ডায়ারিয়া লেগে থাকে, একে বলে আইবিএসডি। আবার কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে তিন থেকে চার দিন বাদে একবার করে হয়, যাকে বলে আইবিএসসি। আবার কারও দু’রকম সিন্ড্রোমই দেখা দেয়, সেক্ষেত্রে মিক্সড সিন্ড্রোম হতে দেখা যায়।

Irritable Bowel Syndrome

খাওয়ার পরেই পেটে মোচড়, পেটের গণ্ডগোল কিছুতেই সাড়ে না

কিছু খাওয়ার পরেই সারা পেট জুড়ে মোচড় ধরে (Irritable Bowel Syndrome)। নাভির নীচ থেকে বাঁ দিক চেপে কুঁকড়ে যাওয়া ব্যথাও এই অসুখের লক্ষণ। বেগ বাড়লে চোটে নার্ভ হাত-পা ঠান্ডাও হয়ে যেতে পারে অনেকের। তবে মলের সঙ্গে রক্ত বেরোয় না এবং শরীরে জ্বরভাবও থাকে না। পেট ফুলে যায় অনেকের। অম্বল, গ্যাসের সমস্যা, শারীরিক অস্বস্তি, পেটে চাপ, চোঁয়া ঢেঁকুর ইত্যাদি অসুবিধা থেকেই যায়।

Chronic Kidney Disease: ক্রনিক কিডনির অসুখে বেশি ভোগেন মেয়েরা, অযত্ন আর অবহেলাই কারণ

Irritable Bowel Syndrome

নিয়ম মেনে খান, অভ্যাস বদলান

 

দিনে একাধিক বার চা-কফি খেলে সমস্যা বাড়ে। বিশেষ করে ঘন ঘন কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে পেট বিগড়ে যাবেই। এতে থাকা ক্য়াফেইনখাদ্যনালীকে আরও উদ্দীপিত করে। ফলে পেটের সমস্যা আরও বেড়ে যায়।
জাঙ্ক ফুড খাওয়া বন্ধ করুন। বাড়ির তৈরি খাবার খান। যখন তখন ইচ্ছা হলেই স্ট্রিট ফুড, ভাজাভুজি, তেলমশালাদার খাবার খাবেন না।

 

ধূমপান ও মদ্যপান ছাড়ার চেষ্টা করুন। যে কোনও ধরনের নেশাই স্নায়ুতন্ত্রের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। তা ছাড়া অতিরিক্ত মদ্যপান খাদ্যনালী ও লিভারের সমস্যা বাড়ায়, যা ইরিটেবল বাওল সিনড্রোমও বাড়িয়ে দিতে পারে।

নিয়মিত শরীরচর্চা করলে উপকার পাওয়া যাবে।সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন ১৫-৩০ মিনিট অবশ্যই শরীরচর্চা করার চেষ্টা করুন। পাশাপাশি শ্বাসের ব্যায়াম, যোগাভ্যাস বা ধ্যানও এই সমস্যায় উপযোগী হতে পারে।