Heart Failure: অবিবাহিতদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি? নতুন গবেষণা চমকে দেবে

গুড হেলথ ডেস্ক

অবিবাহিত লোকেদের হার্ট অ্যাটাকে (Heart Failure) মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি! কার্ডিওলজিস্টদের নতুন গবেষণায় এমনটাই দাবি করা হয়েছে। বিবাহিতদের তুলনায় অবিবাহিতদের হার্টের অসুখ বেশি হতে পারে, মৃত্য়ুর ঝুঁকিও বেশি। ইউরোপিয়ান সোসাইটি অব কার্ডিওলজির গবেষকরা সম্প্রতি এমনই একটি গবেষণার খবর সামনে এনেছেন। বহু মানুষের ওপর পরীক্ষা নিরীক্ষা করে এবং সাইকোলজি টেস্ট করেই এমনটা জানা গেছে বলে দাবি বিজ্ঞানীদের।

মুখ্য গবেষক ডা. ফ্যাবিয়ান কেরওয়াগেন বলছেন, একাকীত্ব অনেক রোগের জন্য দায়ী ( (Heart Failure) )। হাজারের বেশি বিবাবিত ও অবিবাহিতদের ওপর পরীক্ষা করে দেখা গেছে, বিবাহিতরা যতটা মেন্টাল সাপোর্ট পান, অবিবাহিতরা ততটা পান না। সামাজিকভাবেও তাঁরা অনেকটাই একা। বাইরে মেলামেশা, বন্ধুবান্ধব থাকলেও একটা সময় তাঁরা একাকীত্বে ভোগেন। গবেষকরা বলছেন, অসুখ হলে ঠিকভাবে দেখাশোনা করা বা উৎসাহ দেওয়ার কেউ থাকে না। এই ব্যাপারটাই মানসিকভাবে দুর্বল করে দেয়। ফলে চাপ পড়ে হার্টের (Heart Failure) ওপরেও।

Heart Failure

কী বলছে গবেষণা?

এক্সটেন্ডেড ইন্টারডিসিপ্লিনারি নেটওয়ার্ক হার্ট ফেলিওর (E-INH)-এর গবেষণা বলছে একাকীত্বে ভোগা মানুষজনেরই হৃদরোগের সম্ভাবনা বেশি থাকে। ২০০৪ থেকে ২০০৭ সাল অবধি ১০২২ জনের ওপর পরীক্ষা চালিয়েছেন গবেষকরা। এদের মধ্যে ৬৩৩ জন বিবাহিত, অবিবাহিত ৩৭৫ জন। তাছাড়া ডিভোর্সি, বিধবাও আছেন। দেখা গেছে, অবিবাহিতদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাকিদের থেকে অনেক বেশি। বেশিরভাগেরই হার্ট দুর্বল ( (Heart Failure) ), স্ট্রেস ও অ্য়াংজাইটি অত্যধিক বেশি।

Heart Attack

মানসিক চাপ বা স্ট্রেস শরীরের বিভিন্ন অংশকে প্রভাবিত করতে পারে। বিশেষত হৃদযন্ত্র ও সংবহনতন্ত্রের উপর এর প্রভাব হতে পারে মারাত্মক। পরীক্ষায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত মানসিক চাপ হার্টের স্বাস্থ্য ও কার্যকারিতার ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। সাধারণত দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপের ফলে মানসিক অস্থিরতা, অবসাদ দেখা দিতে থাকে। যখন তখন রাগ, মুড সুয়িং, মেজাজ খিটখিটে হতে পারে। শারীরিক ভাবে দেখা যায় পেশির দুর্বলতা, ক্লান্তি, মাথা যন্ত্রণা বা অনিদ্রার মতো সমস্যা।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, মস্তিষ্কের অ্যামিগডালা নামক অংশ থেকেই স্ট্রেস হরমোন বের হয়। বেশি দুশ্চিন্তা করলে, ভয় বা আতঙ্কে ভুগলে অ্যামিগডালা সক্রিয় হয়ে স্ট্রেস হরমোন বের করে। এর ফলে হার্টে রক্তপ্রবাহ কমে যেতে পারে। দীর্ঘ সময় ধরে এই ধরনের হরমোনের মাত্রা শরীরে বেশি থাকলে রক্তনালীর প্রদাহ হয়, হার্ট দুর্বল হতে থাকে।