
ঋতু বদলের এই সময়ে অ্যালার্জি-শ্বাসকষ্ট ভোগায়, রোজ কী কী খেলে সমস্যা বাড়বে না
গুড হেলথ ডেস্ক
ঋতু বদলাচ্ছে। এই সময়টা নানা অসুখবিসুখ বাসা বাঁধে। জ্বর, সর্দি-কাশি তো রয়েছেই, পাল্লা দিয়ে বাড়ে অ্যালার্জিজনিত (Seasonal Allergies) নানা সমস্যা। যাঁরা ভুক্তভোগী, তাঁরা জানেন, কতটা মারাত্মক হতে পারে অ্যালার্জি। ঘন ঘন হাঁচি, কাশি, চোখ জ্বালা, শ্বাসকষ্ট–এই সবই অ্যালার্জির লক্ষণ। সেটা খাবার থেকেও হতে পারে আবার বাতাসের ধুলো, ধোঁয়া, আবহাওয়া বদলের কারণেও হতে পারে। অ্যালার্জিক রাইনিটিস থাকলে কষ্ট আরও বেশি।
অ্যালার্জির (Seasonal Allergies) উৎস খুঁজে বার করা চিকিৎসকদের কাছে একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ। কারণ অনেক ক্ষেত্রে দীর্ঘকালীন অনুসন্ধানের পরেও নিশ্চিত হওয়া যায় না, কী থেকে রোগীর অ্যালার্জি হচ্ছে। আর ঋতু বদলের এই সময়টায় অ্যালার্জির সমস্যা আরও বেড়ে যায়। যাঁদের অ্যালার্জির ধাত রয়েছে তাঁরা শীতকালে ভীষণ ভোগেন। গোটা শীতকালটাই হাঁচি, জ্বর লেগেই যাকে। শ্বাসের সমস্যা, হাঁপানির টান বাড়ে অনেকের। মুঠো মুঠো ওষুধ খেয়েও কাজ হয় না। স্টেরয়েড দেওয়া ইনহেলার নিতে নিতে সাইড এফেক্টস আরও বেড়ে যায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওষুধের থেকে ঘরোয়া উপায়ে রোগ সারানো অনেক বেশি ভাল। শীত আসছে। অ্যালার্জির প্রকোপ বাড়ার আগেই খাওয়াদাওয়া ও লাইফস্টাইলে নজর দিন। এখন থেকেই খাবার তালিকায় যোগ করতে হবে কয়েকটি বিশেষ খাবার যা অ্যালার্জিজনিত (Seasonal Allergies) শ্বাসকষ্ট নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।
কী কী খাবেন
ভিটামিন সি যুক্ত ফল ও সব্জি
এ সময়ে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খান। আমলকি, স্ট্রবেরি, আপেল, আঙুরের মতো ফলে ভিটামিন সি ঠাসা। এখন বাজারে এসব ফলের রমরমাও বটে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ও শ্বাসকষ্ট থেকে রেহাই পেতে ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ সব্জি ও শাকপাতাকে দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন।
ভিটামিন এ ও ই
অলিভ অয়েল, সূর্যমুখী বীজ, বাদাম, হ্যাজেলনাট, অ্যাভোকাডো এসবই ভিটামিন ই সমৃদ্ধ। অন্যদিকে গাজর, বেল, মিষ্টি আলু ও অ্যাপ্রিকট হল ভিটামিন এ-র উৎস৷ এই খাবারগুলি বায়ু দূষণ ও অ্যালার্জির (Seasonal Allergies) থেকে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা দিতে পারে।
বায়োফ্ল্যাভনয়েড সমৃদ্ধ খাবার
বায়োফ্ল্যাভনয়েড এক বিশেষ ধরনের উপকারি রাসায়নিক উপাদান, যা মূলত ফল বা গাছের ছালে বেশি পরিমাণে থাকে। আপেল, পেঁয়াজ, চায়ের মতো বায়োফ্ল্যাভনয়েড সমৃদ্ধ খাবার অ্যালার্জির সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করে।
ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড
বিভিন্ন গবেষণায় জানা গেছে, ওমেগা-ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত খাবার শ্বাসনালির প্রদাহ, এমনকি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সক্ষম। আখরোট, ফ্ল্যাক্সসিড, চিয়া বীজ এবং স্যামন খান। এগুলোতে ভরপুর ওমেগা রয়েছে।
আদা
শ্বাসনালি থেকে টক্সিন বের করতে এবং ফুসফুসের জ্বালা কমাতে আদার বিকল্প নেই। তাই রোজ অন্তত ১ টুকরো আদা খাওয়ার অভ্যাস করুন।
গ্রিন টি
অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ঠাসা। অ্যালার্জির বাড়বাড়ন্তকে ঠেকাতে পারে গ্রিন টি। শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতেও সাহায্য করে সবুজরঙা এই চা।
তুলসি
গলার মধ্যে জ্বালাভাব গলা বা খুসখুস করলে তুলসির রস বেশ কার্যকরী। তুলসির চা তৈরি করে খেতে পারেন। কাঁচা তুলসি পাতা চিবিয়ে খেলেও শ্বাসকষ্টতে উপকার পাবেন।
অ্যালার্জিজনিত শ্বাসকষ্ট এড়াতে জাঙ্ক ফুড, প্রসেসড ফুড, তৈলাক্ত ও স্পাইসি খাবার যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন। এইসব খাবার অ্যালার্জির সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
ডায়াবেটিস থাকলে ডেঙ্গি প্রাণঘাতী হতে পারে, মশাবাহিত রোগ কি রক্তে শর্করা বাড়াচ্ছে?