
ঋতুস্রাবের সময়ে মহিলারা স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করে থাকেন। তবে ন্যাপকিন শুধু ব্যবহার করলেই হল না। কয়েকটি বিষয়ে সতর্কও থাকতে হবে। ঋতুস্রাবের সময়ে যে সমস্যাটা সবচেয়ে বেশি ভোগায় তা হল পিরিয়ড র্যাশ। অতিরিক্ত আর্দ্রতা এবং ত্বকে অনবরত ন্যাপকিনের ঘষা লাগার কারণে এই সমস্যা দেখা দেয়।
পিরিয়ড র্যাশ কী? কীভাবে সারবে?
ঋতুস্রাবের সময় যদি একই ন্যাপকিন দীর্ঘসময় পরে থাকা হয় তাহলে ত্বকে সংক্রমণ হতে পারে। ত্বকে লালভাব দেখা দেয় ও র্যাশ হয়। র্যাশ সারতে ৩ থেকে ৪ দিন পর্যন্ত সময় লাগে বা অনেক সময় আরও বেশিদিন সময় লেগে যায়। এই সময় চুলকানি হতে পারে ত্বকে, আবার অনেক সময় ত্বকে সংক্রমণও হতে পারে। কিন্তু খুবই সহজ উপায় এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
১) হাত না ধুয়ে ন্যাপকিন ব্যবহার করলে হাতে থাকা জীবাণু শরীরে প্রবেশ করার আশঙ্কা থেকে যায়।
২) স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারের আগে মেয়াদ শেষের তারিখটি অবশ্যই দেখে নেবেন। মেয়াদ পেরনো ন্যাপকিন কখনওই ব্যবহার করবেন না।
৩) ২০টি নিমপাতা সামান্য জলে ভাল করে ফুটিয়ে নিতে হবে । জল ঠান্ডা হয়ে গেলে ত্বকে লাগাতে হবে । বা স্নানের পরেও ব্যবহার করতে পারেন। এতে র্যাশ কমে যাবে।
৪) নারকেল তেলে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ত্বকের র্যাশ দূর করতে পারে।
৫) রঙিন বা সুগন্ধিযুক্ত ন্যাপকিনে রাসায়নিক থাকে, ব্যবহার করবেন না।
৬) বাইরে থাকার কারণে অনেকেই স্যানিটারি ন্যাপকিন বদলানোর সময় পান না। টানা ঘণ্টার পর ঘণ্টা একই ন্যাপকিন পরে থাকলে শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। প্রতি ৪-৬ ঘণ্টা অন্তর ন্যাপকিন বদলাতে হবে।
৭) র্যাশের জায়গায় বরফ ঘষলেও চুলকানি কমবে, আরাম হবে।
৮) সুতির প্যাড ব্যবহার করাই সবচেয়ে ভাল। বাজারচলতি প্লাস্টিক প্যাড ব্যবহার করবেন না।