
একেই করোনার থাবা চওড়া হচ্ছে, তার ওপরে টম্যাটো ফ্লু, ভাইরাল জ্বর, রেসপিরেটারি ভাইরাস, মাঙ্কিপক্সের উপদ্রব। মশাবাহিত রোগও বাড়ছে। জ্বর, গায়ে হাত-পায়ে ব্যথা, গলা ব্যথা, কাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। এখন গলা ব্যথা, খুশখুশে কাশি হলেই অনেকেই ভেবে নেন করোনা হয়েছে। আসলে তা নাও হতে পারে। ভাইরাল জ্বর বা রেসপিরেটারি ভাইরাসের সংক্রমণ হলেও গলা ব্যথা (Sore Throat), কাশি হয়। তার উপসর্গ আবার আলাদা। চিকিৎসকরা সতর্ক করেছেন, এই পরিস্থিতিতে ঠান্ডা লাগার মতো যে কোনও উপসর্গ এড়িয়ে যাওয়া উচিত হবে না। এমনকি, গলাব্যথার মতো সমস্যাও নয়।
কীভাবে বুঝবেন গলায় ব্য়থা কী কারণে হচ্ছে?
ভাইরাল জ্বর থেকে ড্রাই থ্রোট হতে পারে। কাঁপুনি দিয়ে জ্বর, সর্দি, নাক দিয়ে অনবরত জল পড়া, মাথাব্যথা, গা হাত-পায়ে ব্যথা শুরু হয় ভাইরাল ইনফেকসন হলে। আক্রান্ত হতে পারে ফুসফুসও। তখন বারে বারে গলা শুকিয়ে যেতে পারে।
হে ফিভার হলে বা অ্য়ালার্জিক রাইনিটিস থাকলে তার থেকে ক্রমাগত হাঁচি, চোখ-নাকে চুলকানি হয়। শুকনো কাশি ভোগাতে পারে (Sore Throat)। ধুলো, ফুলের রেণু বা খাবার, যে কোনও কিছু থেকে অ্য়ালার্জির সংক্রমণ হতে পারে। তখন গলা ব্যথা বা ড্রাই থ্রোটের সমস্যা দেখা দেয় অনেকের।
কোভিডের কারণে গলাব্যথা হলে গলার কাছে কিছু আটকে আছে বলে মনে হবে। খাবার গিলতে কষ্ট হবে। সব সময় গলা শুকিয়ে আসবে। অনেকের আবার গলার কাছে জ্বালাভাব হয়।
বর্ষাকালে বা ঋতু পরিবর্তনের সময় বেশ কিছু ভাইরাল সংক্রমণ ছড়ায়। এর লক্ষণগুলো আলাদা করে বলা কঠিন। তবে এর মধ্যে সাধারণ উপসর্গ হল গলা ব্যথা। ব্রঙ্কাইটিস বা অ্যালার্জির ধাত থাকলে তাঁদের বর্ষার মরসুমে সমস্যা হয় বেশি। তাপমাত্রা খানিক কমলেই ঠান্ডা গেলে গলা বসে যায়। অনেক সময় কোনও ঠান্ডা লাগা ছাড়াই কাশি (Sore Throat) শুরু হয়ে যেতে পারে। সংক্রমণের কারণে বা হাঁপানি থাকলে কাশি হয় বেশি।
গলায় একটানা ব্যথা, খাবার বা জল খেতে গেলেও সমস্যা হলে তাকে হেলাফেলা করা উচিত নয়। মনে হতেই পারে ঠাণ্ডা লেগে গলা ব্যথা হচ্ছে। কিন্তু অনেক সময়েই দেখা যায় গলার কাছের একটি মাংসল অঙ্গই এর ভোগান্তির মূলে আছে। যাকে টনসিল বলে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টনসিলে পাথর জমলে শুরুতে বোঝা যায় না। অনেক সময় ছোট ছোট স্টোন তৈরি হয় টনসিলে যা বিশেষ ক্ষতি করে না। কিন্তু টনসিল যদি ফুলতে থাকে এবং পাথরের আকারও বড় হয় সমস্যা তৈরি হয় তখনই। টনসিল স্টোনের প্রাথমিক উপসর্গও হতে পারে ড্রাই থ্রোট।