
মানসিক চাপ, উদ্বেগ বাড়িয়ে দিচ্ছে হৃদরোগের ঝুঁকি, মন ভাল রাখতে কী কী করবেন
গুড হেলথ ডেস্ক
এখনকার সময় লোকজনের মুখে একটাই কথা–মন ভাল নেই। অথবা কাজের এমন চাপ যে স্ট্রেস বাড়ছে, শরীরজুড়ে ক্লান্তি, মাথায় চিন্তার পাহাড়। এই মানসিক চাপ, মাত্রাতিরিক্ত অ্যাংজাইটি, টেনশন বাড়িয়ে দিচ্ছে হৃদরোগের ঝুঁকি। মন ভাল না থাকলে, হার্টও (Mental Stress) ভাল থাকবে না, এমনটাই বলছেন চিকিৎসকরা। শরীর ভাল রাখতে গেলে মন সতেজ থাকা দরকার। কারণ মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে হার্টেরও গভীর সম্পর্ক আছে।
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছিল, মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে হৃদয়ের সরাসরি যোগ আছে। মেন্টাল স্ট্রেস, ট্রমা, আচমকা পাওয়া কোনও মানসিক আঘাত, অ্যাংজাইটি, ঘন ঘন মুড সুয়িং হৃদরোগের অন্য়তম রিস্ক ফ্যাক্টর (Mental Stress)।
মন ভাল না থাকলে হার্টও ভাল থাকবে না
মানসিক চাপ বাড়লে শরীরে অ্যাড্রিনালিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে। তার প্রভাবে বাড়তে থাকে রক্তচাপ। রক্তচাপ অতিরিক্ত বেড়ে গেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। রক্তচাপ বেড়ে হার্ট অ্যাটাক বা ব্রেন স্ট্রোকে প্রতি বছরই ৭০-৮০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। অনেক সময়েই রোগের লক্ষণ বোঝা যায় না। আচমকাই বুকে ব্যথা, হৃদপিণ্ডে ধড়ফড়, তারপর সব শেষ। রক্তচাপ বশে না রাখলে একে একে বিকল হবে হৃদযন্ত্র, কিডনি, মস্তিষ্ক, চোখ-সহ শরীরের নানা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ (Heart Health)। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেশিরভাগ রোগী জানেনই না যে তাঁদের রক্তচাপ বাড়তে বাড়তে বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তাছাড়া মনের (Mental Stress) ওপর বেশি চাপ পড়লে কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এর ফলে রক্তে কোলেস্টেরল এবং শর্করার মাত্রা বাড়ে। ফলে ক্ষতি হয় হার্টের।
মন ভাল রাখার দাওয়াই
মন ভাল রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। বেশি স্ট্রেস থাকলে ডিপ ব্রিদিং করুন দিনে অন্তত দু’বার। তাছাড়া যোগব্যায়াম, প্রাণায়াম করলেও অনেক উপকার পাবেন।
পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। বেশি ঝালমশলা দেওয়া খাবার, প্রসেসড খাবার খেলে শরীরে প্রদাহ হয়, এতেও হার্টের ক্ষতি হয়। বেশি করে ফল, শাকসব্জি, মাছ, লিন মিট খাওয়ার চেষ্টা করুন।
সংসারের কাজ, অফিসের দায়িত্ব, স্বজনের প্রতি কর্তব্য পালন করেও হাতে কিছুটা সময় একেবারে নিজের জন্য রাখা দরকার। নিজের জন্যও একান্ত সময় বের করুন।
ফ্রি বুস্টার ডোজ কোথায় গেলে পাবেন? কীভাবে নাম রেজিস্টার করাবেন
মনের ওপর চাপ বাড়লে একা থাকবেন না, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-পরিজনদের সঙ্গে সময় কাটান। গল্প করুন, মেলামেশা করুন। পজিটিভ চিন্তা করুন।
নিজের পছন্দের কাজ করুন, বই পড়া, গান শোনা, ছবি আঁকা, বাগান করার শখ থাকলে করুন। এতে মন ভাল থাকবে।
নিয়ম করে ৮ ঘণ্টা ঘুম হল অতি প্রয়োজনীয়।