Protein Bar: প্রোটিন বারে কি এনার্জি বাড়ে? খাওয়া ভাল না খারাপ

গুড হেলথ ডেস্ক

ব্যস্ত জীবনে থালা সাজিয়ে মিল খাওয়ার সময় নেই। সকলেই ছুটছে। খিদে পেলেই রাস্তার ফাস্ট ফুডে পেট ভরাচ্ছে। নানা রকম ডাল, হাল্কা করে একদম কম তেলমশলা দিয়ে মাছ বা মাংসের কোনও ডিশ বানিয়ে নেওয়া বা টিফিনে নিয়ে যাওয়ার সময় নেই। তাই চটজলদি পুষ্টি পেতে এখন অনেকেই প্রোটিন বার (protein Bar) বা নিউট্রিশন বারের ওপর ভরসা করেন। যে কোনও সুপারমার্কেট, হেলথ স্টোরে পাওয়া যায় প্রোটিন বার। একটা বার খেলেই ক্যালোরির অনেকটাই পুষিয়ে যায়। অনেকক্ষণ পেটও ভর্তি থাকে, রাস্তার খাবার খাওয়ার দরকার পড়ে না।

এখন প্রোটিন বার ভাল না খারাপ সে নিয়ে নানা মত আছে। কেউ বলেন প্রোটিন বার ঘন ঘন খাওয়া ঠিক নয়। শর্টকাটে পুষ্টি মেলে ঠিকই, কিন্তু যদি চিনির পরিমাণ বেশি থাকে তাহলে অন্য় শারীরিক সমস্যা হতে পারে। পুষ্টিবিদেরা বলছেন,  বিভিন্ন প্রকার হাই এনার্জি ফুডের মিশ্রণে তৈরি হয় এই সাপ্লিমেন্ট বার, যা খুব তাড়াতাড়ি এনার্জির জোগান দেয়। মিল খাবার সময় না হলে প্রোটিন বার সেখানে কাজ সামলে দেয়। তবে প্রোটিন বার কেনার আগে নিউট্রিশনাল ভ্যালু দেখে কিনতে হবে। অতিরিক্ত সুগার কিংবা অবাঞ্ছিত ফ্যাট রয়েছে কিনা তা দেখে ও পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে খেলেই ভাল হয়।

protein bar

কী কী থাকে প্রোটিন বারে (protein Bar)?

ভাল ব্র্যান্ডের প্রোটিন বার হলে তাতে ড্রাই ফ্রুটস থাকবে। ফ্যাট থাকবে ৫-১০ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ২৫-৩৫ গ্রাম ও ৫-১০ গ্রাম ফাইবার।

নানা রকম মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টও থাকে প্রোটিন বারে। ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ভিটামিন বি ও আয়রন থাকে।

একটা প্রোটিন বার খেলে তার থেকে কম করেও ২০ গ্রাম প্রোটিন ও ১৫০-৪০০ ক্যালোরি পাওয়া যায়।

কিছু প্রোটিন বারে সয় প্রোটিন থাকে যা শরীরের জন্য খুব ভাল।

 Protein Bar

পুষ্টিবিদেরা বলছেন, নিউট্রিশন বার খাওয়ায় কোনও অসুবিধে নেই, যদি তার উপকরণ সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকে। যাঁরা সারা দিন বাইরে কাজ করেন, অথবা যাঁদের কাজের সূত্রে প্রচুর ট্রাভেল করতে হয় তাঁরা ব্যাগে রাখতেই পারেন প্রোটিন বার। খুব তাড়াতাড়ি এনার্জি পাওয়া যায়।

তবে অনেকেই ভাবেন মিল স্কিপ করে প্রোটিন বার খেয়েই মেদ ঝরিয়ে ফেলবেন। এমনটা কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়। পুষ্টিবিদদের মতে, যাঁরা হাই ইন্টেন্সিটি ওয়র্ক আউট করছেন বা হাই-প্রোটিন ডায়েট ফলো করছেন, তাঁদের অনেককেই এনার্জি বার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে দিনে ছ’টা ছোট ছোট মিল, পুষ্টিকর খাবার, শাকসব্জি-ফল, মাছ এগুলো খাওয়ার কোনও বিকল্প নেই। সেই সঙ্গেই নিয়মিত ওয়ার্কআউট করলে শরীর ভাল থাকে।