
Summer Diseases: গরম পড়তেই ঘুষঘুষে জ্বর, ঠান্ডা লেগে গলা ব্যথা, সতর্কতাই ঢাল
গুমোট গরমে প্যাচপ্যাচে ঘাম অস্বস্তি বাড়াচ্ছে। কারও খাবার হজম হতে অসুবিধা হচ্ছে, কেউ আবার মাথা ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছেন (Summer Diseases)। গরমে আবার সর্দি-কাশি, জ্বর, পেটে ব্যথার মতো রোগও বাড়ছে। গরমে অফিসকাছারির ছুটি নেই, কাজেই রোদে রাস্তায় বের হতেই হচ্ছে। ঘাম জমে সর্দি-জ্বর ভোগাচ্ছে। এই সময় শরীর ভাল রাখতে কিছু বাড়তি যত্ন নেওয়া দরকার।
বরাবরই গরমের দোসর হয়েছে নানা ধরনের অসুখবিসুখ। এ বারও সে সবের প্রকোপে কাহিল শহরবাসী, বিশেষ করে শিশুরা। এর সঙ্গে লড়তে ছোট ছোট কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। তাঁদের মতে, প্রকৃতির উত্তাপ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। তবে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করলে ঠেকানো যায় অসুখ।
কী কী বিষয়ে সতর্ক থাকবেন (Summer Diseases)
গরম থেকে ঘরে ঢুকেই ঠান্ডা পানীয় খাবেন না, এসি চালাবেন না। অন্তত ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন।
বাইরে থেকে ঘরে ঢুকেই সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন।
চড়া গরমে আমাদের শরীরের মেলাটনিন উৎপাদন কমিয়ে দেয়। মেলাটনিন আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত জরুরি। তার মাত্রা কমে গেলে আমাদের শরীরের ক্লান্তিভাব বেশি হয়। ক্লান্তি কম করতে বাইরে বেরলে ছাতা নিয়ে বেরবেন। চোখে রোদচশমা ব্যবহার করতে পারেন।
Drowsiness: সারাদিন ক্লান্ত লাগছে? সব সময় ঘুম পাচ্ছে? এনার্জি বাড়ান এভাবে
কলকাতায় আর্দ্রতা বেশি থাকায় ঘাম হয় বেশি। তাই তাপে কাহিল হয়ে পড়ার (হিট একজশান) সমস্যা বেশি। ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে প্রচুর লবণ ও জল বেরিয়ে যায়। তাই জল খেতে হবে নুন মিশিয়ে।
শরীরে মেলাটোনিনের সংখ্যা কমে গেলে ঘুম আসতেও দেরি হবে। ঘুমের অন্ত্যত দু’ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে নিন। ঘুমের সময় সঙ্গে ফোন বা অন্য কোনও গ্যাজেট সঙ্গে রাখবেন না।
বাইরের সব রকম খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। বিরিয়ানি জাতীয় খাবার, মাংস প্রবল গরমে না খাওয়াই ভাল।
গরম থেকে বাঁচার একমাত্র উপায়, বেশি পরিংমাণে জল খাওয়া। বাড়ি ফিরে লেবু বা বেলের শরবত বা ডাবের জল খেতে পারেন।
আপনার শরীর চট করে বাইরের তাপমাত্রার ফারাকের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে না। তাতেই জ্বর, ঠান্ডালাগা, মাথাধরার মতো সমস্যাগুলো দেখা দেয়। তাই দিনেরবেলা বাইরে বেরনোর অন্তত্য ১০-১৫ মিনিট আগে আপনার শীততাপ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্রটি বন্ধ করে দিতে হবে।