
গরম পড়তে না পড়তেই শুরু হয়ে গেছে ঘামাচির সমস্যা। ছোট্ট বাচ্চা থেকে বুড়ো— সকলের কাছেই এই সমস্যা রীতিমতো বিরক্তির। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় ঘামাচির একটা ভাল নাম আছে – ‘মিলিয়ারিয়া’। যদিও জিনিসটা একেবারেই ভাল নয়। আমাদের শরীরে যে ঘর্মগ্রন্থি বা সোয়েট গ্ল্যান্ড থাকে, তার মুখ বন্ধ হয়ে গেলে ঘামাচির সৃষ্টি হয়। মাথায়, ঘাড়ে বা দেহের উপরিভাগে এর প্রকোপ বেশি। ছোট ছোট লাল লাল দানার মতো ঘামাচিগুলোয় ঘাম পড়লেই চুলকায়। বেশি চুলকোলে আবার জ্বালাও করে। ঘা হওয়ার সম্ভাবনাও তৈরি হয়। তবে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলে ঘামাচির সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে পারে।
ঘামাচি আটকাতে কী কী করবেন?
★ গরমের দিন সবসময় সুতির হালকা পোশাক পরুন। বর্জন করুন টেরিকট, জর্জেট, সিন্থেটিক
★ খুব প্রয়োজন না পড়লে দিনের বেলা রোদে বেরোবেন না, বেরোলেও ছাতা মাস্ট
★ গরম এসে গেছে, তাই ঠান্ডা লাগার ধাত না থাকলে ঘন ঘন স্নান করুন। শিশুদেরও দিনে দু’বার স্নান করাতে পারেন
★ মনে রাখবেন, ঘামাচির সমস্যা সমাধানে প্রিকলি হিট পাউডার ব্যবহার না করাই ভাল। শিশুদের ক্ষেত্রে বেবি কোলন অথবা আফটার শেভ লোশন ব্যবহারে বেশি উপকার পাওয়া যায়
★ চুলকানি কমাতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ক্যালামাইন লোশন ও অ্যান্টিহিস্টামিন সিরাপ খাওয়া যেতে পারে
★ ঘামাচির কারণে সংক্রমণ থেকে বাঁচতে গায়ে অ্যান্টিবায়োটিক লোশন ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন