
মাঙ্কিপক্সে ত্বকে ফোস্কা, র্যাশ সারাতে এই অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ আসছে বাজারে
গুড হেলথ ডেস্ক
মাঙ্কিপক্সের (Monkeypox) সংক্রমণ বেড়ে চলেছে। ভারতেও ঢুকে পড়েছে এই প্রাণঘাতী ভাইরাস। করোনার পরে মাঙ্কিপক্স নিয়ে উদ্বেগ চরমে উঠেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য় সংস্থাও (হু) মাঙ্কিপক্স ভাইরাসকে কাবু করার উপায় ভাবছে। নানারকম ভ্যাকসিন ও ওষুধপত্র নিয়ে গবেষণা চলছে। এর মধ্যেই বিশ্বের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মেডিক্যাল জার্নাল ‘দ্য ল্যানসেট’ জানিয়েছে, মাঙ্কিপক্স সারাতে অ্য়ান্টিভাইরাল কিছু ওষুধ নিয়ে গবেষণা চলছে। তার মধ্যে একটি ওষুধকে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (FDA)।
ক্য়ালোফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির গবেষক অ্যাঞ্জেল দেশাই বলছেন, মাঙ্কিপক্সের প্রতিষেধক হিসেবে টেকোভিরিম্যাট (Tecovirimat ) ওষুধে অনুমতি দিয়েছে এফডিএ। এই ওষুধের ক্লিনিকাল ট্রায়াল করে দেখা গেছে, মাঙ্কিপক্সের কারণে সারা শরীরে যে দাগছোপ, র্যাশ হচ্ছে তা এই ওষুধের ডোজে কমে যাচ্ছে অনেকটাই। শরীরে ভাইরাল স্ট্রেনের প্রভাবও কমছে। এখনও অবধি ২৫ জন মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত রোগীকে এই ওষুধ দিয়ে সুফল মিলেছে বলে দাবি। JAMA মেডিক্যাল জার্নালে এই গবেষণার খবর ছাপা হয়েছে।
অগস্টেই বিশ্বজুডে ৪৫ হাজারের বেশি মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত রোগীর খোঁজ মিলেছে। অনেককেই এখন হাসপাতালে ভর্তি করতে হচ্ছে। কাজেই রোগ কতটা ভয়ঙ্কর আকার নেবে সে নিয়ে উদ্বেগে আছেন গবেষকরা। তাই তড়িঘড়ি অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ বাজারে নিয়ে আসার তোড়জোড় শুরু হয়েছে।
টেকোভিরিম্যাট ওষুধেই ছাড়পত্র দিয়েছে মার্কিন এফডিএ। আমেরিকায় তৈরি হয় এই ওষুধ। অর্থোপক্সভাইরাস যেমন স্মলপক্স ও মাঙ্কিপক্স (Monkeypox) সারাতে কাজে আসতে পারে বলেই দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। TPOXX এই ব্র্যান্ড নামে বিক্রি হয় টেকোভিরিম্যাট। বিজ্ঞানীদের দাবি, কোষে ভাইরাসের ট্রান্সমিশন বা ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে পারে এই ওষুধ। প্রতি ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা অন্তর রোগীকে এই ওষুধ খাওয়ানো হবে। খাবার খাওয়ার আধ ঘণ্টা আগে নির্দিষ্ট ডোজে দেওয়া হবে এই ওষুধ।
এই ভাইরাসের ইনকিউবেশন পিরিয়ড ২-৩ দিন। সংক্রমণ ছড়ানোর তিন দিনের মাথায় ধূম জ্বর আসবে রোগীর। কাঁপুনি দিয়ে জ্বর হতে পারে। সেই সঙ্গেই সারা শরীরে বড় বড় ফোস্কার মতো র্যাশ বের হবে (Monkeypox)। ত্বক শুকিয়ে খসখসে হয়ে যাবে, প্রচণ্ড চুলকানি, জ্বালা হবে র্যাশের জায়গায়। একই সঙ্গে অসহ্য় মাথাব্যথা, পেশির খিঁচুনিও হতে পারে। শরীর দুর্বল হয়ে পড়বে। প্রায় দুই থেকে চার সপ্তাহ ভোগাবে এই রোগ।