বর্ষা আসতেই ঘরে ঘরে ভাইরাল জ্বর, কী কী লক্ষণ দেখে সতর্ক হবেন

গুড হেলথ ডেস্ক

দিনের বেলায় খটখটে রোদ, বিকেল হলেই ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামছে। আবার কখনও সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার। ভ্যাপসা গরমের পরেই দিনভর বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গেই ভোলবদল হচ্ছে আবহাওয়ার। সেই সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে অসুখবিসুখ বাড়ছে (Viral Fever)। ঘরে ঘরে সর্দি-কাশি, গায়ে ব্যথা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা নাও হতে পারে, এই মরসুমে ভাইরাল জ্বরের উপদ্রব বেড়েছে।

কিছু দিন আগে পর্যন্ত জ্বর হলেই ধরে নেওয়া হচ্ছিল, কোভিড হয়েছে। আরটি-পিসিআর পরীক্ষাতেও পজিটিভ রিপোর্ট আসছিল। কিন্তু এখন করোনা পরিস্থিতি অনেকটা স্থিতিশীল। সংক্রমণ কিছুটা বাড়লেও আগের তিন ওয়েভের মতো অতটাও ভয়ের কারণ নেই বলেই জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। বরং এই বর্ষায় মশাবাহিত রোগ ও ভাইরাল জ্বর থেকে সাবধান থাকতে বলা হচ্ছে। ডেঙ্গির প্রকোপ ইতিমধ্যেই বেড়েছে, রাজ্যে ডেঙ্গিতে মৃত্যুও হয়েছে। পাশাপাশি ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। সেই সঙ্গেই ভাইরাল জ্বর (Viral Fever), ডায়ারিয়া হানা দিয়েছে জেলায় জেলায়।

Viral Fever

ভাইরাল জ্বরে (Viral Fever) কী কী লক্ষণ দেখা যাচ্ছে

গলা ব্যথা, হাঁচি-কাশি

শুকনো কাশিও ভোগাচ্ছে অনেককে

শরীরের তাপমাত্রা বাড়ছে, জ্বর থাকছে ৩-৪ দিন

সারা গায়ে অসহ্য ব্যথা হচ্ছে

প্রচণ্ড ক্লান্তিভাব, ঝিমুনি থাকছে

জ্বর সারলেও দুর্বলতা কাটছে না

সংসার-পেশা-স্ট্রেস, হৃদয় ভাল নেই মেয়েদের, এই জিনই বলে দেবে হার্টের রোগ হচ্ছে কিনা

Flu and viral fever

কী কী পরীক্ষা করাবেন

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোভিড ও ভাইরাল জ্বরের উপসর্গ মোটামুটি একই। কিছু পার্থক্য আছে। ভাইরাল জ্বর (Viral Fever) হলে প্রথম দু’এক দিন হালকা থেকে মাঝারি জ্বর থাকে। গা ম্যাজম্যাজ করে। সর্দি-কাশি থাকে অনেকের, নাক দিয়ে জল পড়তে থাকে। সেই সঙ্গে মাথা যন্ত্রণা, গলা ব্যথা, সর্দি-কাশি, পেশীর ব্যথা, খিঁচুনি ইত্যাদি উপসর্গ দেখা যায়। ফুসফুসে সংক্রমণ ছড়ালে তখন বাড়াবাড়ি হয়। যদি রেসপিরেটারি সিনসিটিয়াল ভাইরাসের সংক্রমণ হয় তাহলে রোগীর শ্বাসকষ্ট হতে পারে। তখন দ্রুত ডাক্তার দেখিয়ে নেওযা ভাল। কারণ বেশি বাড়াবাড়ি হলে অসুখ নিউমোনিয়ার পর্যায়ে চলে যেতে পারে।

ইনফ্লুয়েঞ্জা জ্বর সাধারণ ২-৩ দিন থাকে, বারে বারেই ধুম জ্বর আসতে পারে। কিন্তু চার থেকে পাঁচ দিন পরেও জ্বর না কমলে সতর্ক হতে হবে। ডাক্তারবাবুরা বলছেন, জ্বর বাড়তে থাকলে রোগী দুর্বল হয়ে পড়েন। অনেকেরই জ্বর বা ডায়ারিয়া কমে গিয়ে শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে থাকে। তখন কোভিড ও ইনফ্লুয়েঞ্জা দুটোই টেস্ট করিয়ে নেওয়া ভাল।