রাতে ঘুম আসে না? ঝটপট ঘুমিয়ে পড়ার কৌশল জেনে নিন

গুড হেলথ ডেস্ক

দিনের শেষে ঘুমের দেশে…যেতে পারছেন কি সকলে? এখনকার সময়ে অনিদ্রা বড় সমস্যা। চোখে যেন ঘুমই (Sleep) নেই, এদিকে শরীরজুড়ে ক্লান্তি। রাতে শুলে কিছুতেই দু’চোখের পাতা এক হয় না। ঘুম আসতেই চায় না। যদিও বা কিছু তন্দ্রা আসে তা সামান্য আওয়াজেই ভেঙে যায়। আর একবার ঘুম ভাঙলে রাতভর জেগে থাকা ছাড়া গতি নেই। ফলে সকালে উঠেই ঝিমুনি, ক্লান্তি, বমিভাব।

কম ঘুম বা ঘুম (Sleep) না আসার সমস্যা এখন কমবেশি অনেকেরই। চল্লিশের পর থেকে এই অনিদ্রা বা ইনসমনিয়া আরও জাঁকিয়ে বসে। বিশেষ করে রাত হলে ঘুম যেন উধাও হয়ে যায়। তখন খালি মনে হয়, ‘জানি না কেন ঘুম আসে না যে চোখে..থাকি আমি কীসের অপেক্ষায়!’

Sleep

অপেক্ষা কীসের জানা নেই, তবে নিয়ম মানলে ঘুম আসতে বাধ্য। শরীরেরও একটা ঘড়ি আছে যাকে বলে ‘বডি ক্লক’। এই ঘড়ি কাঁটায় কাঁটায় চলে। নির্দিষ্ট সময়ে মস্তিষ্কেরও বিশ্রাম দরকার তা ঘড়ি জানান দেয়। তখনই ঘুম পায় আমাদের। কিন্তু রোজকার যাপনে আমরা এমন কিছু অভ্যাস রপ্ত করে ফেলি বা এমন কিছু কাজ করি যাতে ঘুমের বারোটা বেজে যায়। সেই সঙ্গে খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম তো আছেই। সব মিলিয়ে শরীরে-মনে অস্বস্তি থাকলে মস্তিষ্ক বিশ্রাম নিতেই পারে না। ফলে ঘুমও আসতে চায় না। তাই রাতে শুয়েই যদি চটজলদি ঘুমিয়ে পড়তে চান, তাহলে এই নিয়মগুলো কঠোরভাবে মেনে চলুন।

Sleep


এই নিয়মগুলো মানুন, ঝটপট ঘুম এসে যাবে

প্রতিদিন অন্তত ছ’ঘণ্টা নিরবিচ্ছিন্ন ঘুম (Sleep) না হলে দেখা দিতে পারে একাধিক শারীরিক ও মানসিক রোগ। কাজেই অনিদ্রার সমস্যা থাকলে তা অবহেলা করা উচিত নয়। অনিদ্রার সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে থেকে গেলে তা একটি স্থায়ী রোগ ডেকে আনতে পারে। বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলে ‘ইনসমনিয়া’। এই সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা যেমন তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যেতে পারেন না, তেমনই এক বার ঘুম ভেঙে গেলে ফের ঘুমাতে মারাত্মক অসুবিধা বোধ করেন তাঁরা। রইল এমন কিছু কৌশল, যা কিছুটা হলেও আরাম দিতে পারে এই সমস্যা থেকে।

১) আপনি যে সময় ঘুমোতে যান তার থেকে ঠিক ৬ ঘণ্টা আগে চা-কফি খাবেন না। কোনওরকম ক্য়াফেইন শরীরে যাওয়া চলবে না।

২) ঘুমের (Sleep) ৪ ঘণ্টা আগে ধূমপান-অ্যালকোহল খাওয়া চলবে না। ঘুমোতে যাওর আগে অনেকেই সিগারেট খান, এই অভ্যাস ভীষণ খারাপ।

৩) ঘুমের ২ ঘণ্টা আগে শরীরচর্চা করবেন না।

৪) ঘুমোতে যাওয়ার এক ঘণ্টা আগে কোনওরকম নরম পানীয়, কোল্ড ড্রিঙ্কস, এনার্জি ড্রিঙ্কস খাওয়া চলবে না।

৫) ঘুমের ৩০ মিনিট আগেও কোনওরকম পানীয় না খেলেই ভাল।

৬) ঘুমের সময় অ্যালকোহল-নরম পানীয়, মকটেল একদম চলবে না।

টম্যাটো জ্বর বাড়ছে দেশে, বাচ্চারাই ঝুঁকিতে, কীভাবে আগলে রাখবেন সন্তানকে

sleeping Tips

ঘুমের প্রস্তুতি

১) ঘুমের সময় হাল্কা, আরামদায়ক পোশাক পড়ুন।

২) ঘরের আলো নিভিয়ে দিন, অন্ধকার ঘরে ঘুমনোর চেষ্টা করুন। একান্ত অসুবিধা হলে হাল্কা নীল বা সবুজ আলো জ্বালান।

৩) রোজকার খাবারে প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবারের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে।। মানসিক চাপ ও অনিদ্রা এতেই দূর হবে।

৪) ঘুমের অন্তত এক ঘণ্টা আগে মোবাইল ঘাঁটাঘাঁটি করা চলবে না, কম্পিউটার-ল্যাপটে চোখ না রাখাই ভাল।

৫) কানে হেডফোন গুঁজে ঘুমোতে যাবেন না।

৬) ঘুমের (Sleep) ১ ঘণ্টা আগে সব কাজ শেষ করুন। চিন্তা মাথায় নিয়ে ঘুমোতে যাবেন না।

৭) ধ্যান ও সঠিক ভাবে শ্বাস প্রশ্বাস নেওয়ার ব্যায়াম ঘুমে খুবই সহায়তা করতে পারে। প্রতিদিন নিয়ম করে এই ধরনের অনুশীলন করলে মানসিক চাপ ও অনিদ্রা, দুই সমস্যা থেকেই মুক্তি মিলতে পারে।

৮) রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমোবার চেষ্টা করুন, সকালে তাড়াতাড়ি উঠুন। এই সিস্টেম মানতে না পারলে কোজ একই সময়ে ঘুমোতে যাওয়ার চেষ্টা করুন। তাহলে বডি ক্লক সেই মতো আপনাকে ঘুমের সময় মনে করিয়ে দেবে, সেই সময়েই ঘুম পাবে।