
হার্টের রোগীরাও ভাল থাকবেন, এই নিয়মগুলো শুধু মেনে চলুন
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অতীতে ভাবা হত, হার্টের রোগ মাত্রই বুঝি বয়স্কদের একচেটিয়া। এখন সে দিন গেছে। আশি নয়, আঠাশেও কাবু করছে হার্টের ব্যামো। ইতিমধ্যেই যাঁরা হার্টের অসুখে আক্রান্ত, যাঁদের একবার হার্ট অ্যাটাক হয়ে গেছে বা যাঁদের অপারেশন করে স্টেন্ট বসানো হয়েছে বা বাইপাস করা হয়েছে— এমন নয় যে, তাঁদের জীবন শেষ। শখ, আহ্লাদ, ভাল থাকার অধিকার তাঁদেরও রয়েছে। একটু নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন প্রয়োজন বটে, কিন্তু সব স্বাভাবিকতা বিসর্জন দিয়ে নয়। বাইপাস সার্জারি হয়ে যাওয়ার পরেও আজীবন মানুষ দিব্যি বাঁচেন।
হার্টে অসুখেও ভালভাবে বাঁচা যায়, যার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হল জীবনযাপন সুসংবদ্ধ করা। লাইফস্টাইল ম্যানেজমেন্ট সবচেয়ে আগে জরুরি।
● খাদ্যাভ্যাস ঠিক রাখুন। খাবার সময় নির্দিষ্ট করুন। যখন তখন যা খুশি খাবার অভ্যেস বদলান। খাবারের গুণগত মান যাতে ঠিক থাকে সেটায় নজর দিন। সুষম খাদ্যে জোর দিন। জাঙ্ক ফুড, ফাস্ট ফুড এড়িয়ে চলুন। তেল মশলা বুঝেশুনে খান।
● খুব বেশি স্ট্রেস নেবেন না। হার্টের অভিশাপ হল স্ট্রেস বা মানসিক চাপ। তাই যতটা সম্ভব, মানসিকভাবে ভারমুক্ত থাকার চেষ্টা করুন। স্ট্রেস ব্যালেন্স করুন।
● ওষুধ খেতে গাফিলতি করবেন না। নিয়মমাফিক হার্টের ওষুধ খান। অনেকেই ভাবেন হার্টের কোনও অপারেশন করলেই বুঝি আর ওষুধ খাওয়ার দরকার নেই। ওখানেই রোগ সেরে গেল। কিন্তু মনে রাখবেন, যেটা খারাপ হয়েছিল সেটাকে ঠিক করার জন্য অপারেশন। আর ওষুধ হল যেটা ঠিক আছে, সেটা যাতে পরবর্তীকালে খারাপ না হয় তার জন্য। দুটোর কিন্তু সম্পূর্ণ আলাদা কাজ। একটা আরেকটার পরিপূরক নয়।
● দিনে আধঘণ্টা হিসেবে সপ্তাহে অন্তত পাঁচদিন হাঁটুন। হাল্কা জগিং করুন। সবসময় ঘরে বসে না থেকে ঘর থেকে একটু বেরোন। শরীরকে সবসময় সচল রাখার চেষ্টা করুন। এতে শরীর যেমন ফিট থাকবে, তেমনই হার্টও ভাল থাকবে।
● হার্টের নিয়মিত চেকআপ করুন। যদি হার্টের কোনও অসুখ নাও থাকে, তবুও ৪০ পেরোলে বছরে একবার হেলথ চেকআপ করান।
● হার্টের অসুখের বিন্দুমাত্র কোনও উপসর্গ নজরে এলে অবহেলা করবেন না। সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসককে সে কথা জানান। মনে রাখবেন, হার্টের চিকিৎসার ক্ষেত্রে সঠিক সময়ের কোনও বিকল্প নেই।