
মাথার পুরনো চোট থেকে হতে পারে স্মৃতিনাশ, মস্তিষ্কের রোগ, ভুলেও অবহেলা করবেন না
গুড হেলথ ডেস্ক
মাথায় আঘাত লাগলে বা দুর্ঘটনায় চোট পেলে তার প্রাথমিক ট্রিটমেন্টের পরে সেভাবে খেয়াল রাখি না আমরা। যে কোনও রকম চোটই হোক, মস্তিষ্কে আঘাত লাগলে তার পরীক্ষা, ব্রেন স্ক্যান করিয়ে রাখা জরুরি। যদি সার্জারিও হয় তাহলে পোস্ট-সার্জারি পর্বে কী কী সতর্কতা নিতে হয় সেটাও ডাক্তারের থেকে জেনে নেওয়া দরকার। মাথার চোট থেকে হতে পারে অনেক রকম মস্তিষ্কের রোগ। এমনও দেখা গেছে অনেক পুরনো চোটের কারণে পরবর্তী সময়ে ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিনাশের সমস্য়া দেখা দিয়েছে।
কী কী ধরনের সমস্যা হতে পারে?
মাথার আঘাতের যদি সঠিক চিকিৎসা না হয়, তাহলে মাথাব্যথা, মাইগ্রেনের সমস্যা হতে পারে পরবর্তী সময়ে। যেটা সবচেয়ে উদ্বেগজনক সেটা হল ভুলে যাওয়া। রোজকার জীবনে ছোট ছোট ব্যাপারগুলোও ভুলতে বসেন অনেকে। দৈনন্দিন অভ্য়াসেও সবই স্মৃতির পাতা থেকে হারিয়ে যেতে থাকে। সদ্য ঘটা ঘটনাও স্মৃতিতে থাকবে না। ডাক্তারি পরিভাষায় একে বলে ‘পোস্ট ট্রমাটিক অ্যামেনশিয়া’।
তাছাড়া মাথার চোট থেকে আরও নানা সমস্যা হতে পারে, যেমন–দৃষ্টিশক্তি হ্রাস, বমিবমি ভাব, ভার্টিগো, অবসাদ, উদ্বেগ, অনিদ্রা। আঘাত গুরুতর হলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। তখন ব্রেন ডেথ হতে পারে রোগীর বা ফেসিয়াল প্য়ারালাইসিস হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়।
এমনও দেখা গেছে, পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত লেগেছে অথচ তার সঠিক ট্রিটমেন্ট হয়নি, পরীক্ষাও করা হয়নি, পরবর্কী সময়ে গিয়ে ব্রেন স্ট্রোক হয়েছে বা প্যারালাইসিস হয়ে পঙ্গু হয়ে গেছে শরীরের একটা দিক। যাদের রক্তনালী পাতলা এবং ছোট হয়, তাঁদের ক্ষেত্রে মস্তিষ্কে আঘাত লাগলে ঝুঁকি অনেকটাই বেশি। যে সব রোগীরা শারীরিক সমস্যার কারণে রক্ত পাতলা হওয়ার ওষুধ খান, তাঁদেরও এই বিষয়ে বেশ সতর্ক থাকা জরুরি।
কীভাবে সাবধান থাকবেন
মাথার চোট যেমনই হোক না কেন তার পরীক্ষা করিয়ে রাখা জরুরি। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে বেশি সাবধান থাকতে হবে। মস্তিষ্কের আঘাত কতটা গভীর তা জানতে এখন ইমেজিং প্রযুক্তি’ ব্যবহার করা হয়। মস্তিষ্কের ভেতরে রক্তক্ষরণ হচ্ছে কিনা তাও বোঝা যায়। এক্স রে, সিটি স্ক্যান, এমআরআই করিয়ে রাখাও জরুরি। যদি থ্রিডি ইমেজিং করা যায় তাহলে সবচেয়ে ভাল। মস্তিষ্কের কোনও অংশে ক্ষত হয়ে আছে কিনা সেটা ধরা পড়বে সহজেই।