
হার্টের রোগ ঘরে ঘরে, ভুগছে কমবয়সীরাও, হৃদয় ভাল রাখতে রোজ কী কী ব্যায়াম করবেন
গুড হেলথ ডেস্ক
হার্টের (Heart) অসুখ এখন আর বয়স বিচার করে হয় না। সবচেয়ে বেশি ভুগছে কমবয়সীরাই। এর প্রধান কারণ হল জীবনযাত্রায় অনিয়ম। অস্বাস্থ্যকর খাওয়ার অভ্যাস, শরীরচর্চার অভাব, অতিরিক্ত নেশায় আসক্তি, কম ঘুম, বেশি চিন্তা–এই সবই হার্টের অসুখের রিস্ক ফ্যাক্টর। ভালমন্দ খেলে তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে শরীরচর্চা করতে হয়। সেই সঙ্গে নেশা কমানো, পর্যাপ্ত জল খাওয়া, নিয়ম মেনে ব্যায়ামও জরুরি। শরীর সুস্থ রাখতে যে সাধারণ নিয়মগুলো মানতে হয় সেটাই মানছে না এখনকার প্রজন্ম। ফলে হার্টের অসুখ ধরে যাচ্ছে খুব কম বয়স থেকেই।
আবার হার্টের (Heart) রোগ আছে এমন রোগীকেও কিছু নিয়ম অবশ্যই মেনে চলতে হয়। বিশেষ করে যদি হার্টে অস্ত্রোপচার হয় তার পরবর্তী জীবনে কিছু সাধারণ নিয়ম মানতেই হয়।
ডাক্তারবাবুরা বলছেন, প্রতিদিন যদি নিয়ম করে কিছু এক্সারসাইজ করা যায় তাহলে হার্ট ভাল থাকে। হৃদরোগের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি পাওয়া যায়।
কী কী ব্যায়ামে হার্ট (Heart) ভাল থাকবে?
কার্ডিও
হার্টের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে কার্ডিও এক্সারসাইজের তো কোনও তুলনাই হয় না। প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ মিনিট এই এক্সারসাইজ করলে, যেমন হার্ট ঠিক থাকবে, তেমনই সার্বিকভাবে শরীর সুস্থ থাকবে। দৌড়ঝাঁপ করে, সাঁতার কেটে, খেলাধুলা করেও এই এক্সারসাইজ করতে পারেন।
যোগা
প্রতিদিন যোগাসন করলে শরীরে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে। অতিরিক্ত টক্সিন বের হয়ে যায়। আবার হার্টের স্বাস্থ্য ঠিক থাকে। সূর্যনমস্কার, ট্রায়াঙ্গেল পোজ, ব্রিজ পোজের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
অ্যারোবিক
অ্যারোবিক অ্যাক্টিভিটিজ অর্থাৎ স্কিপিং করা, সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করার মতো এক্সারসাইজ করলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। আবার ব্লাড সুগার লেভেল একদম স্বাভাবিক হয়ে যায়। অন্যদিকে হার্টের স্বাস্থ্যও ভাল থাকে।
রেজিস্টেন্স ট্রেনিং
রেজিস্টেন্স ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে কোলেস্টেরল লেভেল একেবারে ঠিক থাকে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে সপ্তাহে দুবার এটা করার কথা তাঁরা উল্লেখ করছেন। হার্টের (Heart) স্বাস্থ্যও সুস্থ থাকবে বলে তাঁরা আশ্বাস দিচ্ছেন।
লাঞ্জেস, প্ল্যাঙ্কস
এইধরনের এক্সারসাইজের কথা ডাক্তাররা প্রায়শই বলেন। লাঞ্জেস, প্ল্যাঙ্কসকে লো ইমপ্যাক্ট এক্সারসাইজ বলা হয়। এর ফলে শরীর সার্বিকভাবেই সুস্থ থাকে।
ফ্লেক্সিবিলিটি ওয়ার্কআউট
ফ্লেক্সিবিলিটি ওয়ার্কআউটের মাধ্যমে শরীরে অ্যারোবিক অ্যাক্টিভিটিজ করার শক্তি বাড়ে। যা হার্টের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে ভীষণ উপকারী বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
হার্টের (Heart) রোগীরা হালকা যোগা, স্ট্রেচিং ও শ্বাসের ব্যায়াম করতে পারেন৷ তবে খুব সাবধানে৷ ভারী জিনিস তোলা, ঠেলা বা পরিশ্রমের কাজ করবেন না৷ সকালে বা বিকেলে হাঁটুন৷ রক্ত সঞ্চালন বেড়ে হার্টের সমস্যা কমতে শুরু করবে৷
অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির পর প্রথম ১–২ সপ্তাহ সাইক্লিং বা পায়ের অন্য ব্যায়াম, ভারী জিনিস তোলা বা ঠেলা বারণ৷ হাঁটাচলা করতে পারেন৷ অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করে বন্ধ পথ খুলে দিলে ও হার্ট ঠিকঠাক পাম্প করলে বয়স ও ফিটনেস অনুযায়ী যা যা ব্যায়াম করা যায়, সব করতে পারেন৷ তবে ডাক্তারের মতামত নিয়ে৷