ঋতুস্রাব কম হচ্ছে? মাঝেমধ্যেই স্পটিং? জানুন কখন ডাক্তার দেখাতে হবে

ইদানীং দেখছেন আপনার স্বাভাবিক ফ্লো কম হচ্ছে? প্রতি মাসে  ঋতুস্রাব দুই দিনের বেশি থাকছে না। দু’বার সাইকেলের আগে ব্লাড স্পটিং হচ্ছে (Menstruation)। ঋতুস্রাব কম বা বেশি সেটা এক একজনের শরীরের ওপর নির্ভর করে। অনেকেরই পিরিয়ড শুরুর দিনকয়েক আগে থেকে স্পটিং শুরু হয়। এটা খুব একটা অস্বাভাবিক ব্যাপার নয়। বয়ঃসন্ধির সময় এমনটা অনেকেরই হয়ে থাকে। কিন্তু লাইট পিরিয়ড (Menstruation) বা স্পটিং-এর সমস্যা যদি ঘন ঘন হতে থাকে তাহলে সতর্ক হতে হবে।

পিরিয়ড সংক্রান্ত সমস্যা কমবেশি সকলেরই থাকে। লজ্জা-সঙ্কোচের কারণে অনেকেই লুকিয়ে যান। কারোর ফ্লো বেশি, কারোর কম এছাড়াও বর্তমানের জীবনযাত্রার কারণে নানারকম স্ট্রেস তো থাকেই। প্রতি ২১-৩৫ দিনের সাইকেলেই মোটামুটি সকলের পিরিয়ড হয় (Menstruation) । তবে কম ফ্লো হলে বা লাইট পিরিয়ডসের বেশ কিছু লক্ষণ থাকে।

 Period

কী কী লক্ষণ দেখা দিতে পারে

দু’দিনের বেশি পিরিয়ডস (Menstruation) থাকে না।

ফ্লো কখনও কম আবার কখনও বেশি হয়

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্পটিং হয়। পিরিয়ডের দুই বা তিনদিন আগে দেখলেন সামান্য রক্ত লেগে রয়েছে অন্তর্বাসে। তারপর বাকি দিনটায় আর এমন কিছু হল না। ফের পরদিন একই কাণ্ড। দিনে খুব অল্প সময়ের জন্য এক ফোঁটা-দু’ফোঁটা রক্ত। বাকি সময়টা আর কোনও রকম ব্লিডিং নেই। এই সমস্যার নাম স্পটিং।

কখনও এরকম হয় যে ২ মাস পিরিয়ডস হয় না।

২১ দিনের আগেও পিরিয়ডস হয়ে যেতে পারে।

What Are Irregular Periods: Treatment, Pregnancy, and More | Everyday Health

কেন পিরিয়ড অনিয়মিত হয়, কখন সতর্ক হতে হবে?

ঘন ঘন গর্ভনিরোধক ওষুধ (Menstruation) খেলে অনিয়মিত ব্লিডিং হতে পারে। সাইকেল ছোট হয়ে যেতে পারে, সেক্ষেত্রে ২১ দিনের আগেই পিরিয়ড শুরু হবে। স্পটিং হতে থাকবে।

ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় কম হলে ব্লিডিং কম হয়। আবার বেশি হলেও সেক্ষেত্রে সমস্যা হয়। অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড, তেলমশলা ও চিনি বেশি আছে এমন খাবার খেলেও পিরিয়ডে তার প্রভাব পড়ে।

কোনও কারণে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে প্রথমদিকে স্পটিং (Menstruation) হয়। যা অনেকেই পিরিয়ডস বলে ভুল করেন। যার ফলে অনেকে অন্তঃসত্ত্বা হলে বুঝতেও পারেন না। সন্দেহ হলে বা কোনও কারণে পিরিয়ডস মিস হলে অবশ্যই প্রেগন্যান্সি টেস্ট করান।

Irregular Periods

ভ্রুণ যখন প্রথম জরায়ুর দেওয়ালে প্রবেশ করে অনেকের সেই সময়ে সামান্য স্পটিং হতে পারে। তবে এটি সকলের ক্ষেত্রে হয় না। স্পটিং হওয়া মানেই ধরে নেবেন না আপনি অন্তঃসত্ত্বা।

স্ট্রেসও নানা প্রভাব ফেলে। কারণ আপনি খুব স্ট্রেসড থাকলে হয় খুব বেশি ব্যথা হয় বা পিরিয়ডসের পরিমাণ কমে যায়। ক্র্যাম্প বেশি হয়। তখন একবার ডাক্তার দেখিয়ে নিতে হবে।

রাতে বার বার ঘুম ভাঙছে? কী জানান দিচ্ছে শরীর

ফাইব্রয়েড, পলিপ বা ক্যানসারের মতো রোগের ক্ষেত্রেও প্রথম উপসর্গ স্পটিং। পলিসিস্টিক ওভারি, এন্ডোমেট্রিয়োসিসের ক্ষেত্রেও এমন উপসর্গ দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে চেকআপ করিয়ে নেওয়া জরুরি।

গনোরিয়ার মতো যৌনরোগের ক্ষেত্রেও প্রথম উপসর্গ স্পটিং। সেই সঙ্গে শরীরে অন্য কোনও সমস্যা বা হরমোনের সমস্যা হচ্ছে কিনা টেস্ট করিয়ে নিন।

পলিসিস্টিক ওভারি ছাড়াও অন্যান্য কোনও শারীরিক সমস্যা থাকলেও লাইট পিরিয়ড হতে পারে। তাই দুমাস এরকম হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।