
নাইট শিফটে কাজ করতে হয়? বেশি রাতে শুতে যাওয়ার অভ্য়াস?
রোজ রোজ রাত জাগলে শরীরের সিস্টেমি নষ্ট হতে বসে। শরীরেরও একটা ঘড়ি থাকে যাকে বলে বডি ক্লক। তার নির্দিষ্ট সময় আছে। বেশি রাতে শোয়া, দেরিতে ঘুম থেকে ওঠা যদি রোজকার অভ্য়াসে দাঁড়িয়ে যায় তাহলে বডি ক্লকের দফারফা হয়ে যায় (Stay Healthy)। ফলে স্বাস্থ্যও ভাঙতে থাকে দ্রুত। বেশি রাত জাগলে বাড়তে পারে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা, হতে পারে ডায়াবেটিস।
তবুও যদি পেশার খাতিরে বা প্রয়োজনে রাত জাগতেই হয়, তাহলে কীভাবে শরীরকে সুস্থ রাখবেন জেনে নিন।
কী কী নিয়ম মানবেন?
প্রথমত ডায়েট মানতে হবে (Stay Healthy)। কাজের চাপে আমরা খিদে পেলেই অনেক সময় ছুটি ফাস্ট ফুডের পিছনে। তার বদলে খেতে হবে স্বাস্থ্যকর খাবার। ভাল ফ্যাট, প্রোটিন ও পর্যাপ্ত জল শরীরের জন্য দরকার। হাতের কাছেই রাখুন বাদাম, অ্যাভোক্যাডো, নানা রকম ফল।
রাত জাগা জনিত সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে যদি আপনি রাত জাগা সত্ত্বেও অন্তত সাত-আট ঘণ্টা পর্যাপ্ত ঘুমিয়ে নেন।
Ginger: আদার এত গুণ! লিভার থেকে ব্রেন, সব ভাল রাখে
মেডিটেশন খুব উপকারি। সময় সুযোগ করে দিনে কিছুক্ষণ মেডিটেশন করে নিন। মনও তাজা থাকবে।
দিনে সময় মতো একটু শরীরচর্চা কিন্তু আপনার রাত জাগার কুপ্রভাব অনেকাংশে কেটে যাবে।
অনেকেই সারাদিনের ক্লান্তি কাটানোর জন্য বারবার চা, কফি খাওয়ার অভ্যাস করে ফেলেন। আসলে চা কফির মধ্যে থাকা ক্যাফিন কিছুক্ষনের জন্য আমাদের শরীরের ক্লান্তি দূর করলেও এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী নয়। বরং এতে ঘুমের ওপর প্রভাব পড়ে। তাই অতিরিক্ত ক্লান্তির সমস্যা থেকে বাঁচতে দিনে বারবার চা কফি খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন।
আলো এলে ঘরে ভারী পর্দা লাগান, বিছানা-বালিশ যাতে ঠিকমতো থাকে, পরিচ্ছন্ন থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন।
অতিরিক্ত চিন্তা-ভাবনা না করাই ভাল, বিশেষত ঘুমনোর সময়। স্ট্রেস ফ্রি হয়ে ঘুমোতে যান।
যখনই ঘুমোতে যান না কেন তার আগে চা, কফি বা ঠাণ্ডা পানীয় না খাওয়াই ভাল। সিগারেট টেনে ঘুমোতে যাওয়াও খুব একটা ভাল অভ্যাস নয়। এতে ঘুমের ক্ষতি তো হয়ই, শরীরেও তার ছাপ পড়ে।