টিংটিঙে রোগা চেহারা, এদিকে এত্ত বড় ভুঁড়ি, কীসের লক্ষণ?

গুড হেলথ ডেস্ক

বাঙালিরা বলে ‘নোয়াপাতি ভুঁড়ি’। টিংটিঙে রোগা চেহারা এদিকে পেল্লায় একটা ভুঁড়ি (Thin Fat) হচ্ছে। শরীরের যত মেদ গিয়ে জমছে পেটে। তাতে চেহারা খুব একটা মোটাসোটা দেখাচ্ছে না ঠিকই, কিন্তু ভুঁড়িটা যেন ঠিকরে বেরিয়ে আসছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চেহারা মোটা দেখায় না বলে পেটের এই মেদকে অনেকেই এড়িয়ে চলেন। ওজন তেমন বাড়ে না বলে হেলাফেলা করেন অনেকে। ভুঁড়ি বাড়লেও পাত্তা দেন না। ভুলটা এখানেই হয়। বড় অসুখের লক্ষণ বয়ে আনে এই ভুঁড়ি।

Thin fat

যাঁদের চেহারা রোগাটে, তাঁদের পেটে মেদ (Thin Fat) জমলে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। রোগাসোগা চেহারায় বড়সড় ভুঁড়ি হলে তাকে বলে ‘থিন ফ্য়াট’ (Thin Fat), যা মোটেও স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়।

নোয়াপাতি ভুঁড়ি (Thin Fat) থাকলে কী হতে পারে? চিকিৎসকরা বলছেন, এমন হলে অ্যান্টি-ইনসুলিন হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা কমতে থাকে। আর তাতেই বাড়ে ডায়াবেটিসের আশঙ্কা।

শরীরে অতিরিক্ত মেদ (Thin Fat) মানেই অশনিসঙ্কেত। আর ভুঁড়ি বাড়তে থাকা মানে তো সাঙ্ঘাতিক। ডায়াবেটিস থেকে হার্ট অ্যাটাক, এমনকি অকাল মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

 belly fat

ফ্যাট কিন্তু সবসময় শরীরকে মোটা করছে তা নয়। ভাল ফ্যাট এনার্জি সাপ্লাই দেয়। খাবারের সঙ্গে যে ফ্যাট ঢুকছে শরীরে তাকে উৎসেচক পুড়িয়ে শক্তি তৈরি করছে। এর জন্য কার্নিটিন ভিটামিন বি২ দরকার হয়। শরীরে যদি এই উপাদানের অভাব হয়, তাহলে ফ্যাট ঠিকমতো বার্ন হতে পারে না। তখন শরীর অতিরিক্ত ফ্যাট জমিয়ে রাখে। এর কারণেই ভুঁড়ি বাড়তে শুরু করে।

পেটে অস্বাভাবিক মেদ থাকলে তা অন্যান্য শারীরিক সমস্য়াকেও ডেকে আনে। হাই কোলেস্টেরল, হার্টের রোগ, স্ট্রোক ও ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা বেড়ে যায় কয়েক গুণ। এমনটাই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই নিয়ে বিস্তর গবেষণাও হচ্ছে। কানাডার কিউবিকের লাভাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ কার্ডিওলজির গবেষকরা জোর গলায় বলেছেন ওজন কম, চেহারা রোগা এদিকে পেটে অস্বাভাবিক মেদ জমতে শুরু করলে তা ডায়াবেটিস ও হার্টের অসুখের ইঙ্গিত দেয়। এমন হলে হেলাফেলা করা উচিত নয়।

জীবনযাপনে নিয়ন্ত্রণ, পরিমাণমতো খাওয়া ও নিয়মিত এক্সারসাইজ করলেই সমস্যা অনেকটা দূর হয়। প্রতিটি খাবারে থাকতে হবে প্রোটিন। সোডা, ফলের জুস, কোল্ড ড্রিঙ্কস এড়িয়ে চলাই ভাল। রেড মিট, ময়দার খাবার, কেক-পেস্ট্রি করা চলবে না। রাতে ৭-৮ ঘণ্টা টানা ঘুম দরকার। ধূমপান ও অ্য়ালকোহলের মাত্রা কমাতে হবে।