
খুব তাড়াতাড়ি ওজন কমাতে চান? এদিকে জিমে গিয়ে ঘাম ঝরানোর এত সময় নেই। কড়া ডায়েটও ধাতে সইছে না। মেদ বাড়তে বাড়তে নানা রোগও ধরে যাচ্ছে। এখন যদি সম্পূর্ণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন কোনও উপায় খুঁজে পান যাতে ওজনও কমবে এবং সাইড এফেক্টসও থাকবে না, তাহলে প্রাচীন আয়ুর্বেদে ভরসা করে দেখতেই পারেন। আমাদের রোজকার সব্জির (Karela Juice) মধ্যেই আছে এমন উপাদান যা ওজন তো ঝরাবেই, অন্য়ান্য় রোগেরও উপশম করবে।
ভারতীয় আয়ুর্বেদে বহুকাল ধরেই করলার গুণমানের কথা বলা আছে। মেদ ঝরানোর পাশাপাশি ক্যানসার, ডায়াবেটিস, হাঁপানির মতো রোগ নিরাময়ে করলার খুবই গুরুত্ব রয়েছে। করলার রস দিয়ে হেলথ ড্রিঙ্ক বানিয়ে খেলে কাজ হয় খুব তাড়াতাড়ি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করলায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি ও সি রয়েছে। একই সঙ্গে এতে বিটা-ক্যারোটিন, লুটেইন, আয়রন, জিঙ্ক, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। তাই করলার জুস শরীরের জন্য অনেক উপকারি।
কীভাবে বানাবেন করলার রস?
গাঢ় সবুজ রঙের কাঁচা করলা নিয়ে টুকরো করে কাটতে হবে। খুব বেশি তেতো খেতে না পারলে করলা কেটে নুন-জলে ভিজিয়ে রাখতে পারেন। এরপর ব্লেন্ডারে জুস বানিয়ে নিয়। কম নুন দিয়ে খেয়ে দেখুন। উপকার হবেই।
ওজন কমবে, ডায়াবেটিস থাকবে নিয়ন্ত্রণে
করলার মধ্যে রয়েছে পলিপেপটাইড বি, ভিসিন এবং ক্যারাটিন। প্রতিদিনের ডায়েটে করলার জুস রাখলে উচ্চরক্তচাপ কমে। রক্তে শর্করার পরিমাণও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
অগ্ন্যাশয় ক্যানসার ঠেকাতে করলা খুবই উপকারি। করলার আয়রন হিমোগ্লোবিন তৈরি করতে সাহায্য করে। দাঁত ও হাড় ভাল রাখে।
দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখতে ও চোখের সমস্যা সমাধানে করলার বিটা ক্যারোটিন খুবই উপকারি।
ত্বক ও চুল ভাল রাখার জন্যও করলার রস ভাল। চর্মরোগ সারাতে সাহায্য করে। হাঁপানি এবং ফুসফুসের যে কোনও রোগ প্রতিরোধ করে করলার জুস। নিয়মিত করলার জুস খেলে ত্বক অনেক টানটান এবং তরতাজা দেখায়। বলিরেখা দূর হয়।
করলায় প্রচু পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে। নিয়মিত খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে, হজমের সমস্যা দূর হয়।