হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক, আপনি বাড়িতে একা, নিজেকে কীভাবে সিপিআর দেবেন জানুন

গুড হেলথ ডেস্ক

হার্ট অ্যাটাক মানেই আতঙ্ক। আচমকা বুকে ব্যথা, সারা শরীরে ঘাম, তারপরেই চোখের সামনে সব অন্ধকার। হার্ট অ্যাটাক সম্পর্কে ভয় কাটিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে অনেক আগেই। বাড়িতে হার্টের রোগী থাকলে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে নির্দিষ্ট কিছু ‘বেসিক লাইফ সাপোর্ট’ (basic life support) জেনে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন কার্ডিওলজিস্টরাই। সেক্ষেত্রে সিপিআর অর্থাৎ কার্ডিও পালমোনারি রিসাসিটেশন (CPR) অর্থাৎ বুকে চাপ দিয়ে কৃত্রিমভাবে রোগীর শ্বাসপ্রশ্বাস চালু রাখার পদ্ধতি শিখে নিতে বলা হচ্ছে কাছের লোকজনকেই। কিন্তু যদি বাড়িতে একা থাকেন এবং মূর্তিমান বিভীষিকার মতো বিপদ এসে হাজির হয়, তখন?

কার্ডিওলজিস্টরা বলছেন, হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ দেখা যায় আগেই। শরীর জানান দিতে শুরু করে। বুকে চিনচিনে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, দরদর করে ঘাম, বুক থেকে ব্যথা ক্রমশ হাত, কাঁধ ও চোয়ালে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করলে সতর্ক হতেই হবে। বিশেষ করে হার্টের রোগীদের এইসব লক্ষণ দেখা দিলে আগেভাগেই ব্যবস্থা নিতে হবে। ধরুন বাড়িতে আর কেউ নেই আর আপনার এইসব লক্ষণ দেখা দিচ্ছে, তখন সময় নষ্ট না করে ‘সেলফ সিপিআর’ (Self CPR) শুরু করতে পারেন। নিজেকে নিজে সিপিআর দেওয়ার এই পদ্ধতিকে বলে ‘কাফ সিপিআর’ (Cough CPR)।

CPR

কাফ সিপিআর সম্পূর্ণ বিপদ কাটাতে পারে তা নয়, তবে ডাক্তার বা অ্যাম্বুল্যান্স ডাকার আগে সাময়িকভাবে স্বস্তি দিতে পারে রোগীকে। যদি মনে হয় চোখের সামনে সব অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে, তাহলে জ্ঞান হারানোর আগে সেলফ সিপিআর শুরু করতে বলছেন ডাক্তারবাবুরা। এতে কিছুক্ষণের জন্য হলেও বড় বিপদের ঝুঁকি কাটবে। তবে ডাক্তার ডাকতে বা হাসপাতালে যেতে বেশি দেরি করা চলবে না।

CPR

কীভাবে নিজেকে সিপিআর দেবেন?

হার্ট বিগড়ে যাচ্ছে লক্ষণ বুঝলেই কাশতে শুরু করুন।

খুব জোরে জোরে কাশতে হবে।

সেই সঙ্গে ডিপ ব্রিদিং করতে হবে। তার মানে হল গভীর ভাবে শ্বাস টানুন আর কাশতে শুরু করুন।

কাশি যত জোরে ও ভেতর থেকে হবে ততই পাম্প করার মতো এফেক্ট হবে। সেই সঙ্গে গভীরভাবে শ্বাস নিতে ও ছাড়তে থাকুন।

এই প্রক্রিয়া কয়েক সেকেন্ড অন্তর অন্তর করে যেতে হবে।

ডিপ ব্রিদিং করলে হার্টে অক্সিজেন সরবরাহ চালু থাকবে এবং জোরে কাশতে থাকলে পাম্পিং পদ্ধতিতে হার্টে রক্ত সঞ্চালন কিছুক্ষণের জন্য হলেও বজায় থাকবে।

আরও কিছু পদ্ধতি

সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে পড়ুন। যদি হার্টের ছন্দে গোলমাল থাকে বা অ্যারিদমিয়া থাকে তাহলে কাফ সিপিআর কাজ নাও করতে পারে।

সঙ্গে অ্যাসপিরিন বা সরবিট্রেট জাতীয় ওষুধ সবসময় রাখুন।

হার্টের অসুবিধে হলে অবশ্যই বাড়ির কাছের চিকিৎসক বা হাসপাতালে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করা দরকার।