
র্যানট্যাক, জিনট্যাক খেলে ক্যানসার হতে পারে! অম্বলের এইসব ওষুধ বন্ধ করছে কেন্দ্র
গুড হেলথ ডেস্ক
গ্যাস-অম্বল, বদহজম হলেই অ্যান্টাসিড খেয়ে নেওয়ার অভ্যাস অনেকেরই আছে। বিশেষ করে জিনট্যাক, র্যানট্যাক জাতীয় ওষুধ তো আমাদের ব্যাগে সবসময় মজুতই থাকে। মুঠো মুঠো অ্যান্টাসিড (Antacid) খাওয়ার অভ্যাস বড় বিপদ ডেকে আনছে বলেই সতর্ক করছেন ডাক্তারদের একটা বড় অংশ। তাই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের জরুরি ওষুধের তালিকা থেকে অ্য়ান্টাসিড জাতীয় কয়েকটি ওষুধ বন্ধ করারই নির্দেশ দিয়েছে সরকার। র্যানট্যাক, জিনট্যাক জাতীয় ওষুধ আর বাজারে পাওয়া যাবে না।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জরুরি ও প্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেখানে মোট ২৬টি ওষুধকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ন্যাশনাল লিস্ট অব এসেনসিয়াল মেডিসিন (NLEM)এর তালিকায় ৩৮৪টি ওষুধ রয়েছে। তার মধ্যে ২৬টি ওষুধ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
অ্যাসিলক (Antacid), র্যানট্যাক, জিনট্যাক, র্যানটিডিন, প্রোকার্বাজিন জাতীয় ওষুধের বিক্রি ও উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন,র্যানিটিডিনের মধ্যে থাকা এন-নাইট্রোসোডিমেথাইলামাইন (এনডিএমএ) নামে এমন এক উপাদান রয়েছে, যা থেকে ক্যানসারের আশঙ্কা রয়েছে।
ডাক্তারবাবুরা বলছেন, আমরা অধিকাংশই এই ভুলটা করে থাকি। হজমের গোলমাল মানেই অ্য়ান্টাসিড, বুকে ব্যথা-বুক জ্বালা হলেও অ্যান্টাসিড। ডোজ না জেনেই গাদা গাদা লিক্যুইড অ্য়ান্টাসিড খাই প্রায় প্রতিদিনই। বুকে ব্যথাটা কেন হচ্ছে, কী কারণ সেটা জানার চেষ্টা করি না কেউই। ফলে গলদটা হয়ে যায় গোড়াতেই। ভবিষ্যতে আচমকাই একদিন জবাব দেয় শরীর।
আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন আগেই এই জাতীয় ওষুধে কার্সিনোজেনিক উপাদান খুঁজে পেয়েছিল। তার পর থেকেই এটি দেশের প্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকা থেকে সরানোর চিন্তাভাবনা শুরু হয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নতুন তালিকায় পাকাপাকিভাবে অ্যান্টাসিড জাতীয় কয়েকটি ওষুধের ব্র্যান্ড বাতিল করে দেওয়া হল।