ফ্যাটি লিভার খুব ভোগাচ্ছে? মেনে চলুন এই দশটি নিয়ম

দ্য ওয়াল ব্যুরো: ফ্যাটি লিভারের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। রোজ রোজ বাইরের হাবিজাবি খাওয়া, অতিরিক্ত মদ্যপান, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাসের কারণে বাড়ছে ফ্যাটি লিভার। অনেকে এই রোগটাকে তেমন আমল দেন না। শেষমেষ অসুখ বড় আকার নিলে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হতে হয়।

ফ্যাটি লিভার আসলে কী?

অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত লিভার। আমাদের লিভার বা যকৃতে ফ্যাটের পরিমাণ যখন স্বাভাবিকের থেকে ৫-১০ শতাংশ বেড়ে যায়, তখন সেই অবস্থাকে ফ্যাটি লিভার বলে।

Fatty liver: Symptoms, causes & diagnosis

উপসর্গ কী?

ফ্যাটি লিভারের প্রাথমিক লক্ষণগুলি আলাদা করে চেনা সত্যিই খুবই মুশকিল, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হলে বোঝা যায় না। সেক্ষেত্রে অন্য সমস্যার সমাধানের জন্য আলট্রাসনোগ্রাফি করতে গিয়েই সমস্যা ধরা পড়ে। তবে লিভারের অসুখের কিছু সাধারণ উপসর্গ দেখা যায়।
◆ পেটের ডান পাশে ওপরের দিকে ব্যথা
◆ ভার ভার ভাব বা অস্বস্তি
◆ দুর্বলতা বা খুব অল্প পরিশ্রমেই ক্লান্ত হয়ে পড়া

What Hepatitis C and Fatty Liver Disease Have in Commonফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তি কীসে?

  • ১) প্রথমেই নজর দিন খাদ্যাভ্যাসে। কোথায় কোথায় ভুল রয়েছে, খুঁজে বের করুন। যতটা সম্ভব তেল-মশলাযুক্ত খাবার কম খান। সবুজ শাকসবজি ও নিয়মিত ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন।

  • ২) অতিরিক্ত ওজন থাকলে নিয়ন্ত্রণে আনুন। নিয়মিত শরীরচর্চা করুন।

  • ৩) ওমেগা-৩ যুক্ত খাবার যকৃতের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। সামুদ্রিক মাছ রাখুন খাদ্যতালিকায়। কাঠবাদাম, ওয়ালনাট, ফ্ল্যাক্সসিড ও অলিভ ওয়েল খেতে পারেন।

  • ৪) অতিরিক্ত মদ্যপানের ফলে হতে পারে অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার। তাই মদ্যপানে নিয়ন্ত্রণ আনুন। এমনিতেও অতিরিক্ত মদ্যপান অন্যান্য রোগকে আমন্ত্রণ করে। আর ফ্যাটি লিভার থাকলে মদ খাওয়ায় দাড়ি টানাই মঙ্গল।

  • ৫) প্রতিদিন ১ গ্লাস করে লেবুজল খান। ঈষদুষ্ণ জলে অ্যাপল সিডার ভিনিগার মিশিয়েও খেতে পারেন। ফ্যাটি লিভারের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে এটি বেশ সহজ উপায়।

  • ৬) রোজ এক কাপ করে কফি বা গ্রিন টি পানেও ফ্যাটি লিভারের সমস্যা কমাতে পারে।

  • ৭) খুব কম পরিমাণে চিনি, লবণ, রিফাইনড কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা এবং সম্পৃক্ত ফ্যাট গ্রহণ করুন। তেলে ভাজা বা চর্বিজাতীয় খাবারে রাশ টানুন।

  • ৮) ফাইবার বা আঁশসমৃদ্ধ শাক সবজি, যেমন ব্রোকলি, পালংশাক, কচুশাক ইত্যাদি বেশি করে খান।

  • ৯) মেটাবলিক সিনড্রোম, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল বৃদ্ধি, হেপাটাইটিস ভাইরাসজনিত কোনো সমস্যা থাকলে তার সঠিক চিকিৎসা করান।

  • ১০) সর্বোপরি, লিপিড প্রোফাইল ঠিক রাখার চেষ্টা করুন।