
বাড়িতে বানানো রোজকার একঘেয়ে রুটি-তরকারি আর মাছ-ভাত মুখে রচে না আপনার। অফিসে কাজের কাজের ফাঁকে সময় পেলেই অর্ডার করছেন সুইগি অথবা জোম্যাটোয়। নামিদামী রেস্তরাঁগুলি প্রায়শই হয়ে ওঠে আপনার লাঞ্চ বা ডিনারের ঠেক। ফলে ওজন বাড়ছে তো বাড়ছেই। অনলাইনে হালফ্যাশনের পোশাক দেখেই হাত নিশপিশ! বাধা দিচ্ছে আপনারবাড়তি ওজন।কেবল পেটই নয়, মেদ জমেছে উরু, কোমরেও। পুজোর সময় যদি নিজেকে স্লিম দেখাতে চান তাহলেই এখন থেকেই শুরু করুন। এই ডায়েট (ketogenic diet) বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে সঠিকভাবে মানতে পারলে ওজন কমবে খুব দ্রুত।
কমবয়সীদের মধ্যে এখন কিটো ডায়েট (Ketogenic Diet) বেশ জনপ্রিয়। তবে এই ডায়েট করার কিছু নিয়ম আছে। কার্বোহাইড্রেট কিটো ডায়েটে একেবারেই নৈব নৈব চ। মানে হল পুরোপুরি নো কার্বস ডায়েট। ভাত-রুটিকে বলতে হবে গুড বাই। মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। পরিবর্তে পরিমাণ মতো খেতে হবে প্রোটিন এবং বেশি করে ফ্যাট জাতীয় খাবার। মাস কয়েক এই নিয়ম মানলেই ঝরঝর করে কমবে ওজন (ketogenic diet)।
কিটো ডায়েট (ketogenic diet) আসলে কী?
কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাওয়া একেবারে বন্ধ করে দিলে শরীর যে বিশেষ মেটাবলিক পর্যায়ে চলে যায় তাকেই ‘কিটোসিস’ বলে। আর সেই থেকেই এই ডায়েটের নাম হয় ‘কিটো ডায়েট’। সঠিক কিটো ডায়েটে কার্বোহাইড্রেট থাকবে মাত্র ৫ শতাংশ বা তারও কম, ২৫% প্রোটিন এবং ৭০% ফ্যাট জাতীয় খাবার রাখতে হবে ডায়েটে। ছ’মাস নিয়ম মেনে এই ডায়েট করলে ১০ থেকে ২০ কেজি অবধি ওজন কমানো সম্ভব।
কী কী খেতে পারবেন? কী কী নয়
ভাত-রুটি একদম চলবে না।
রোজকার ডায়েটে থাকবে সবুজ শাকসব্জি, চিকেন বা মাটন, মাছ অথবা ডিম খেতে পারেন। তবে সবই পরিমাণ মতো। শরীর বুঝে ডায়টিশিয়ানের পরামর্শ নিয়ে।
লিন মিট বেশি খেলে ভাল।
বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ালে উপকার মায়েরও, স্তন্যপান জীবনদায়ী
শসা, ব্রকোলি এবং পালংশাকের মতো সবুজ শাকসব্জি এই ডায়েটে বেশ উপকারী। দুধ, চিনি ছাড়া লিকার চা, বুলেট কফি কিংবা ব্ল্যাক কফি চলবে।
ওমলেট, স্ক্র্যাম্বেল্ড, পোচ— যে ভাবে ইচ্ছা ডিম খেতে পারেন (ketogenic diet)। কুসুম বাদ দেওয়ারও প্রয়োজন নেই। তবে ভাল করে সিদ্ধ করে ডিম খাওয়া সবচেয়ে বেশি উপকারি।
চিজ, মাখন, বাদাম খেতে পারেন কিটো ডায়েটে।
মাটির নীচে হয় এমন ধরনের সব্জি, যেমন আলু, মুলো, কচু, গাজর খাওয়া যাবে না।
দই রোজ খেতে পারেন।
নারকেল তেল বা অলিভ অয়েলের রান্না করলে সবচেয়ে বেশি উপকার হবে। তবে খাঁটি সরষের তেলও স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল।
সব রকমের মিষ্টি, আইসক্রিম, চকোলেট, পেস্ট্রি বাদ দিতে হবে।
ময়দার কোনও রকম খাবার খাওয়া যাবে না। পাস্তা, নুডল, সিরিয়াল, বানরুটির মতো খাবার চলবে না।
প্রসেসড ফুডে কার্বোহাইড্রেট এবং চিনির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে, এইসব খাওয়া যাবে না।
ব্লাড সুগারের রোগী ও যাদের পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম আছে, তাদের জন্য এই ডায়েট বেশ কার্যকরী।