
পেঁয়াজ-লঙ্কা দিয়ে কাঁচা পোস্ত বাটা মেখে এক থালা ভাত উড়িয়ে দেওয়া যায়। পোস্ত (Poppy Seeds) নিয়ে ঘটি-বাঙালের তর্ক যতই থাক, বাঙালির জিভে পোস্ত মানেই অমৃতসমান। ঝরঝরে আলু পোস্ত হোক বা পোস্তর সঙ্গে ঝিঙে, পটল, সজনে ডাঁটা, চিংড়ি যারই মিলমিশ হোক না কেন, স্বাদে সেই অতুলনীয়। বাংলায় আমরা যাকে পোস্ত বলি, সেটাই অসমীয়ারা বলে আফু গুতি, হিন্দি-মারাঠিতে খসখস। মারাঠি-গুজরাতিরা বিভিন্ন রকমের কোর্মা বানানো ছাড়াও বেশ কিছু মিষ্টিতে পোস্তর ব্যবহার করে। কর্নাটকে আবার পোস্ত-নারকেল বেটে পায়েসও হয়। নিরামিষ হোক বা আমিষ, যে কোনও পদেই পোস্ত রাজকীয় স্বাদ আনতে পারে।
দামে যতই মহার্ঘ হোক না কেন, পোস্তকে কোনওদিনও বাঙালি অবহেলা করবে না। পোস্ত স্বাদে যেমন খাসা, গুণেও। পোস্ত হল (Poppy Seeds) শুকনো ফলের বীজ। রান্নার সময় অতশত ভেবে আমরা খাই না। কিন্তু পোস্তর গুণাগুন বলে শেষ করা যাবে না।
পোস্তর অজানা কিছু গুণ
পুষ্টিগুণের কথা পরে আসা যাবে প্রসাধনী হিসেবে এবং ক্ষতের আরামেও পোস্তর ভূমিকা আছে। অল্প পোস্ত বেটে এর সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে চুলকানি বা ক্ষতস্থানে লাগিয়ে রাখলে আরাম হয়।
কাঁচা দুধের সঙ্গে পোস্ত বেটে মুখে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখুন, খসখসে ত্বক জেল্লা দেবে।
পোস্ত (Poppy Seeds) খুব ভাল ফেসিয়াল স্ক্রাব। ত্বক ভাল রাখতে ও দাগছোপ দূর করতে কাজে লাগে।
পোস্তর মধ্যে এসেনশিয়াল অয়েল থাকে যার উপকার অনেক। এর ডায়েটারি ফাইবার রক্তে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে।
পোস্তদানার মধ্যে থাকে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স (থায়ামিন, প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড, রাইবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, ফোলিক অ্যাসিড ইত্যাদি) যা শরীরের বিপাকক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে।
পোস্তর (Poppy Seeds) ক্যালসিয়াম হাড় ভাল রাখে।
লিভারের রোগ চিনে নিন আগে থেকেই, ক্ষত বাড়ার আগেই শুরু হোক চিকিৎসা
পোস্তদানার মধ্যে থাকে পটাসিয়াম যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, হার্ট ভাল রাখে।
যাদের ইনসমনিয়া আছে তারা পোস্ত বাটা আর চিনি মিশিয়ে ঘুমাতে যাওয়ার আগে খেতে পারেন। তাড়াতাড়ি ঘুম আসবে।
পোস্ততে জিঙ্ক থাকে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
মুখের যে কোনও ঘা, আলসারেও পোস্ত খুব ভাল পথ্য।