
অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, মানসিক উদ্বেগের মতো কয়েকটি কারণে হৃদ্রোগ দেখা যায়। জীবনযাত্রা সম্পর্কে সচেতন না হলে একটা বয়সের পর থাবা বসাতে পারে হৃদ্রোগ। শরীরের প্রতি যত্ন না নিলে হার্ট অ্যাটাকের (Heart Attack ) আশঙ্কা থেকে যায়। চিকিৎসকরা বলছেন, যে কোনও বয়সেই হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। তবে অ্যাটাক আসার পরের এক থেকে তিন ঘণ্টা সময় বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়টাকেই বলা হয় গোল্ডেন আওয়ার। এই তিন ঘণ্টার মধ্য়ে যদি রোগীর সঠিক চিকিৎসা শুরু হয়, তাহলে বাঁচানো সম্ভব।
ডাক্তারবাবুরা বলছেন, হার্ট অ্যাটাক তীব্র হলে রোগী দরদর করে ঘামতে থাকে, গোটা শরীর ভিজে যায় (Heart Attack )। অসুস্থ বোধ করে, শীত করে। এই লক্ষণগুলো দেখেই সতর্ক হতে হবে। বিশেষত অ্যাটাকের প্রথম এক ঘণ্টা অত্যন্ত জরুরি। এই সময়ে হৃদযন্ত্রের পেশিগুলো সচল থাকে। তাই এক ঘণ্টার মধ্যে যদি যথাযথ ব্য়বস্থা নেওয়া যায়, তাহলে ঝুঁকি অনেক কমে যায়।
আচমকা হার্টের অন্যান্য দিক থেকে হৃদস্পন্দন একই সঙ্গে তৈরি হয়, ফলে হৃদস্পন্দন অনেক বেড়ে যায়, ভেন্ট্রিকুলার ট্যাকিকার্ডিয়া দেখা যায়। পাম্পিং প্রায় বন্ধ হয়ে যায় যাকে বলে ভেন্ট্রিকুলার ফিব্রিলেশন। অক্সিজেনের অভাবে প্রথমে জ্ঞান চলে যায়, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে মৃত্যুও হতে পারে রোগীর। ইস্কিমিয়া হার্ট ডিজিজ হল সাডন ডেথের অন্যতম কারণ। হার্ট অ্যাটাক হয়ে হার্টের পাম্প করার ক্ষমতা ৩৫ শতাংশের নীচে নেমে গেলে বিপদের আশঙ্কা বেশি৷ সঙ্গে অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন (Heart Attack) থাকলে আরও বিপদ। এ ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ দরকার।
কী কী লক্ষণ বুঝে ডাক্তার ডাকবেন
শ্বাস-প্রশ্বাসে যদি কষ্ট হয়, তা হলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা থাকে। শ্বাস নিতে কষ্ট হলে, দম আটকে আসলে অবিলম্বে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। হৃদযন্ত্রের কোনও রকম সমস্যা হল, ফুসফুসও অক্সিজেন কম পায়। তাই এই লক্ষণ
দেখা দিতে পারে।
দরদর করে ঘাম হওয়া, অল্পেই হাঁপ ধরে যাওয়া, এর লক্ষণ। শরীরে রক্ত চলাচল ঠিকঠাক না হলে বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ঠিক করে অক্সিজেন পায় না। তাই হাঁপ ধরতে পারে।
বুকে ব্যথা বা চাপ লাগার মতো অনুভূতি হলে অবশ্যই চিকিৎসককে জানান। মেয়েদের ক্ষেত্রে কিছু লক্ষণ আলাদা। বুকে ব্যথা, ঘাম হওয়া বা হাঁপ ধরা ছাড়াও পেটে অস্বস্তি, পিঠে ব্যথার মতো কিছু অন্যান্য লক্ষণও দেখা দিতে পারে।
গোল্ডেন আওয়ারে কী কী করণীয়?
এই সময়ের মধ্য়ে ইকো কার্ডিওগ্রাফি, ইসিজি করে দেখতে হবে, হার্টের ধমনীতে রক্ত জমাট বেঁধেছে কি না। বাঁধলে সঙ্গে সঙ্গে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি বা থ্রম্বোলাইসিস করে রক্ত বের করতে হবে।