
মুখে দুর্গন্ধ হলে কার না বিরক্ত লাগে! মুখ খুললেই যদি বাজে গন্ধ (Oral Care) বের হয়, তাহলে জনসমক্ষে কথা বলার উপায় থাকে না। আত্মবিশ্বাসের অভাব হয়। ব্যাক্তি চরিত্রেও প্রভাব ফেলতে পারে মুখের দুর্গন্ধ। তাই বিষয়টা মোটেই হালকাভাবে উড়িয়ে দেওয়ার নয়। অথচ এই সমস্যায় ভোগেন অসংখ্য মানুষ। পরিসংখ্যানের নিরিখে পৃথিবীর জনসংখ্যার প্রায় ২০-২৫ শতাংশ মানুষ মুখে দুর্গন্ধের সমস্যায় ভোগেন। তার ওপর করোনার এই সময়ে মাস্ক পরে থাকার অভ্যেস এই সমস্যাকে উত্তরোত্তর বাড়িয়ে তুলেছে।
এই সমস্যার অনেকরকম কারণ থাকতে পারে। দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাবারও মুখের গন্ধের (Oral Care) কারণ হতে পারে। অনেক সময় শরীর অসুস্থ থাকলে মুখ থেকে বাজে গন্ধ বের হয়। শরীরে অতিরিক্ত কফের উপস্থিতিও হতে পারে দুর্গন্ধের কারণ। মুখের দুর্গন্ধ (Oral Care) ঢাকতে অনেকেই মাউথ ফ্রেশনার ব্যবহার করেন, তবে এটা কোনও দীর্ঘস্থায়ী সমাধান নয়। তার চেয়ে দৈনন্দিন জীবনে সামান্য কটা জিনিস মেনে চললেই মুখের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি মিলতে পারে।
১. দিনে দু’বার ব্রাশ: মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে দিনে অন্তত দু’বেলা ব্রাশ করা অত্যন্ত জরুরি। সারারাত দাঁতের মধ্যে জমে থাকা খাবারের টুকরো থেকে দুর্গন্ধের সমস্যা হতে পারে। তাই দাঁত পরিষ্কার রাখতে হবে। দিনে অন্তত দু’বার করে দাঁত মাজলে ওরাল হাইজিনও বজায় থাকে। আরেকটা বিষয়, অনেক দিন এক ব্রাশ ব্যবহার করা ঠিক নয়। তাই নিদেনপক্ষে তিন মাস অন্তরই টুথব্রাশ বদলে নিতে হবে।
২. চা, কফি, পিঁয়াজ, রসুন এড়িয়ে চলা: ঘন ঘন চা, কফি খাওয়ার অভ্যাস মুখের দুর্গন্ধের (Oral Care) সমস্যাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। পেঁয়াজ, রসুনের গন্ধও দীর্ঘস্থায়ী হয়। তাই পেঁয়াজ, রসুন বেশি খেলে মুখ ভাল করে ধুয়ে নেওয়াই বাঞ্চনীয়। নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ হলে পেঁয়াজ রসুন কম খাওয়াই ভাল।
৩. ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ: ধূমপান করলে মুখে দুর্গন্ধের সমস্যা আরও বাড়ে। তামাক আমাদের মুখের ভিতর শুষ্ক করে দেয়, ফলে দুর্গন্ধের সমস্যা বাড়ে, যা দাঁত মাজার পরেও থাকতে পারে। কাজেই ধুমপান ও যে কোনও ধরনের তামাকজাত দ্রব্য এড়িয়ে চললেই ভাল।
৪. গ্রিন টি খাওয়া অভ্যাস: গ্রিন টি আমাদের মুখের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি (Oral Care)। নিয়মিত গ্রিন টি খেলে মুখের ভেতরে দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া প্রতিহত হয়। যার ফলে মুখে দুর্গন্ধের সমস্যাও কমে।
৫. পর্যাপ্ত পরিমানে জলপান: মূখের ভিতর শুষ্কতা দুর্গন্ধের অন্যতম কারণ। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেলে শরীরও ভাল থাকে, মুখের ভিতরটাও আর্দ্র থাকে। ফলে নিঃশ্বাসে বা মুখে দুর্গন্ধের সমস্যা কমে।
৬. প্রাকৃতিক মাউথ ফ্রেশনার: মুখের গন্ধ দূর করতে আমাদের প্রকৃতির মধ্যেই নানা রকম উপাদান রয়েছে, যা সহজেই মাউথ ফ্রেশনার হিসাবে ব্যবহার হতে পারে। লবঙ্গ, মৌরী, শুকনো ধনে প্রভৃতি উপাদান ব্যবহার করা যেতে পারে মুখের গন্ধ দূর করতে।