Heart Attack: গরমে হিট স্ট্রোকের থেকেও বড় ভয় হার্ট অ্যাটাক, কারা সাবধান হবেন

গুড হেলথ ডেস্ক

প্যাচপ্যাচে গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত। গরম মানেই হিট স্ট্রোকের ভয়। হার্ট অ্যাটাক নিয়ে অতটাও ভাবিত নন কেউ। অভিজ্ঞ কার্ডিওলজিস্টরা বলছেন, প্রচণ্ড গরমে হিট স্ট্রোকের ভয় যেমন আছে, তেমনই ঝুঁকি আছে হার্ট অ্যাটাকেরও (Heart Attack)। অবাক হলেও এটা সত্যি। সাম্প্রতিক গবেষণাও এমনটাই বলছে।  এই সময়েই আপনার অজ্ঞাতসারে বাড়তে পারে হৃদরোগ। হানা দিতে পারে যখন তখন।

কানাডার টরন্টো ইউনিভার্সিটির গবেষকরা বলছেন, প্রচণ্ড গরমে কার্ডিওভাস্কুলার রোগের (সিভিডি) ঝুঁকি বাড়ে। ২০০১ থেকে ২০১৫ সাল অবধি বিভিন্ন বয়সের মানুষের ওপর পরীক্ষা করে এই গবেষণার রিপোর্ট সামনে এনেছেন তাঁরা। গ্রীষ্মকালের দাবদাহের সঙ্গে হার্টের রোগের যোগসূত্র আছে বলেই দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের দাবি, যদি তাপপ্রবাহ শুরু হয়, রাতের তাপমাত্রাও বেশি থাকে, তাহলে হার্টের রোগীদের সাবধান থাকতেই হবে। অতিরিক্ত ঘামও বিপদের কারণ হতে পারে। ‘বিএমজে ওপেন’ (BMJ Open) মেডিক্যাল জার্নালে এই গবেষণার খবর ছাপা হয়েছে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, ব্রিটেনে যখন প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ চলছিল তখন ৬০ থেকে ৬৪ বছরের পুরুষদের মধ্য়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি প্রায় ৩ শতাংশ বেড়ে গিয়েছিল। কোমর্বিডিটির রোগীদের ঝুঁকি আরও বেশি। কিডনির অসুখ, ডায়াবেটিস থাকলে সেক্ষেত্রে হৃদরোগের সম্ভাবনা আরও বেড়ে যায়। আর ভারতের মতো গ্রীষ্মপ্রধান দেশে যেখানে গরমকে উপেক্ষা করার কোনও জায়গাই নেই, সেখানে হার্টের রোগীদের আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে বলেই জানাচ্ছেন গবেষকরা।

Heart Attack

 

গরমে হার্ট অ্যাটাক (Heart Attack) আসতে পারে তিনটি কারণে

কোলেস্টেরল খুব বেড়ে গেলে

ট্রাইগ্লিসারাইড নিয়ন্ত্রণে না থাকলে

রক্তচাপ আচমকা বেড়ে গেলে

তাছাড়া আরও কারণ রয়েছে, যেমন স্ট্রেস ও অ্যাংজাইটি। চিকিৎসকরা বলছেন, রোগীর ধমনী ব্লক হয়ে গেলে অক্সিজেনপূর্ণ রক্ত হৃৎপিণ্ডে পৌঁছনো বন্ধ হয়ে যায়। তখনই হয় হার্ট অ্যাটাক (Heart Attack)।। দ্রুত চিকিৎসা শুরু না হলে হৃৎপিণ্ডের সেই অংশটি অকেজো হয়ে যায়। গরমকালে এই ধরণের হৃদরোগ হতে পারে রাতের দিকে। বিপদ এড়াতে আরও বেশি সাবধান হতে হবে। বিশেষ করে ষাটোর্ধ্ব পুরুষরা হাই-রিস্ক গ্রুপে রয়েছেন। ৬০ থেকে ৬৪ বছরের মধ্যে এই সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।

Heart attack

 

অতিরিক্ত ঘাম বিপদের ইঙ্গিত

হার্টের রোগীদের এই গরমে বেশি সাবধান থাকতে হবে। দরদর করে ঘাম হওয়া একেবারেই ভাল নয়। এতে শরীর থেকে জল ও প্রয়োজনীয় খনিজ বেরিয়ে গিয়ে বিপদ ডেকে আনবে। কার্ডিওলজিস্টরা বলছেন, গরমে হজমের গোলমাল বেশি হয়। বদহজমও হার্ট অ্যাটাকের (Heart Attack)। কারণ হতে পারে।

বেশি রোদে তেতেপুড়ে গিয়ে এসি-তে ঢুকলে বিপত্তি বাড়বে।  অনেক সময় বিনবিনে ঘাম হয়, এসি-তে থাকলেও গরমের অস্বস্তি কাটে না। ঘাম, চোখে-মুখে অন্ধকার দেখা যেমন উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা, হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ।

হার্টের রোগীদের এমন কিছু ওষুধ দেওয়া হয় যা ঝুঁকি বাড়াতে পারে, যেমন রক্তচাপ কমানোর ওষুধ এসিই ইনহিবিটর, ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকার এর কারণ হতে পারে।

বুকে-পিঠে ব্যথা, হাতে একটানা ব্যথা হলেও সাবধান হতে হবে। একটানা অনেক দিন ধরে চিনচিনে ব্যথা হলেও সাবধান। এই সব ক্ষেত্রে যত তাড়াতাড়ি ডাক্তার দেখাবেন তই বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

এই সময় বেশি করে জল খেতে হবে। হার্টের অসুখ থাকলে এই গরমে সকালে ও সন্ধেবেলা ভারী এক্সারসাইজ করবেন না। শরীরে অস্বস্তি হবে, ঘাম বেশি ঝরবে এমন শরীরচর্চা এই সময়ে না করাই ভাল।